আমার মতো তরুন পুরুষে কি দেখে ? দেখে লাল লিপিস্টিক, কাজল দেওয়া চোখের ভিতর নিকষ কালো চোখের মনি শুধু এদিক যায় আর ওদিক যায় সাথে সৌন্দর্যপিপাসু মনও দোল খায়। আর যখন ভ্রুর কটাক্ষের সাথে রক্তজবা বাঁকা ঠোঁটে মুচকি হেসে পাশের জনকে বলে এই দেখো নাগর তখন মনে হয় তো আমি শেষ। আর এই সুন্দরী যখন কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মিষ্টি হেসে বলে Thank You তখন তো মনে হয় আকাশ থেকে পড়ে চুরমার ছারখার হয়ে গেলাম।
চোখের মুগ্ধতা মনে গিয়ে লেগেছে । তাহার আলতা দেওয়া সোনার বরণ পাও বুকে নিয়েইতো জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। এতো রূপ এতো সৌন্দর্য ! জানি না সত্যিকারের রাঁধা কেমন ছিল তবে আমার চব্বিশ বছরের জীবনে দেখা সেরা রূপবতী সে। অবশ্য তাহার চোখে আমি একজন ভিনদেশী যুবক একজন বাঙাল।
একজন মনিপুরী সুন্দরী কি ভাবে বসে ? বসে তার ড্রেসের ভিতবে, বসে বসে ডাগর ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে। চোখে যেন খঞ্জনি পাখি খেলা করে।
রাত জেগে দেখা মনিপুরীদের এই রাসলীলা দেখে সকালে ঘুমাতে গিয়েও স্বপ্নে দেখেছি সে আলতা দেওয়া পায়ের রূপ, মেহেদি দেওয়া হাতের চলন। মুগ্ধতা যেন কাটেই না। আট বছরের নিচে মাধব আর রাইকে ঘিরে ব্রজবালাদের নৃত্য, সখি বিশাখার নৃত্য সারা রাত জাগিয়ে রেখেছে আমাকে। প্রথম সারিয়ে ভিনদেশ দাড়িওয়ালা যুবককে দেখে সুন্দরীরা বারবার তাকাচ্ছিল আর চোখাচোখি হচ্ছিল আর পুরূষ যেহেতু ভ্রমরের জাতি ঠিক থাকে না মতিগতি তাই ভাবছিলাম এর মধ্যে আসলে কে বেশী সুন্দর কিন্তু যার দিকে তাকাই তাকেই আরো ভালো আগে, আহা! আহা! আর এই সুন্দরীদের রূপসুধা পান করে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম, ইহাকে আমি অপহরণ করিয়া লইয়া যাইবো ।
পরে বন্ধুর কাছে শুনলাম নিলে অপহরণ করেই নিতে হবে কারন মনিপুরীরা ভিনজাতের ছেলেদের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয় না। নাচের পরে এক সুন্দরীর সাথে কথা বলতে পারতাম, সুন্দরী নাচের মাঝে প্রশংসা বানীতে গলে গিয়েছিল কিন্তু বললাম না কারন থাকনা এ মুগ্ধতা, এ দেবদুহিতার সাথে জীবনে আর কোন দিন হয়তো দেখাই হবে না কিন্তু এ মুগ্ধতা, সৌন্দর্যপিপাসু মনের এ সন্তুষ্টি চিরদিনই থাকবে।
মনিপুরী সংস্কৃতি এতো সমৃদ্ধ জানতাম না ! অনান্য জায়গায় দেখেছি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতিসত্তার, বিভিন্ন ভাষার গান বাজিয়ে, অনেকটা মিশ্র দ্রব্য, পোশাক, খাদ্য দিয়ে অনুষ্ঠান করতে কিন্তু মনিপুরীরা এতোটাই মৌলিক যে একটা অনুষ্ঠানের সব সামাজিক প্রয়োজন মেটাতে পারে (খাদ্য, নৃত্য, গান, বাদ্যযন্ত্র, ভাষা সাজ, পোশাক সব সবকিছু) । বাংলাদেশের জাতিসত্তার অন্যতম সেরা জীবন দর্শন ও পোশাক তাদের বিশেষ করে মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী নাচের পোশাক তো আমার কাছে দারুন মনে হয়েছে। তাদের খাবারটাও অসাধারন। ওনারা পেয়াজ খান না, তেল ও মসলা কম দিয়ে যে রান্নাটা করেন যেন অমৃত। আতপ চালের ভাত এই প্রথম আমি খেলাম। খেলাম শুটকি মাছের তৈরি শীতল ( নাম ভুল হতে পারে।) ইলিশ মাছের তরকারির সাথে একটু একটু করে শীতল নিয়ে খেতে দারুন লেগেছে। প্রথম জানতাম না এভাবে খেতে হয়, আমি ওটা দিয়ে ভাত মাখিয়ে ফেলেছিলাম পরে বন্ধু বলল এভাবে খা। খাবার শেষে খেলাম দুধ, যেমন মিষ্টি তেমন স্বাদ ! (নিজস্ব খামারের দুধ) । মনিপুরীরা মাংস খান না তাই দুগ্ধজাত দ্রব্য বেশী খেয়ে থাকেন। রাখাল নৃত্য দেখার পরে খেয়েছিলাম নাডু, মুড়ি, চিড়া, তিলের তৈরি অসাধারন স্বাদের খাবার। ওঁরা অনেক অতিথি পারায়ণ, দুই দিনে মনে হয়েছে আমি নিজের পরিবারের সাথে, নিজের সাথীদের সাথে আছি। ছোলা ভাজি দিয়ে আতপ চালের ভাত আর সিমের বিচি (সম্ভাবত) দিয়ে রান্না করা ডালের স্বাদতো এখনো মুখে লেগে আছে। আর হ্যা, ওরা খুব পান খায়, ও পান দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করতে ভালোবাসে, রাসলীলা দেখার সময় আমাকেও চারপাশের মানুষ পান সেধেছে কিন্তু খাই নি, এখন পস্তাচ্ছি কেন খেলাম না ওই খাসিয়া পান?
