"পুত্রের পিতৃঋণ তখনই সার্থক যখন সে নিজে পিতৃত্ব লাভ করে পিতার বংশ রক্ষা করে। তেমনি শিষ্যের গুরুঋণ তখনই সার্থক হয় যখন সে গুরুত্বে উন্নীত হয় গুরুর ন্যায় বেদবৃক্ষ হয়ে। এটাই হল শিষ্যের শ্রেষ্ঠ দক্ষিণা।"
গুরুর সংজ্ঞার খোঁজ আমি করছি না; সে সাহসও আমার নেই। কারন গুরুর আশীর্বাদ ছাড়া আমি অন্ধ। আমার সকল দৃষ্টি, অনুভুতি, সক্ষমতার মূলে রয়েছেন আমার গুরু।
গুরুদক্ষিণা!
শিষ্যের মুখে গুরুদক্ষিণা শব্দটা উচ্চারণ করাটাও পাপ। কারন গুরুদক্ষিণার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে "শিক্ষা বা দীক্ষা দানের জন্য প্রাপ্য অর্থ প্রভৃতি।" গুরুঋন কি অর্থ দিয়ে শোধ করা যায়? যায় না। যে আবেগ, ভালোবাসা, আত্মিক বন্ধন, পুত্রস্নেহ গুরুর শিষ্যের প্রতি তা অপরিশোধযোগ্য; এটা মাপা যায় না শুধু অনুভব করা যায়।
একলব্য!
গুরুদক্ষিণার প্রবাদপুরুষ। নিষাদরাজ হিরন্যধনুর পুত্র একলব্য দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রশিক্ষা লাভ করতে এসে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় মনের দুঃখে গুরু দ্রোণাচার্যের মাটির মূর্তি নির্মাণ করে ধনুর্বিদ্যা চর্চা করতে লাগলেন। গুরুভক্তি ও অধ্যবসায়ে সে সেরা অস্ত্রকুশলী ও ধনুর্ধারী হয়ে উঠল।
কিন্তু অর্জুন! যাকে দ্রোণাচার্য আশীর্বাদ করেছিলেন, "তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ শিষ্য আমার আর হবে না।" অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার জন্য দ্রোণাচার্য একলব্যের কাছে গুরুদক্ষিণা চেয়েছিলেন, " যথার্থই যদি আমার শিষ্য হও তবে আমার গুরুদক্ষিণা দাও।" যা ছিল একলব্যের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল! ফলে একলব্যের তীর নিক্ষেপের ক্ষমতা হ্রাস পায় ও অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকে।
গুরুর প্রতি এই ভক্তির নমুনা স্বরূপ একলব্য হয়ে গেলেন গুরুদক্ষিণার অপর নাম। লোকে তাই বলে " একলব্য মানেই গুরুদক্ষিণা।"
আর দধিচী!
গুরু যেখানে নেই তিনিও সেখানে নেই। আগে গুরু তারপর সামাজিকতা। দধিচী ছিলেন শিবের শিষ্য। তো শিবের শ্বশুর দক্ষ "বৃহস্পতি" নামে মহাযজ্ঞে শিবকে নিমন্ত্রন করেননি। দধিচী দক্ষকে এই শিবহীন যজ্ঞ করতে নিষেধ করেন। দক্ষ এ নির্দেশ না মানায় দধিচী সেই যজ্ঞ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। অর্থাৎ আমার গুরু যেখানে নাই আমিও সেখানে নাই।
আর দ্রোণাচার্য-অর্জুন!
অর্জুন গুরুদক্ষিণা দিতে চাইলে দ্রোণাচার্য বলেন, " যদি আমি কখনো তোমার সাথে যুদ্ধে রত হই তুমিও আমার সাথে প্রতিযুদ্ধে লিপ্ত হবে; গুরুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারনে কোন সংকোচ করবে না। "
শ্রেষ্ঠ গুরুর শেষ্ঠ গুরুদক্ষিণা!
গুরুর সংজ্ঞার খোঁজ আমি করছি না; সে সাহসও আমার নেই। কারন গুরুর আশীর্বাদ ছাড়া আমি অন্ধ। আমার সকল দৃষ্টি, অনুভুতি, সক্ষমতার মূলে রয়েছেন আমার গুরু।
গুরুদক্ষিণা!
শিষ্যের মুখে গুরুদক্ষিণা শব্দটা উচ্চারণ করাটাও পাপ। কারন গুরুদক্ষিণার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে "শিক্ষা বা দীক্ষা দানের জন্য প্রাপ্য অর্থ প্রভৃতি।" গুরুঋন কি অর্থ দিয়ে শোধ করা যায়? যায় না। যে আবেগ, ভালোবাসা, আত্মিক বন্ধন, পুত্রস্নেহ গুরুর শিষ্যের প্রতি তা অপরিশোধযোগ্য; এটা মাপা যায় না শুধু অনুভব করা যায়।
একলব্য!
গুরুদক্ষিণার প্রবাদপুরুষ। নিষাদরাজ হিরন্যধনুর পুত্র একলব্য দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রশিক্ষা লাভ করতে এসে প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় মনের দুঃখে গুরু দ্রোণাচার্যের মাটির মূর্তি নির্মাণ করে ধনুর্বিদ্যা চর্চা করতে লাগলেন। গুরুভক্তি ও অধ্যবসায়ে সে সেরা অস্ত্রকুশলী ও ধনুর্ধারী হয়ে উঠল।
কিন্তু অর্জুন! যাকে দ্রোণাচার্য আশীর্বাদ করেছিলেন, "তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ শিষ্য আমার আর হবে না।" অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার জন্য দ্রোণাচার্য একলব্যের কাছে গুরুদক্ষিণা চেয়েছিলেন, " যথার্থই যদি আমার শিষ্য হও তবে আমার গুরুদক্ষিণা দাও।" যা ছিল একলব্যের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল! ফলে একলব্যের তীর নিক্ষেপের ক্ষমতা হ্রাস পায় ও অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকে।
গুরুর প্রতি এই ভক্তির নমুনা স্বরূপ একলব্য হয়ে গেলেন গুরুদক্ষিণার অপর নাম। লোকে তাই বলে " একলব্য মানেই গুরুদক্ষিণা।"
আর দধিচী!
গুরু যেখানে নেই তিনিও সেখানে নেই। আগে গুরু তারপর সামাজিকতা। দধিচী ছিলেন শিবের শিষ্য। তো শিবের শ্বশুর দক্ষ "বৃহস্পতি" নামে মহাযজ্ঞে শিবকে নিমন্ত্রন করেননি। দধিচী দক্ষকে এই শিবহীন যজ্ঞ করতে নিষেধ করেন। দক্ষ এ নির্দেশ না মানায় দধিচী সেই যজ্ঞ অনুষ্ঠান বর্জন করেন। অর্থাৎ আমার গুরু যেখানে নাই আমিও সেখানে নাই।
আর দ্রোণাচার্য-অর্জুন!
অর্জুন গুরুদক্ষিণা দিতে চাইলে দ্রোণাচার্য বলেন, " যদি আমি কখনো তোমার সাথে যুদ্ধে রত হই তুমিও আমার সাথে প্রতিযুদ্ধে লিপ্ত হবে; গুরুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারনে কোন সংকোচ করবে না। "
শ্রেষ্ঠ গুরুর শেষ্ঠ গুরুদক্ষিণা!
No comments:
Post a Comment