Friday, November 14, 2014

মনসামঙ্গল


মনসামঙ্গল 

চাঁদসদাগরের ভিক্ষা

হাতে হোলা করি  চাঁদ অধিকারী
ভিক্ষা মাগে ঘরে ঘরে ।
দেখে ক্ষেপা হেন যত শিশুগণ
হিটাল ফেলিয়া মারে।।
বলে সদাগর কেন মোরে মার
নাম আমার চাঁদবেনে ।।
নাহি পরিচয় যারে ইহা কয়
সর্বলোকে হাসে শুনে
অঙ্গ হৃষ্টপুষ্ট সকল বলিশঠ (
ছেঁড়া কাথা পরিধান।
ভাঙ্গা হোলা হাতে কছু দিল তাতে
যার ছিল ধর্মজ্ঞান।।
মাগে বাড়ি বাড়ি পায় চাউল কড়ি
ধান্য পাইল আড়ি দুই।
পাইয়া ভাঙ্গা ঘর চাঁদসদাগর
তার কোনে চাল থুই।।
মনসা মনেতে জানিল ত্বরিত
গেল গণেশের ঠাই।।
দুই দণ্ডের তরে মুষা দেহ মোরে
এই ভিক্ষা মাগি ভাই ।।
কহে গণপতি শুনগো জগাতী
সর্বথা দিলাম মুষা।
নিশ্চয় স্বরূপে কহিবে আমাকে 
কাহারে করিবে হিংসা।।
কহেন জগাতী শুন গণপতি
কহিলে না দেহ জানি ।
চাঁদসদাগর মোরে নিরন্তর
বলে চেঙমুড়ী কানী ।।
কি আর বলিব তাহারে ছলিব
মুষা দেহ লম্বোদর।
এতেক শুনিয়া গণেশ হাসিয়া
দেখায়ে দিল সত্বর।।
দেবী হৃষ্ট মনে মুষাগণ সনে
আইল চাঁদের ঘর।
মুষিক লইয় দিল দেখাইয়া
ঐ ধান্য চুরি কর।।
দেবীর আদেশে ভুমিতে প্রদেশে
দম্ভে বিদারিয়া মাটি।
গণার ইন্দুর বড়ই চতুর
সত্বরে সুড়ঙ্গ কাটি ।।
মুষা মম্ত্র বলে ধান্য রাখি খালে
গেলা গণেশের আগে।
মনসা চরণ পরম কারণ
কতকা দাস যে মাগে ।। 

**********************************************************  
মনসামঙ্গল  বাংলা সাহিত্যের একটি  বিখ্যাত  সৃষ্টি । এতে  মনসাদেবী , চাঁদ সদাগর, বেহুলার কাহিনি রয়েছে ।