স্থান - মাধবপুর লেক, বন্ধুকে বললাম যে আমি বান্দরবনের বগা লেকেও গিয়েছি। বন্ধু হেসে হেসে কুটিকুটি হয়ে বলে, আমাদের এখানে (সিলেটে) বগা মানে কি জানিস? - কি? -ধোন। -আরে শাউয়া ! ধোনরে যে বগা কাও তা আগে কবা না ?
বৃষ্টির ভোর শাহবাগ চা এর দোকানে ধোয়া ওঠা চা এর দিয়ে তাকিয়ে কিন্তু ভাংতি টাকা নাই। এমনিতে প্রমের বৃষ্টি ছাতি মানে না তার উপর বাসও আসে না। এলো টাইটেনিক, উঠলাম, কারওয়ান বাজার উপসাগর পার হলাম, শুনলাম কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া নাকি মহাসাগর হয়ে গেছে তাই ওখান দিয়ে এ ছোটখাটো জাহাজ পার হতে পারবে না। আগত্য নামলাম আগারগাঁও। চারপাশে কেউ নাই, দূরে দুই ট্রাফিক পুলিশ দাড়িয়ে দাড়িয়ে বিড়ি ফুঁকছে, এদিকে আমার আসছে মুত ! মেশিন বের করে চারপাশে ফায়ার করে দিলাম। কিসের মানবাধিকার ঘোষনা ? কিসের জাতিসংঘের অর্থনৈতিক সামাজিক মুক্তির সনদ ? স্বাধীন ভাবে মুতার স্বাধীনতার চেয়ে আর বড় কোন স্বাধীনতা আছে নাকি। এই যে আগারগাঁও চৌরাস্তার মোড়ে মুক্ত স্বাধীনভাবে মুত্র বিসর্জন করে মানবাধিকারের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলাম তা এক দিন বিশ্ব মুত্র স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হবে, হাজার হাজার NGO মুত্র বিসর্জন নিয়ে কাজ করবে, Nature কিংবা Climatic Change সাময়িকিতে এ নিয়ে গবেষনা প্রবন্ধ প্রকাশিত হবে, Stanford University মুত্র বিসর্জনকে আরামদায়ক করতে নতুন প্রযুক্তি সৃষ্টি করবে আর আমি বিশ্ব শান্তিতে সবচেয়ে বেশী অবদান রাখার জন্য পাবো ট্রিপল নোবেল।
এতোগুলো ফ্লাইওভার করে কি লাভ হল জ্যাম তো কমেই না বরং বাড়ছে। ৭.৩০ এ মিরপুর থেকে বাসে উঠে ৯.৫০ এ তালতলা জ্যামে আটকে আছি। ২.৩ঘন্টায় ৫কি. মি. । কি গতি! ফ্লাইওভার তৈরির ওই টাকা জনগনের বালকাটা প্রকল্পে অর্থায়ন করলে বরং পাব্লিকের স্বাস্থ্য ভালো হতো। এবং কনডম বিতরন কর্মসূচি নিলে ওই সব কমনসেন্স বিহীন দুর্নীতিবাজ নগর পরিকল্পনাবিদের জন্ম হতো না ফলে এই জ্যামে আটকে থাকতে হতো না। বাস ড্রাইভার কোন সাহসে ট্রাফিক সার্জেন্টকে মামা কয়? পাশের যাত্রী কয়, মাল খায় ভাই মাল খায়। আর ৩য় শ্রেনীর চাকরী করে প্রাইভেট গাড়ী চড়ে ওরা? ওরাও মাল খায় ভাই মাল খায়। আরে দু:র! ওরা মাল খায় আর আমি নেশা করি। ভাই কি মাতাল? আরে মিয়া মাতাল দেইখাইতো বলতেছি, রামপাল আর রূপপুরে পরিবেশের ক্ষতি হয় না ক্ষতি হয় না, ক্ষতি হয় ছেলেমেয়েরা একটু চুমু খেলে আর বাইরে ব্যায়াম করতে বেরলে ! হে হে! যা শালা! নেশাটা আজ একটু বেশি হয়ে গেছে! কি বলে ফেললাম। আমার আবার গোয়ার কাপড় নাই কিন্তু মাথায় ঘোমটা দিয়ে চলতে হয়। তাই দেশ, রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখি না।
নির্দিষ্ট বয়সের পরে ভোটার হওয়ার ধারণাটা আমার ঠিক পছন্দ হয় না। বয়সতো ছাগলেরও হয় গরুরও হয়, তাই বলে নির্দিষ্ট বয়সের পরে ভোটার হবে এমন কোন কথা নাই। ভোটার হতে হলে তাকে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, বিশ্বায়ন, ভাষাগতসহ নির্দিষ্ট পর্যায়ের ও গুণের জ্ঞান অর্জন করতে হবে ও পরীক্ষা দিয়ে পাস করতে হবে তাহলেই সে ভোটার হিসেবে গন্য হবে। আগল পাগল ছাগলকে কোন জ্ঞান, প্রশিক্ষণ ছাড়া ভোটাধিকার দেওয়া চলবে না। ভোটার হওয়ার জন্য SSC পরীক্ষার মত পাবলিক পরীক্ষা হওয়া উচিত কিংবা BCS পরীক্ষার মতো ধাপে ধাপে যোগ্যতা যাচাই করে তবেই ভোটাধিকার দেওয়া যেতে পারে। মাথায় মাল ও কর্মে নিপুণতা থাকলে তাবেই ভোটার হবে। দেশে দুই ধরনের মানুষ থাকবে - ১) সাধারণ মানুষ, ২) ভোটার। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারবে না, তারা উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকবে, তা সন্তান, বেলুন, খাদ্য কিংবা যাই হোক না কেন। আর ভোটাররা তাদের তীক্ষ্ণ চিন্তাশক্তি, বিদ্যা বুদ্ধি দ্বারা দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিসহ সব ঠিক করবে। আর সাধারন মানুষ তখন বাৎসায়ন সূত্র প্রাকটিস করবে। রাত অনেক হল আপনারা বাৎসায়ন সূত্র প্রাকটিস করুন, আমি ঘুমাই।
