Wednesday, January 25, 2017

যে ঘুম আসেনি পাখার তলায় নরম বালিশে শুয়ে

যে ঘুম আসেনি পাখার তলায়
নরম বালিশে শুয়ে
আসেনিতো ঘুম কতো না রাত্রি
ঘুমের ওষুধ খেয়ে
শান্তির ঘুম ঘুমাবি এবার
সে ঘুম তো ভাঙবে না,
বদলে যাবে বাড়ির ঠিকানা

Saturday, January 21, 2017

দুঃস্বপ্ন


রাজীব ঢালী 
দুঃস্বপ্নটা দেখেই ঘুম ভাঙল ধনঞ্জয়ের । সত্যি বিয়ের পরে মানুষ বদলে যায় ? যেমনটি গিয়েছিল ওর দুই মামা । ছোটমামা বিয়ের পরের দিনই ওকে থাপ্পড় মেরেছিল আর মেজমামা আর মামি মিলে করেছিল ওর ছোট জীবনের সব চেয়ে বড় অপমান । শুধু ওকে অপমান করে ক্ষান্ত হয়নি , ওর মা বাবাকেও অপমান করে ছেড়েছিল । পাড়ার ছেলেরা মিলে বিয়ের হাড়ির কিছু মিষ্টি খেয়েছিল আর তাতেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল । মামা মামি মিলে ওকে আর ওর মা বাবাকে যে অপমানটা কয়েছিল ধনঞ্জয় তা আজও হজম করতে পারে নি । কিন্তু বিয়ের আগে ওই ছিল মামার সবচেয়ে প্রিয় । তখন ওর আর বয়স কতো , ছয় কিংবা অথবা সাত । মেজ মামি এসেই ওর আর মামার বন্ধনটা ভেঙ্গে দিতে লেগেছিল । সফলও হয়েছে । বিয়ের পর মামা আর ওকে কোলে তুলে নেয়নি ! ব্যাথাটা ওর খুব লাগে । ওর বাবাকে মামি খুব অপমান করেছিল, বলেছিল ‘’আপনার ছেলে ওর মামা সম্পর্কে যা তা বলে , বদনাম করে ।‘’ বাবা রাগ হয়ে বাড়ির বাইরে চলে গিয়েছিল । মা কে খুব বকেছিল । আচ্ছা , ছয় কিংবা সাত বছরের একটা বাচ্চা কি বদনাম করেছিল । শুধু বলেছিল মামা সিডি আনালে মামার কোলে বসে দেখবে । এখন ও বুজতে পারে কথাটা নববধূর কোথায় লেগেছিল । আসলেই তো স্ত্রী ছাড়া স্বামীর আর কেউ প্রিয় হতে পারে এটা নববধূ মেনে নিবে কেন ? স্বামীর সাথে তার ভাগনে , বন্ধু , মা –বাবা , ভাই বোনের সম্পর্ক ভেঙ্গে দাও , স্বামী হোক তার পোষ মানা ভেড়া । মনে হয় ঠিক তেমনটাই নববধূ চেয়েছিল । এবং সে সফলও হয়েছে । তার বিয়ের আগের মামা আর পরের মামা ; যুগ যুগের পার্থক্য । অপমানটা ওর বাবার খুব বেশি লেগেছিল । আচ্ছা সাত বছরের একটা বাচ্চা কটা মিষ্টি খেতে পারে ? একটা হাড়ির সব ? পাড়ার ছেলেরা মিষ্টি খেয়েছিল আর ওকে ওরা কোলে করে নিয়ে গিয়েছিল । অথচ দোষটি হয়েছিল ওর । ও নাকি মিষ্টির হাড়ি দেখিয়ে দিয়েছিল । এর জন্য ওর পুরো পরিবারকে অপমান করা হয়েছিল যা ইচ্ছা তাই ভাবে । আসলেই নববধূর ক্ষমতা অসাধারণ । সবকিছুই পরিবর্তন করে দিতে পারে । তার বাপের বাড়ির মিষ্টি অন্য কেউ খাবে এটা সে কেন মেনে নেবে ? একটা দায়িত্ব আছে না ! এ বাড়ি এখন আমার বুঝেছ আত্মীয় সজনের । সুতরাং আজ থেকে সোজা হয়ে যাও ।
ধনঞ্জয়ের বাবা এর পরে আর ওই বাড়ি যায় নি । ওই বাড়ি থেকে কিছু পাঠালেও খায় না । কেন খায় না , ব্যাপারটা এখন ও বুঝে । ওই বাড়িতে ধনঞ্জয়কে যেতেও দেয় না । এখন সে বুঝে বাবা হয়তো চায়নি ছেলে কষ্ট পাক । ছেলের দুঃখটা বাবা বুঝতে পেরেই এমনটা করেছে ।
দুঃস্বপ্নটা ও দেখেছে আজ । ওর বিয়ের ঘটনা । ওর মায়ের বয়সটা হটাত যেন বেড়ে গেছে । মা যেন কেমন বাকিয়ে বাকিয়ে বুড়ো মানুষের মতো হাঁটছে । বাবাও কেমন যেন বদলে গেছে । কেমন ফ্যকাশে বাবার মুখ । ছোট ভাইটাকেও ছন্নছাড়া লাগছে । নববধূ যেন সব কিছু দখল নিতে চাইছে । মা বাবা ভাইয়ের কষ্টের মুখ ও সহ্য করতে পারছে না । বুকটা ভেঙ্গে যাচ্ছে । নববধূ তার দোহাই দিয়ে সব কিছু থেকে ওকে পৃথক করতে চাইছে । ধনঞ্জয় পালাছে । কিন্তু পারছে না । নববধূ ওকে বাধতে চাইছে কিন্তু না ; পালাতে ওকে হবেই , মা বাবা ভাইয়ের কষ্ট ও সহ্য করতে পারবে না ।

Sunday, January 1, 2017

দ্বিজ চণ্ডীদাস - না কর না কর ধনি এত অপমান ।

না কর না কর ধনি এত অপমান ।
তরুণী হইয়া কেনে একে দেখ আন ।।
বংশী পড়শি আমি শপথ করিয়ে ।
তোমা বিনা দিবা নিশি কিছু না জানিয়ে ।।
ফাগুবিন্দু দেখিয়া সিদুর বিন্দু কহ ।
কণ্টকে কংকনদাগ মিছাই ভাবহ ।।
এত কহি বিনোদ নাগর চলিতে চায় ঘর ।
চণ্ডীদাস কহে রাই কাঁপে থর থর ।।