তাইতো মাঝে ধরলো ফাটল
Wednesday, March 28, 2018
২৬শে মার্চ
একটু আগে গান শুনে এলাম "এক নদী রক্তের বিনিময়ে........" সত্যি আজ আত্মাগুলো যদি ফিরে আসে! বিভৎস চেহারা নিয়ে! ভীতু হয়ে উঠছি কেন আমি? জানি না। এমন তো হয়নি আগে!
হলের ভিতরের গনকবরের পাশে ক্রিকেট খেলেছি, ফোনেও কথা বলেছি কিন্তু আজ যে ২৬শে মার্চ। কালো জমাট বাঁধা রক্তের মাঝে মাঝে হয়তো সেদিন আমিও ছিলাম! শুনেছি কাক নাকি পূর্বপুরুষের প্রতীক। তাই এই কাকের দল উড়ছে শব্দ ছাড়া। কি নিঃশব্দ! ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ পর্যন্ত নেই! আয় তোরা সখা চুপিচুপি! কেউ জানবেও না। শুধু আমি আর তোরা! ২৬শে মাচ! রক্তের শোধ নে!
দূর! ফ্যানটা এমন আওয়াজ করে ঘুরছে কেন? সেদিন কি এমন ঘুরছিল? যে দিন ওরা আমাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল? কারন আমি বাঙালী! তারপর হাত বেধে উল্টো করে টেনে নিয়েছিল আমায় আর মেরেছিল খুঁচিয়ে! ভুলি নাই! মুক্ত আমি আমি হয়েছি। আমার নামের পাশে আজ লেখা "বাংলাদেশী"। আমি স্বাধীন! বুকের রক্তে কেনা আমার স্বাধীনতা।
নিঃসঙ্গ !
Thursday, March 15, 2018
Tuesday, March 13, 2018
:- না রে! জোসেফ উড ক্রুচ তার "দি মর্ডান টেম্পার" গ্রন্থে কি বলেছেন জানিস? "যত বেশী জ্ঞান বাড়ে তত বেশী দুঃখও বাড়ে। জ্ঞান বাড়িয়ে তুমি দুঃখই বাড়াও।"
:- তা বুঝলাম। কিন্তু জীবন তো আর মেলোড্রামা নয়, It's a tragedy!
:- যা ব্যাটা! তোর হারেম আর ইমারতের লোভ আমাকে দেখাস নে। ফোট! মুভি দেখতে দে।
:- আসলে মুভির প্রতি আপনার প্রেম ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রেমের মতোই অন্ধ।
:- হ্যা। আর প্রেমের স্বাদ যে পায়নি, জীবন তার কাছে তার শ্রেষ্ঠ ঐশ্বর্য উদঘাটিত করেনি। সে হতভাগা জীবনকে পেয়েও জীবন থেকে বঞ্চিত। "প্রেম সেতো আগুনের শিখা,
অন্তরেতে চির আনির্বাণ,
অবসন্ন নয় কভু তাহা,
নহে কভু রুগ্ন, পরিম্লান।"
:- উম!
:- এখন যা ভাগ! LED পর্দায় মিয়া খলিফা অপেক্ষা করছে।
:- দাদা! "এই সব নারীই নরকস্য দ্বারী, এরাই মানুষের সর্বপ্রকার পতনের মূল।"
:- ভাগলি ?