ঘুম থেকে উঠে দেখি রুমের সামনে কে যেন ৭২ ফ্রন্টের ব্রা ঝুলিয়ে রেখে গেছে। কোন শালা রে ? ৩৬ ফ্রন্টের হলেও একটা কথা থাকে, ডাইরেক ৭২ ফ্রন্ট ! ওয়াশরুম পর্যন্ত যেতে যেতে দেখি অনান্য রুমের সামনেও ঝুলছে। পরে পর্যবেক্ষণ আর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বুঝলাম এগুলো টিনারই ব্রা। কারন টিনার সাথে আমার গোপন অভিসার ঘটে চারবছর পর পর। জার্মানি যখন সাত সাত বার ব্রাজিলের ব্রা খুলে নিয়ে গেল কই তখন তো প্রতিবাদ করি নাই বরং দুই হালি বার কেন খুলে নাই ভেবে দুঃখ পেয়েছিলাম। দিত আর্জেন্টিনা ওরূপে টিনার ব্রার দিকে হাত, হাত কেটে নিয়ে আসতাম না। যাইহোক আবার আসিতেছে ২০১৮ সাল তখন রুমের সামনের ব্রাগুলি ব্রাজিল আর টিনা গয়নাগাটি পরে আর্জেন্টিনায় পরিনত হবে; সে পর্যন্ত ওরা ঝুলিতেই থাকুক।
বলধা গার্ডেনে ঢুকে দেখি গাছে বাদুর ঝুলে আছে আর ফাকে ফাকে জুটি বসে আছে আর এক জুটি পুকুর পাড়ে মাছ ধরা দেখছে। জায়গাটা দারুন পাখির ডাক আছে, সবুজের সমারোহ আছে, পদ্মফুল আছে, আর্কিড আছে, মাছ আছে, সুন্দর ছেলেদের সাথে সুন্দরী মেয়ে আছে, মোটের উপর জায়গাটা বেশ। রবীন্দ্রনাথ এখনকার যে জয় হাউজে বসে ক্যামেলিয়া কবিতাটি লিখেছেন তার দেওয়ালে একলা কনিক নামে অন্য এক প্রেমবিদ" প্রেম করা মানে অন্যের বউকে পাহারা দেওয়া" লিখে স্মরনীয় হতে চেয়েছেন। ওয়াশরুমের গিয়ে দেখি লেখা, হোটেল ০১৭২************। " দিলাম ফোন। - হ্যালো ভাই - ভাই লেখা দেখলাম হোটেল - হ্যা ভাই - কি সু্যোগ সুবিধা আছে ভাই ওখানে - গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আসবেন, না হলে এমনিই আসবেন যা চান পাবেন - তাই নাকি - ওই জায়গায় এসে ফোন দিয়েন
অনেকদূর হেটে আসছি শরীর আর চলছে না, সরোবরে কাকেরা পানি খাচ্ছে, পাশে জুটিরা প্রেম করছে আর আমি কাটা সাইকাস ( Cycas Microzamia) এর পাশে শুয়ে একটু দম দিয়ে নিচ্ছি। গাছে পাখির এমনন ডাক অনেকদিন শুনিনি, বেশ মধুর লাগছে।
ভিতরে নরেন্দ্রনারায়ণ রায় চৌধুরীর সমাধির গায়ে লেখা রয়েছে " Lord grant me infinite love and light and end endless journey. " আর অপর পাশের লেখার শেষ লাইন " Drop me a flower! - goodbye! মনটা কেমন যেন হয়ে গেল। গাছ থেকে একটা ফুল নিয়ে সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালাম।
তিনটি চালাঘরের ক্যাকটাস, অর্কিড সংগ্রহ মন ভরিয়ে দিয়েছে, ইয়া বড় বড় জায়ান্ট ক্যাকটাস! আর গাছের নাম ভুতনাগ/ভুতনাগিনী , বিচিত্রবকুল, রসুনসুদি। ব্যাস্ত ঢাকায় একটু তৃপ্তি সুখ এনে দিল এই সবুজের সজীবতা।
রাত বারোটা ফোন এলো গেলাম ঢাকা মেডিকেলে, আত্মীয়ের স্ত্রী কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। কি শীতল অভিনন্দন ! সবার মুখ কালো, ভারী ! কেউ যেন খুশী নয় ! যেন এক অভিশাপ নেমে এসেছে ! হায়রে কন্যা সন্তান ! যে নারীকে নিয়ে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লেখা হয়, প্রিয়তমা সাজানো হয়, সাহিত্য ভরে ওঠে উপমায় তাকেই স্বাগত জানানো হয় না পৃথিবীতে ! এক অবাঞ্চিত অনাদরে পৃথিবীতে এল এই মানব সন্তান । নারী, কন্যাশিশু এই আধুনিক সমাজেও যেন এক বিভিষিকার নাম !
