সে সময় যারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও সমরাস্ত্র নিয়ে গবেষনা করে কার্যকরী
অস্ত্র আবিস্কার করত তাদের Bushi বলা হত। এরা ছিল পেশাগত ভাবে যোদ্ধা।
তারাই ক্লাসিকাল মার্শাল আর্টের জনক। বারশো শতাব্দীতে যখন জাপানে শাসনভার
রাজতন্ত্র থেকে ক্ষত্রিয়দের হস্তাগত হল তখন পেশী শক্তির পরীক্ষা, শারীরিক
সক্ষমতা, দ্বন্দ্ব যুদ্ধে পারদর্শিতা নেতৃত্বের মাপকাঠি হয়ে উঠল। কোডকান
জুডোর কাতার উপর প্রভাব পড়েছে ঐ সময়ে প্রচলিত Yoroi kumi-uchi নামে
একধরনের হাতাহাতি যুদ্ধ যেখানে প্রতিপক্ষ বর্ম, শিরস্ত্রাণ পরিহিত
অবস্থায় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হত। এখানে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন মার্শাল
আর্টের দাচি (পায়ের অবস্থান), আঘাতের কৌশল, পিছু হাটার কৌশল ব্যাবহার
করতেন।
ধ্রুপদী এসব কৌশল
গড়ে ওঠার সময় তাগড়া তাগড়া, শক্তিমান, খ্যাতিমান মার্শাল আর্টিস্টদের নিজ
দলে ভিড়িয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী সমাজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করত। এর ফলে
ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত হাজার হাজার ঘরনার মার্শাল আর্ট গড়ে উঠল।
এই এক একটা ঘরনাকে Ryu নামে অভিহিত করা হত। যে সকল Ryu অস্ত্র ছাড়া
খালিহাতে প্রতিপক্ষকে ধরাশয়ী করত যেমন Yoroi kumi-uchi, Kumi-uchi,
Kogusoku, Koshi no mawari, Yawara-ge, Yawara-gi, Hakuda, Shubaki, Kempu,
Taijitsu, wajutsu, & torite এর কোডকান জুডোর কাতা সৃষ্টিতে দারুন
অবদান রয়েছে।
সপ্তদশ শতাব্দীতে জাপানী শাসন ব্যাবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। সে সময় Tokugawa পরিবারের রাজত্বকালে ক্ষত্রিয়রা তাদের গুরুত্ব হারায় এবং মার্শাল আর্ট একটি উৎপাদনহীন অর্থহীন কাজে পরিনত হয়। মেধাভিত্তিক ঐ সমাজ বিবর্তনে এ শরীর নির্ভর শ্রম ধ্বংসমুখে পতিত হয়। সামাজিক স্তরবিন্যাসের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ক্ষত্রিয়রা দ্বিতীয় স্তরে অধঃপাতিত হয়। এ সময়ে সাধারন মানুষের ধর্মীয় আবেগ ও Spiritual চিন্তা দ্বারা প্রতাপাদিত্য এ শিল্পটি প্রতিস্থাপিত হয়।
যে সকল মার্শাল আর্ট সর্বনিম্ন অস্ত্র ব্যাবহার করে শুধুমাত্র পেশীশক্তির দ্বারা শত্রুকে পরাজিত করত তাদের সাধারনভাবে জুজুৎসু নামে অভিহিত করা হত। তবে এ ধরনের পদ্ধতিকে যোদ্ধারা দ্বিতীয় শ্রেনীর মনে করত। তাদের প্রথম পছন্দ ছিল তলোয়ার শিক্ষা। যেহেতু ক্ষত্রিয়রা তাদের মর্যাদা হারিয়েছে, সাধারন মানুষ ক্ষমতায় তাই এ ধরনের কৌশল ক্ষমতাসীনদের বিনোদনে পরিনত হল। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে জুয়ার আসরে, পতিতাপল্লীর রঙ্গলীলায়, সামাজিক অনুষ্ঠানে এ জুজুৎসু সাধারন মানুষের বিনোদনের মাধ্যমে হয়ে উঠল।
ঊনবিংশ শতাব্দী নাগাদ জুজুৎসুতে এমন ধরনের কৌশলের বাহার ছিল যে তা অস্ত্রহীন কিংবা অস্ত্রধারী উভয়ের বিরুদ্ধে সমানভাবে কার্যকর ছিল। এ সময় এটি এমনভাবে বিস্তার লাভ করে যে তাদের মধ্যে পেশাগত ঈর্ষা ও কৌশল সংযোজন-বিয়োজনের ফলে তা বিভিন্ন ঘরনার জুজুৎসুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চর্চাকারীরা নিজের মত করে এর উন্নতি, সম্প্রসারণ করতে থাকে; ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে জুজুৎসুর প্রায় ৭০০টি স্টাইলের উদ্ভব হয়। এ বিভক্তিকে সে সময়ের জাপানী সমাজের ভাব ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp.16-20.
Picture: Two warriors engaged in yoroi kumi-uchi on battlefield.
Nineteenth-century woodblock print by Ichieisai Yoshitsuya, from the Draeger collection.