:- -#@#$%&*
ঘাড়ত্যাড়া বয়ফ্রেন্ড
চারপাশে যে সব ইভটিজিং, রেপ এর খবর শুনি তাতে আমার বোন থাকলে তার সিকিউরিটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতাম, আর প্রেমিকার সুরক্ষা তো বটেই। মেয়েদের জন্য আমাদের সোসাইটি বড়ই বিপদজনক আজকাল। হাতের মুঠোয় পর্ন, যেখানে নির্যাতনে আর্গাজমের আওয়াজ, তা নারীকে উত্যক্ত করতে উঠতি কিশোর বা যুবকদের অনুপ্রাণিত করে, কোন সন্দেহ নাই। আজকাল ছেলেরা ethics শিখছে ফিল্ম বা সোসাল মিডিয়া থেকে। যার ফলাফল এই বিকৃত আচারন ।
আজ ৭ই মার্চ, ফেসবুকের নিউজফিডে যেসব ঘটনা দেখলাম, সত্যি দুঃখজনক। শংকিত মানবতা! পুরুষ হিসেবে সত্যি আমি দুঃখিত।
"World Bal Solidarity Organization"
বাল কর্তন বা বিভাজন ফিশন বিক্রিয়া কি না সে বিষয়ে গবেষণায় CERN (The European Organization for Nuclear Research) কে আর্থায়ন করবে এ সংস্থা। বাল থেকে উদ্ভূত বর্জ পদার্থে "Dirty Dozen" কেমিকেল উপস্থিত আছে কি না এটি সেটা নিয়েও গবেষনা করবে। অবশ্য মনে হয় না ঐ কেমিকেল এতে আছে, থাকলে Greenpeace এতো দিনে আন্দোলন করে বলত " যেখানে সেখানে বাল নিক্ষেপ নয়।"
ভবিষ্যতে এ সংস্থার মাধ্যমে UNBDP (United Nations Bal Development Programmes) বিশ্বব্যাপী বাল উন্নয়ন কর্মসূচী চালু করবে। আশা করা যায় আমাদের সরকারও ECNEC এর বৈঠকের মাধ্যমে এ প্রকল্পে আর্থ ছাড় দেবে।
কেমিস্টদের বালের প্রসাধনী উদ্ভাবনে প্রণেদনা দেওয়াও হবে এর অন্যতম কাজ।
দূর! এতো কিছু ভাবতে ভাবতে ব্রেনে গ্লুকোজের অভাব দেখা দিয়েছে, যাই নেশার কাছ থেকে দুটো চুমু খেয়ে আসি।
Friday, March 2, 2018
মনখারাপের বিকেল
মানুষ সুখগুলো chain reaction এর মতো চারপাশে ছড়িয়ে দেয় আর দুঃখগুলো ঝিনুকের মতো লুকিয়ে রাখে । বেদনার কথা কেউ বলতেই চায় না, একদম নিজস্ব সম্পদের মতো লুকিয়ে রাখে। হয়তো মাঝরাতের দুঃস্বপ্নে ঘুম ভেংগে দুফোটা চোখের জল ছড়িয়ে আবার শুকিয়ে যায় আজান্তে। যে ছেলেটা বউকে নিয়ে লুতুপুতু ছবি দেয় সেও হয়তো নির্জন সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে কার্জন হলে জুটি দেখে ভাবে সেও তো একদিন আমাকে বলেছিল "ভুলে যাবে না তো?" আজ সেই ভুলে গেছে। এখন তার শরীর দিয়ে পরপুরুষের গন্ধ বেরয়। সময় যায় শরীরের ক্ষতের মতো মনের ক্ষতও শুকিয়ে যায় কিন্তু স্মৃতি পূর্ণিমার চাঁদের মতো উদয় হয়ে আলোকিত করে দেখিয়ে যায় আস্তরিত ধূলির নিচে কত দগদগে সে ঘাঁ। বেঁচে থাকার তাগিদে এক নেশা ভুলতে বড় কোন দ্বারস্থ হই আমরা। মন্তু মিয়ার মতো টুনি কথাও ভুলে যাই পথ পরিক্রমায়।তবু মাঝে মাঝে যে স্নায়ুর কোথাও গান বেজে ওঠে "আশা ছিল মনে মনে ঘর বান্ধিবো তোমার সনে...... " কিন্তু সে আর সম্ভব কই? শুধু বৃষ্টিস্নাত চুম্বন স্মৃতিই জেগে ওঠে মস্তিষ্কের থ্যালামাসে।
Thursday, March 1, 2018
কোপাও তোমার নিজের স্টাইলে
এক দর্শন আর এক দর্শনকে পুরো ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়। আস্তিক্যবাদ নাস্তিক্যবাদকে কুপিয়ে অর্গাজম স্তরে নিয়ে যায়। সাম্রাজ্যবাদ নিজেকে Racehorse ভেবে কমুউনিজমকে Cart Horse বলে উপহাস করে। দুঃখবাদ ভোগবাদের নাম উচ্চারণ করতেও লজ্জা পায়। তাই মনে হয় আইনস্টাইন বেঁচে থাকলে আজ নিউটনের সূত্রকে পরিবর্তন করে লিখতেন "প্রত্যেক দর্শনের একটি বিপরীত দর্শন রয়েছে।" তাই no care, just কোপাও তোমার নিজের স্টাইলে।