বেগম রোকেয়ার যে বছর জন্ম হয় সে বছর তার স্বামী চাকরিতে যোগদান করেন। আমি তো মাত্র ছাত্র সুতরাং আমার স্ত্রীর তো এখনো জন্মই হয় নি। কিন্তু না ; আমি বিয়ে করবো PhD ডিগ্রিধারী মেয়ে, আমার সমবয়সী কিংবা বড়ও হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় ভাইকে দেখেছি বিয়ে করেছেন ইন্টারমিডিয়েট পড়ছে বা হাইস্কুলে পড়ছে এমন মেয়ে। এখানে কাজ করেছে কচি নরম মাংসের লোভ। মাংসে বিতৃষ্ণা আসতেই শুরু হয়েছে নতুন জ্বালা, বউ ভালো লাগে না, মতের মিল হয় না, কথা বুঝে না, কিছু শেয়ার করতে পারি না ইত্যাদি।
একে বলে ব্যাক্তিত্বের সংঘাত। যে আমার পথে না হেটেছে, আমার খেলা না খেলেছে, আমার পরিবেশে না থেকেছে তার সাথে আমি কি করে শেয়ার করতে পারি আনন্দ, কিংবা তথ্য ? ফলে বিয়েটা হয়ে যায় বাসে/লঞ্চে যেমন লেখা থাকে "এলাহি ভরসা" তেমনি। বউ হয়ে ওঠে দাসী আর স্বামী হুকুমওয়ালা আর তাছাড়া যদি বাচ্চাকাচ্চা হয় তারাই হয় স্বামীস্ত্রীর মধ্যে সেতুবন্ধন আর কোন মানসিক বন্ধন ওদের মধ্যে থাকে না।
মাংস নয় মানসিক সুকুমারবৃত্তিই বড় সৌন্দর্য। লিপিস্টিক, উচুবুকের ঢেউ বড় ক্ষনস্থায়ী কিন্তু অন্তর্জগতের জ্ঞান, বিদ্যা অর্জনের সাধনা চিরস্থায়ী, তা ক্রমসোমের মাধ্যমে সঞ্চারিত হবে পরবর্তী বংশধারায়। তাই মাংস নয় জ্ঞানই হবে আমার অর্ধাঙ্গের সৌন্দর্য।
পর্নোগ্রাফি পুরুষতান্ত্রিকতার চরম বহিঃপ্রকাশ । নারী প্রত্যেকটা গহ্বর পুরুষের কাছে যোনি সদৃশ্য। বংশধারা উৎপাদনের সময় সে নারীকে কারো সাথে শেয়ার করবে না কিন্তু ভোগের সময় নারীকে সে ভাবছে মাংসের পিস; ভাগ ভাগ করে ভোগ করছে তারা এভাবেই দেখানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফিতে । আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে কিংবা সামাজিক বিধির নিষেধের কারনে অপূর্ণ অবচেতন মনের চাওয়া পর্নোগ্রাফিতে পাচ্ছে বাস্তব রূপ।
আর সদ্য নিন্মাংগে চুল গজানো কিশোর কিংবা টেকো মাজাভাংগা বুড়ো সবাই প্রভাবিত হচ্ছে সেলুলয়েড ফিতার ক্রিয়া দ্বারা। ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন বাড়ছে, বাড়ছে ধর্ষণ আর হত্যা। নারী অধিকারের রিও সম্মেলন কিংবা সিডো সনদ কিংবা জাতিসংঘের ঘোষনাপত্র শুধু কাগুজে লেখার কঝকানিতে পরিনত হচ্ছে। বানিজ্যের এ যুগে প্রেম যেমন পন্য, সংগম তেমনি সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। ফলে কমছে পারিবারিক বন্ধন। রোকেয়া, ওলস্টোক্রাফট, কেইট মিলেটের নাম নারীরাই উচ্চারণ করে না পুরুষের কি দোষ। পন্য বিক্রির উদেশ্যে বুর্জোয়া সম্প্রদায় নারীকে ব্যবহার করেছে শুধুই ভোগ্যবস্তু হিসেবে আর কিছু না। আর এই পর্নোগ্রাফি ভোগবাদেই ফলাফল। পুরুষতন্ত্র এমনি জিনিস যা চিত্রাঙ্গদাকে পর্যন্ত অর্জুনের বিছানায় নিয়ে ফেলেছে, আইডাকে (টেনিসনের প্রিন্সেস গ্রন্থের নায়িকা) পর্যন্ত বিয়ে দিয়ে ছেড়েছে।
ত্বক মানুষের ( বিশেষ করে মেয়েদের) greatest property. ত্বকে কি না হয়, ত্বক দেখে প্রেমিক বেহুঁশ হয়, রাস্তার মানুষ তাকিয়ে থাকে, কেউ বা রূপোন্মত্ত. হয়ে পিছে ঘুরে, ত্বক ফর্সা হলে প্রেমিকের অভাব হয় না, স্বামীরও হয় না। যে মেয়ে সুন্দরী বা ফর্সা তার জীবন অনেকটাই ওই ত্বকের কারনে সহজ হয়ে যায়। সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কবিরা কবিতা লেখে, ভারতচন্দ্রের বিদ্যা, আলাওলের পদ্মাবতী, হোমারের হেলেন, বাল্মীকির সীতা সবাই ত্বকে ফর্সা ; আর কোন গুণ থাকুক না থাকুক। কালো মেয়েদের কোন সাহিত্যে নায়িকা হতে দেখিনি আমি। সব জায়গায়ই রূপের জয়জয়কার। আর আমি যেহেতু কাল সুন্দরী মেয়েদের সাথে কথা বলা আমার মৌলিক অধিকার।
সবই মেলাটোনিন এর খেলা দাদা। তাইতো একটু মেলাটোনিন কম দেখানোরর জন্য লোকে কত কিছু মাখে, রংগ করে, প্রসাধনী ব্যাবহার করে।
যে ফুল রাতে ফুটে তাতে বর্ণধারী প্লাস্টিড থাকে না ফলে সাদা হয় কিন্তু যে মেয়ে রাতে ঘুরে অর্থাৎ বারনারী হতে শুরু করে গৃহনারী সবাই বর্ণধারী হয়ে বেশী পতংগ আকর্ষণ করতে চায়।
আর এই সুন্দর ত্বকওয়ালীরা সুন্দরী বা রূপসী নামে পরিচিত মেয়ে পাড়ার ছেলেদের হট লিস্টে থাকে। আর তাদের কাছ থেকে " মাল" শব্দটা শুনতে চায়। ছেলেরা যাদি কোন মেয়েকে মাল না বলে বুঝতে হবে মেয়েটি ত্বকে সুন্দর না।
বিয়ের বাজারেও এই সুন্দর ত্বকওয়ালীদের দাম আছে। সবাই সুন্দরীদের বিয়ে করতে চায় কারন সেই পুরানো Syllogistic Argument , " All Cretans are liars, Epimenides is a Cretan. "
এই উপসংহার যেমন " Epimenides is a liar. " তেমনি সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করা মানে সুন্দর বংশধর নিশ্চিত করা, বলে লোকে মনে করে।
তাইতো চন্দ্রবিন্দু গেয়েছিল, " ত্বকের যত্ন দিন।" সবাই ত্বকের যত্ন নিয়ে আরো সুন্দর হয়ে " কি জিনিস বানিয়েছ গুরু" টাইপের flattery কথা শুনতে চায়। এ যেন Godel's Incompleteness Theorem। রূপগ্রাহী আর রূপচর্চার শেষই হবে না। যদি রূপ দেখে DNA এর Double Helical Structure এর মতো একপাশে ভাতার অন্য পাশে নাং না থাকলো সেটা কিসের ত্বক কিসের রূপ হু?