সপ্তদশ শতাব্দীতে জাপানী শাসন ব্যাবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। সে সময় Tokugawa পরিবারের রাজত্বকালে ক্ষত্রিয়রা তাদের গুরুত্ব হারায় এবং মার্শাল আর্ট একটি উৎপাদনহীন অর্থহীন কাজে পরিনত হয়। মেধাভিত্তিক ঐ সমাজ বিবর্তনে এ শরীর নির্ভর শ্রম ধ্বংসমুখে পতিত হয়। সামাজিক স্তরবিন্যাসের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ক্ষত্রিয়রা দ্বিতীয় স্তরে অধঃপাতিত হয়। এ সময়ে সাধারন মানুষের ধর্মীয় আবেগ ও Spiritual চিন্তা দ্বারা প্রতাপাদিত্য এ শিল্পটি প্রতিস্থাপিত হয়।
যে সকল মার্শাল আর্ট সর্বনিম্ন অস্ত্র ব্যাবহার করে শুধুমাত্র পেশীশক্তির দ্বারা শত্রুকে পরাজিত করত তাদের সাধারনভাবে জুজুৎসু নামে অভিহিত করা হত। তবে এ ধরনের পদ্ধতিকে যোদ্ধারা দ্বিতীয় শ্রেনীর মনে করত। তাদের প্রথম পছন্দ ছিল তলোয়ার শিক্ষা। যেহেতু ক্ষত্রিয়রা তাদের মর্যাদা হারিয়েছে, সাধারন মানুষ ক্ষমতায় তাই এ ধরনের কৌশল ক্ষমতাসীনদের বিনোদনে পরিনত হল। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে জুয়ার আসরে, পতিতাপল্লীর রঙ্গলীলায়, সামাজিক অনুষ্ঠানে এ জুজুৎসু সাধারন মানুষের বিনোদনের মাধ্যমে হয়ে উঠল।
Picture:The sumo technique of uchi-gake (the inner hook).
Late nineteenth-century woodblock print from the Draeger collection.
ঊনবিংশ শতাব্দী নাগাদ জুজুৎসুতে এমন ধরনের কৌশলের বাহার ছিল যে তা অস্ত্রহীন কিংবা অস্ত্রধারী উভয়ের বিরুদ্ধে সমানভাবে কার্যকর ছিল। এ সময় এটি এমনভাবে বিস্তার লাভ করে যে তাদের মধ্যে পেশাগত ঈর্ষা ও কৌশল সংযোজন-বিয়োজনের ফলে তা বিভিন্ন ঘরনার জুজুৎসুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চর্চাকারীরা নিজের মত করে এর উন্নতি, সম্প্রসারণ করতে থাকে; ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে জুজুৎসুর প্রায় ৭০০টি স্টাইলের উদ্ভব হয়। এ বিভক্তিকে সে সময়ের জাপানী সমাজের ভাব ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ঐতিহ্যগতভাবে জাপানের প্রত্যেকটি ধ্রুপদী মার্শাল আর্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল।
বহু বছরের সাধনায় একজন শিক্ষার্থী এক ঘরনায় পারদর্শী হত। ঈর্ষা, ত্যাগ,
শ্রম, অধ্যবসায়ের ফলে সে পরিপূর্ণ যোদ্ধা ও অভিজ্ঞতায় ভরপুর হয়ে উঠত। তখন
কাতাই ছিল একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম যাতে যোদ্ধারা নিজেদের যাচাই করতে পারত।
সাধারন চর্চা কোন চর্চা হিসেবেই গন্য করা হত না। প্রত্যেকটা প্রশিক্ষণ ছিল
এক একটি যুদ্ধক্ষেত্রের সমান বিপদসংকুল। কাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থী আক্রমণের
ধরন, প্রতিআক্রমণ, প্রয়োজনে পিছুহাটা আবার আগ্রাসন চালানো, আঘাতের সাথে
নিজে মানিয়ে নেওয়া, শত্রুকে কুপোকাত করা, প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরের বিশেষ
অঙ্গের দক্ষতার উন্নতিসাধন ও সাহস অর্জন করত । এককথায় "By harmonizing
himself in this fashion, the warrior embodied the nobility of his
spirit."
একপক্ষ মনে করত কাতা নয় প্রকৃত রণক্ষেত্রই হল আসল জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার উৎস। আর সে রণক্ষেত্রের প্রস্তুতির জন্য নিজের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত কার্যকরী কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে শানিত করত। কেউ কেউ আবার বলতেন কাতার শিল্পমূল্য আছে কিন্তু বাস্তবে এটি কিছু অঙ্গের নাড়াচাড়া আর কিছু না, এটি প্রদর্শনীতে দৃষ্টিনন্দন কিন্তু রনক্ষেত্রে অকেজো অথর্ব।
একপক্ষ মনে করত কাতা নয় প্রকৃত রণক্ষেত্রই হল আসল জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার উৎস। আর সে রণক্ষেত্রের প্রস্তুতির জন্য নিজের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত কার্যকরী কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে শানিত করত। কেউ কেউ আবার বলতেন কাতার শিল্পমূল্য আছে কিন্তু বাস্তবে এটি কিছু অঙ্গের নাড়াচাড়া আর কিছু না, এটি প্রদর্শনীতে দৃষ্টিনন্দন কিন্তু রনক্ষেত্রে অকেজো অথর্ব।
Bibliography:
No comments:
Post a Comment