দেশ কাল এলাকা ভেদে কিছু শব্দ আছে যা লোকে গালি হিসেবে মনে করে না বরং বন্ধুত্বের নমুনা বা অন্তরঙ্গতা বলে করে। যেমন আমরা বাল শব্দটা ব্যাবহার করি অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে যেমন বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা ঘনিষ্ঠজনদের সাথে। কেউ কিছু মনে করে না। অনেক সময় বন্ধুকে বোকাচোদা বলে গালি দেই, তাতে বন্ধুত্ব নষ্ট হয় না বরং মজবুত হয়। জানা গালিগুলো যদি বন্ধুদের সাথে ব্যাবহার করতে না পারি তাহলে সেটা স্বার্থের সম্পর্ক মনের না।
ইদানীং কিছুছেলে ইংরেজি মুভি দেখে "Fuck", "Fuck You ", "Shit" শব্দগুলো শিখেছে। যার সরল বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায় "আমি তোকে চুদি " আর "গু"। যেটা আমাদের সমাজের প্রচলিত ভাষারীতির সাথে যায় না। এটা হয়তো ওই দেশের সংস্কৃতির, মূল্যবোধের সাথে যায় কিন্তু আমাদের দেশে তা কেউ ব্যাবহার করে না কারন তা মূল্যবোধ ও প্রচলিত Code of Conduct এর violation বা লংঘন। কেউ হয়তো shit বা fuck you ব্যাবহার করে ভাবছে আমি সভ্যতার এক ধাপ এগিয়ে গেলাম, তা কিন্তু না। বরং সমাজের রীতি ভাংগার কারনে, ভাষা দূষনের কারনে লোকে তাকে খারাপ বলবে এটাই নিয়ম।
প্রত্যেকটা গালির একটা Sociological Background আছে। সমাজের এক এক ধরনের নিয়ম ভাংগার কারনে এক এক গালি নির্দিষ্ট আছে। কেউ যদি সেটা না জানে তবে ভাষার মাধূর্য হতে সে অনেক খানি বঞ্চিত হল। ( গালি সম্পর্কে জানতে ব্লগের এই পোষ্টটি দেখা যেতে পারে http://apekhik.blogspot.com/2016/07/blog-post_5.html?m=1 )
সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা না জেনে গালি ব্যাবহার করাও এক ধরনের মূর্খতা। গালি ভাষার অলংকার তাই shit কিংবা Motherfucker কোথকে শিখে এসে বাংলা ভাষা দূষন না করাই ভাল।
সেক্স, মাস্টারবেশন, ব্রেস্ট, ভেজিনা, ডিক শব্দগুলো শুনলেই মানুষ কেমন যেন চমকে ওঠে। আর এই সমপর্কে কেউ কিছু লিখলে সে তো আস্ত বেয়াদব। সেক্স তো কোন ট্যাবু বা নিষিদ্ধ বিষয় নয়, স্বমৈথুন বা মাস্টারবেট এমন কিছু নয় যে লোকে করছে না। কিন্তু কিছু বললেই জাত গেল গেল রে ভাব। আমার বাবা একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক। ছোটবেলা থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য, বয়:সন্ধি কালের সমস্যা সহ স্বাস্থ্যবান জীবন ধারন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুস্তক পুস্তিকা বই লিফলেট আমাদের ঘরে দেখেছি। কৌতূহল বসত পড়েছিও।
আর স্কুলে কিংবা কলেজে প্রজনন স্বাস্থ্য কিংবা নারী জননাংগ, পুরূষ জননানংগ নিয়ে স্যার রা কোন দিন পড়ান নি। এমন কি বায়োলজি স্যার পর্যন্ত ওই চ্যাপ্টার স্পর্শ করেন নি।
চারপাশে ছেলেগুলোকে দেখে পর্ন দেখে শুক্রক্ষয় করে। এমননি কিছু কিছু ছেলের কাছে ঘুমানোর আগে পর্ন দেখা একটি নেশা, শিল্প। এগুল সবই ঘটে প্রজজন স্বাস্থ্য সমপর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য না জানার করনে কিংবা সংগদোষে।
শুক্র বা Sparm এর কাজ কি? গঠন কি? ধারন করলে কি হয়? আধ্যাত্মিক বা Spritual ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কতকখানি? অধিকাংশ ছেলে তা নিয়ে ভাবে না। তারা শুধু শুক্রুক্ষয় জনিত আনন্দ নিয়েই ব্যাস্ত বা সন্তুষ্ট।
বাউল সাধক থেকে সুরু করে Spiritual গুরু সবাই অভিজ্ঞতাজনিত জ্ঞানে বলেন, বীর্য ধারনই জীবন, বীর্য পাতই মরন।
ভারতীয় দর্শন বীর্য ধারনের উপর জোর দিয়েই প্রতিষ্ঠত।
আমাদের শিক্ষাক্রমে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে যা আছে তা যথেষ্ট কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্কুলে পড়ানো হয় না। ফলে তারা জানে না। যতটুকু জানে তা বন্ধুর মাধ্যমে এবং তা গতানুগতিক ভাবে Misconcept ও ভুলে ভরা তথ্য আর এই তথ্যই পরবর্তী কালে Sexual Knowledge কিংবা Terms তাদের কাছে Taboo বা নিষিদ্ধ বস্তুর মত হয়ে যায়। ফলে Sex কিংবা মাস্টারবেট শুনলে তারা তারা আতকে ওঠে।
Sex কিংবা Blowjob কিংবা যে কোন ধরনের Sexual Activity একটা শিল্প। সঠিক জ্ঞান ছাড়া, স্নায়ুগত ধারনা ছাড়া পরিপূর্ণ আনন্দ এটা থেকে পাওয়া সম্ভব না।
তাই এটাকে ট্যাবু / নিষিদ্ধ না ভেবে বৈজ্ঞানিক তথ্য জানার জন্য আলোচনা কিংবা Study করা বাঞ্চনীয়।
আর যদি এ ধরনের জ্ঞানের জন্য " সদরঘাট কিংবা গুলিস্তানের জোকের তেল বিক্রেতার " শরনাপন্ন হও তাহলে আনন্দটাও ক্ষনস্থায়ী আর প্রজনন স্বাস্থ্যটাও জোকের মত হিরোইঞ্চি টাইপ হবে।
Choice is yours bro.
Lead a healthy sexual life. ভারতীয় দর্শনে
জীবনের পাঁচটি লক্ষের কথা বলা হয়েছে "কাম" বা যৌন তৃপ্তি তার একটি। Don't make it a taboo. Make it a knowledge. Practice healthy way of satisfaction and discuss to know about it.
রাঁধা আসলে কে ছিল? এত কাব্য কবিতা পদাবলী এই সুন্দরী কে নিয়ে! দুনিয়ায় যেন রাঁধা ছাড়া রূপ নাই! যেমন নাই কানু ছাড়া গান। কে ছিল এই সর্বাঙ্গসুন্দরী? কৈ পাব তারে? দেখে একবার মন জুড়াইতাম। নাকি রূপ উন্মত্তের কাছে তার প্রিয়তমাই রাঁধা? আর মুগ্ধা অভিসারিণীরর কাছে তার নাগরই চিকন কালা। হতেও পারে কারন লৌকিকভাবে বর্ননা করলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু একটা common নামে প্রকাশ করলে দোষও হয় না অথচ যা খুশি বলা যায়, প্রশংসা করা যায়।
তাইতো প্রেমিক প্রেমিকা পরস্পরের কাছে "আমি কৃষ্ণ তুমি রাঁধা।"
অভিসারক অতি চালাক, ধরা পড়ার ভয়ে সে ভিন্নরূপ ধারন করে সংকেত করে আর অভিসারিকা মিলনের আশায় কখনো কলসি নিয়ে কখনো নিশারাতে সবাই কে ফাঁকি দিয়ে ঘরের বাহির হয়।
নেশা যখন লেগেছে ভ্রমর ফুলে বসবেই, সমাজ তা কখনো ঠেকাতে পারবে না, পারেও নি। তাইতো রাঁধা রূপে নাগরী আর কালা রূপে নাগর বিরাজ করে।
তাইতো বলি, রাঁধা রূপী নেশা, তুমি চক্ষে এসে অন্ধ হই বক্ষে এস নিন্দে হোক, আকুল হৃদয় ঠান্ডা হোক।
অংগে অংগ মিশাইয়া কখনো গাইয়াছি গান কখনো বা ভাসিয়াছি জলে। তাহার সাথে বদ্ধ ঘরে অভিসার! সবাই জানিত কিন্তু কেউ বাধা দেয় নাই। সুন্দরীর সাথে দেখা না হইলেই কেমন যেন বিশ্রী বিশ্রী লাগিত। তবে হ্যা, কারো সাথেই সুদীর্ঘ সম্পর্ক থাকেনি, সবাই আমাকে ছ্যাকা দিয়া পালাইয়াছে। আমিও কম যাই নাই, একজন পালানোর সাথে সাথে অন্য জনকে ঘরে তুলিয়াছি।
তাহার অংগের সুগন্ধ আমার নেশা লাগাইয়াছে, তাই প্রথমেই শাড়ীর উপর দিয়া সুবাস লইয়া ভাবিয়া দেখিতাম ঘরে তুলিব কি না, সুবাস মন জুডাইলে তারপরেই সব খুলিয়া বাসরে প্রবেশ করিতাম।
বাবা বলিয়াছিল, বাইরে থেকে আসিয়া যে যতক্ষন হস্তপদ স্পর্শ না করিবে ততক্ষন কিছু মুখে তুলবি না। তাহার ভিতরকার অন্তর্বাস খুলিয়া তাহার সাথে অলিম্পিক ব্যাটারি লাগাইয়া ছোটবেলায় গাড়ী বানাইয়াছি, সে বাধা দেয় নাই। আর এক মেরিল নামে এক অভিসারিকা ছিল যার পাঁচটি ব্যাবহৃত শাড়ী দিলে নতুন একখান পাওয়া যাইত। ক্লাস টেনে একবার জৈব রসায়নে তাহার উৎপাদন প্রক্রিয়া মনে না রাখিতে পারিয়া স্যারের পাখার বাড়ি খাইয়াছিলাম। এর পরে আর তাহাকে ভুলি নাই। তাইতো গান গাই,
"
ভুলি কেমনে আজো যে মনে
বেদনা-সনে রহিল আঁকা।
আজ সজনী দিন রজনী
সে বিনে গনি সকলি ফাঁকা।।"
ভাতার ও নাং দুজনেরই মন জুগিয়ে চলতে পারা আসলেই একটা শিল্প। সবাই সেটা পারে না, ব্যক্তিগত ভাবে আমিও পারি না। ভাতার মানে হচ্ছে যে ভাত দেয়। আর নাং মানে হচ্ছে যার সামনে ল্যাংটা হওয়া যায়। ভাতারের খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে পরকীয়া প্রেমিক নাং এর সামনে খুলে দেওয়া মানুষের সংখ্যা নিতান্ত্যই কম নয়। ভাতার আশ্রয় দেয়, পরিধান দেয়, খাবার দেয় আর নাং শুধু সুযোগ পেলেই ঠাপায়, যার কোন দায়িত্ব নাই শুধু মজা লোটাই কাজ, সুফলটাই সে ভোগ করে অথচ উৎপাদননের সাথে সে জড়িত নয়!
অবচেতন মন বলে নাং এর প্রেমে মজা বেশি। কারন ভাতারের যে কর্ম ক্লান্ত দেহ, ঘামের গন্ধ ভরা জামা আর যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনা জীবিকা। অপর পাশে নাং দেখলেই শিশ দেয়, মিষ্টি মিষ্টি গান গান, বাঁশরর সুরে মন মাতায়, তা কার না ভালো লাগে ?
ভাতার বলতে শুধু স্বামীকে বোঝাছি না, ভাতার হতে পারে যে কেউ, যে শিক্ষাগুরু কিংবা আশ্রয়দাতা কিংবা উপকারী বন্ধু কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা বিপদে উদ্ধারকারী অথবা অন্নদানকারী অথবা যার সম্পদে আমি জীবনধারনকারী অথবা বেচে থাকার জন্য পুষ্টিসরবরাহকারী।
আর নাং হচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, যার কোন হক নাই অথচ সুফল ভোগ করছে। আজকাল সবাই নাং হতে চায় ভাতারের খুব অভাব। সব জায়গায় নাং এত ছেড়াছড়ি আর ভাতের খেয়ে নাংকে ঠাপাতে দেওয়া মানুষেরও অভাব নাই। যে যা করে করুক আমার ক্ষুধা লাগছে যাই পরটা খেয়ে আসি।
থাপ্পড় বহুল ব্যাবহৃত একটি মার যার অসাধারন তাৎপর্য রয়েছে। যেমন প্রেমের শুরু হয় চুমু দিয়ে আর শেষ হয় থাপ্পড় দিয়ে। কেউ বা আবার থাপ্পড় দিয়ে বত্রিশটা দাত ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়। থাপ্পড় খুবই ভাইটামিন সমৃদ্ধ যা বেয়াড়াকে পথে আনতে খুবই কার্যকর। থাপ্পড় একটি Chain Reaction যা এক গালে মারলে অন্য গালে মারতে ইচ্ছা করে কিংবা উভয়পক্ষ মার চালিয়ে যেতে পারে। কোন এক বিশেষ কবি বলেছেন, থাপ্পড়ের স্বাদ চুমুর চাইতেও মধুর। তাইতো সুন্দরীরা বখাটেদের খাপ্পড়ের মাধ্যমে প্রেমের বার্তা জানায়। থাপ্পড়ের জোর যত বেশী ভালুবাসা তত বেশী। সিনেমায় নায়িকা নায়ককে থাপড়িয়ে লাল করে ফেলে তারপর স্বপ্নে বালুর ভিতর দুজনে গড়াগড়ি করে আসে। তারপর আলুভর্তা!
যা হোক থাপ্পড় মার হিসেবে যতটা কার্যকর তার চেয়ে বেশী ব্যাবহৃত হয় অপমান হিসেবে। ভারতীয় উপমহাদেশের পেনাল কোড়ে থাপ্পড়ের কোন সাজা নাই কিন্তু USA তে থাপ্পড় একটি মারাত্মক অপরাধ (Wikipedia) ।
গুরুজনেরা বলেছেন, থাপ্পড় একটি নিন্ম প্রজাতির মার সাধারণত অপদার্থ ও রমনীরা ইহা ব্যাবহার করে । এই কারনে বাবা রাজীবলোচন বন্ধুশংকর বলিয়াছেন, "বালানাং থাপ্পড়ং বলং।" তারপরেও বাইরে বৃষ্টি নামে যে যেভাবে পারেন গরম হন, কিছু না পারলে থাপড়িয়ে গরম হন। হ্যাপি থাপড়িং।
--------------
ছোটবেলায় সমাসে পড়েছি " ফাকে বসে বাল গুলি =ফাল্গুনি " আর বড় হলে খারাপ কিছু করলেই বাবার গাল শুনেছি "বালছেড়া।" বালছেড়া ব্যাপারটা খুবই Painful. যারা শখের বসে টেনে বাল ছিড়েছে কিংবা কাজ না থাকার দরুন বসে বসে বাল গুনেছে তারা জানে ব্যাপারটা কত অসম্মানের কত অপমানজনক। বাল গজানো কিংবা থাকাটা যেমন শৌর্যবীর্যের প্রতীক, আর ছেড়াটা হল নপুংসকতা, অলসতা, অদক্ষতা আর অনুর্বরতার প্রতীক।
কারো জন্য কারো যদি বালছেড়া যায় বুঝতে হবে তার মূল্য আছে, তার প্রতি ভালবাসা আছে। আর যদি না যায় তাইলে ওই ব্যক্তির কাছে সে " যা ফোট Type. "
গুরুজনেরা বলেছেন " বালের যত্ন নিন " মানে হচ্ছে নিজের গুনাবলীর যত্ন নেওয়া, নিজের মানবীয় গুনাবলী উন্নতি করা, পুরুষত্বের বীরত্ব দেখানো। বাল শুধু গজালেই হবে না বালের গুরুত্ব বুঝতে হবে, বুঝলা ভাতিজা? নইলে হয়ে যাবে বালছেড়া।
( প্রথম পর্ব)
--------------------------
D. H. Lawrence এর Lady Chatterley's Lover বইটা ঘরেই ছিল। কৌতূহল বসত একবার পড়েই ফেললাম, এ দেখি পরকীয়ার অাদর্শ বই। জৈবিক তাড়নার কাছে হরে যায় সামাজিক স্তর বিন্যাস, পয়সার ঝনঝনানি আর খ্যাতির মোহ।
তারপর ক্লাস নাইন টেনে পড়া কুবেরের শালী নিয়ে পালিয়ে যাওয়া তো পার্সোনাল ফেভারিট।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত " পরকীয়া প্রেম" তো প্রথমে জানালা দরজা জানালা বন্ধ করে পড়তে বসেছিলাম পরে অবশ্য কিছু লেখা চোখের জল বের করে ছেড়েছে।
Gustave Flaubert এর Madame Bovary পড়ে তো ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে সুন্দরী Intern ডাক্তার ছাড়া চিকিৎসাই নেই না।
Leo Tolstoy তো পরকীয়া প্রেমের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন Anna Karenina তে। দুলাভাইয়ের গৃহকর্মীর সাথে প্রেম আর শালীর স্বামী রেখে আর একজনের সাথে লুতুপুতু প্রেম উপন্যাসটিকে যেন মধু মধু করেছে।
পরকীয়ার প্রথম ফাল্গুন এখানেই সমাপ্ত করি। একটু কলা ভবনের সামনে যেতে হবে।
''আমার বাড়ি যাইতে বন্ধু রে কার বা রাখো ডর ভাসুর আমার গা’র চকিদার শ্বশুর দফাদার রে
যাইতে যদি ইচ্ছা কর রে আমি থাকবো পথে নেচে নেচে যাইও বন্ধু আমার ঘর মাঝে রে''
নদীকে দুঃখের কথা শোনাতে আমার ভালো লাগে । ব্রহ্মপুত্র নদকে একবার বলেছিলাম মনে রাখিস রে নদ একদিন তোর উপর দিয়ে দুজনে পার হয়ে গিয়েছিলাম । হয়তো একদিন সেও থাকবে না আমিও থাকবো না কিন্তু নদ থাকবে । কেউ কোনদিন মনেও রাখবেও না একহাজার কিলোমিটার দূরের কুমার নদীর পাড়ের এক ছেলে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিল ।
ভালবাস্রার মানুষ হারিয়ে যায় কিন্তু নদীর পাড়ের স্মৃতি রয়ে যায় । নদীর পাড়ে আমার স্মৃতি অনেক । নদীকে শোনাই আমার দুঃখের কথা । এই নদী দিয়ে আমার প্রিয়তমা একদিন পার হয়ে যাবে , যদি সে আমার কথা তাকে মনে করিয়ে দেয় !
নদীকে মনের কথা বলে মানুষ কতো গান গায় , আমার সংগ্রহে থাকা এমন কিছু করুন সুরের ধীর লয়ের ভাটিয়ালী গান , মন খারাপ থাকলে যা শুনে মন ভালো করি ।
ও ভরা ভাদরের নদী জাননি তার কথা,
হে আমার ঢেউয়ের হাতে তুলে দিয়ে,
আমার বন্ধু গেলো কোথা
ও ভরা ভাদরের নদী জাননি তার কথা
এমনি সেদিন বিকেল বেলায়, নদীর তীরে ঝাউগাছ তলায়,
দক্ষিন বায়ু সখীর দোলায় দোলে গাছের পাতা,
তখন আকাশের গায়ে আলপনা দেয়, কোন দেবদুহিতা
ও ভরা ভাদরের নদী জাননি তার কথা
আমি সেদিন আপন মনে,
করি মধুর আলাপ বধুর সনে,
মুখোমুখি সুখাসনে সুখ দুঃখের কথা,
কেন অল্পকালে শুখাইলো আমার আশাকল্পলতা
ও ভরা ভাদরের নদী জাননি তার কথা
ঢেউয়ের নাচন দুলে দুলে, ভরা নদীর কুলে কুলে,
আমি কাঁদি ফুলে ফুলে; ফুলের ভ্রমর যথা,
তোমার পূর্ণ বক্ষে বুঝবে না মোর, শূণ্য বক্ষের ব্যথা,
ও ভরা ভাদরের নদী, জাননি তার কথা
ভাঁঙা গড়ার নিত্য খেলায়; বিপুলও পুলকের মেলায়,
হাসি কান্না বন্যা মেশায় নিথর নিরবতায়,
পাগল 'বিজয়' বলে এ কোন খেলা; খেলছে বিধাতা,
ও ভরা ভাদরের নদী, জাননি তার কথা
আমার ঢেউয়ের হাতে তুলে দিয়ে
আমার বন্ধু গেল কোথা
ও ভরা ভাদরের নদী, জাননি তার কথা
‘’পোষা পাখী উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে’’ গানটি ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি । গানকে আমি কতো ভালবাসি নিজেই জানি না । ছোটবেলায় রেডিও ছেড়ে দিয়ে গান শুনতাম আর পড়তাম । গান মনে হয় আমার বেঁচে থাকার অক্সিজেন । বিচ্ছেদ গান সে তো সব সময় আমি শুনি না , যখন মন খারাপ থাকে তখন শুনি । ‘পোষ মানা পাখি যখন অচেনা হয়ে যায়, মনকে তখন বোঝানোর কিছু থাকে না । তবে হ্যাঁ , যেদিন থেকে জেনেছি , ‘আমি ছাড়া পৃথিবী চলে’ সেদিন থেকে কোন কিছুতেই আর মন খারাপ করি না । পাখি যাবে তো কি ? যাক , ছেড়ে যখন দিয়েছি মানা করে কি লাভ ? তারপরেও পাখির জন্য মন খারাপ হলে গান শুনে মন ভালো করতে চেষ্টা করি । কিছু গান সেই পোষ মেনে উড়ে যাওয়া পাখির জন্য
১। পোষা পাখী উড়ে যাবে সজনী একদিন ভাবি নাই মনে - বিজয় সরকার
২। ওরে আমার সোনার ময়না পাখি রে
ও তুই কোন ফাঁকে পালায়ে গেলি
আমার দিয়ে ফাকি রে
বিজয় সরকার
৩ । শিকলি কাটা পাখি পেয়ে সইরে তারে ধরে রেখেছি ।
পাখির রূপ দেখিয়া ভুলে গিয়েছি ।
আমার ছিল কাঞ্চন পিঞ্জর ছিল বাইশ খুঁটির ঘর ,
পাখি থাকিত তার ভিতর
-প্রফুল্লরঞ্জন
৪। সেই শিকলি কাটা পাখির খোঁজে সজনি আমি যাবো কাননে ।
মন হলো মোর উতলা আকুলরে সেই পাখিটার কারনে ।
- প্রফুল্লরঞ্জন
৫। ক্ষ্যাপা তোর তোর সোনার খাঁচায় ময়না পাখি
কোনদিন যেন পালিয়ে যায় ।
তুই ওই পাখীরে বোল ধরায়ে
মন বেড়ি দিলিরে পায় ।
- প্রফুল্লরঞ্জন
৬। আমার সোনার ময়না পাখিরে
ও তুই উড়ু উড়ু করিস কেন এতো সুখে থাকিরে ।
- প্রফুল্লরঞ্জন
৭। আমার পোষ মানা সেই শ্যামা পাখি
সইরে সে যে শিকলি কেটেছে ।
- প্রফুল্লরঞ্জন
৮। প্রেমের আবেশে ভুলে সই
বড় আশা সুখে পুষেছিলাম মায়াবি এক পাখি
শিকল কেটে উড়ে গেছে দিয়ে আমায় ফাকি ।
- প্রফুল্লরঞ্জন
৯। শিকলি কেটে গেলি পাখি এলি না খাঁচায় ।
বাটি ভরে খাবার দিব রে পাখি , ফিরে আয় ফিরে আয় রে ।
পরানের সেই দরদ ভুলে, গেলি কোন ফাঁকে দরজা খুলে ,
আমার শিখানো বোল গেলি ভুলে পড়ে কার মায়ায় ।
-বিজয় সরকার ।
(এই পোস্টটির জন্য আমি 'সুরঞ্জন রায় , সহকারী অধ্যাপক , শহীদ আব্দুস সালাম ডিগ্রী কলেজ , কালিয়া নড়াইল'
এর নিকট আন্তরিক কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি । )