Wednesday, August 30, 2017

"প্রজনন স্বাস্থ্য ও যৌন জ্ঞান " It's a taboo bro! It's a taboo!

সেক্স, মাস্টারবেশন,  ব্রেস্ট,  ভেজিনা,  ডিক  শব্দগুলো শুনলেই মানুষ কেমন যেন চমকে ওঠে।  আর এই সমপর্কে কেউ কিছু লিখলে সে তো আস্ত বেয়াদব।  সেক্স তো কোন ট্যাবু বা নিষিদ্ধ বিষয় নয়,  স্বমৈথুন বা মাস্টারবেট এমন কিছু নয় যে লোকে করছে না।  কিন্তু কিছু বললেই জাত গেল গেল রে ভাব।  আমার বাবা একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক।  ছোটবেলা থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য,  বয়:সন্ধি  কালের সমস্যা সহ স্বাস্থ্যবান জীবন ধারন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পুস্তক পুস্তিকা বই লিফলেট আমাদের ঘরে দেখেছি।  কৌতূহল বসত পড়েছিও।
আর স্কুলে কিংবা কলেজে প্রজনন স্বাস্থ্য কিংবা নারী জননাংগ,  পুরূষ জননানংগ নিয়ে স্যার রা কোন দিন পড়ান নি।  এমন কি  বায়োলজি স্যার পর্যন্ত ওই চ্যাপ্টার স্পর্শ করেন নি।
চারপাশে ছেলেগুলোকে দেখে পর্ন দেখে শুক্রক্ষয় করে।   এমননি কিছু কিছু ছেলের কাছে ঘুমানোর আগে পর্ন দেখা একটি  নেশা,  শিল্প।  এগুল সবই ঘটে প্রজজন স্বাস্থ্য সমপর্কে  বৈজ্ঞানিক তথ্য না জানার করনে  কিংবা সংগদোষে।
শুক্র বা Sparm এর কাজ কি?   গঠন কি?  ধারন করলে কি হয়?   আধ্যাত্মিক বা Spritual ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব কতকখানি?  অধিকাংশ ছেলে তা নিয়ে ভাবে না।  তারা শুধু শুক্রুক্ষয় জনিত আনন্দ নিয়েই ব্যাস্ত বা  সন্তুষ্ট।
বাউল সাধক থেকে সুরু করে Spiritual গুরু সবাই অভিজ্ঞতাজনিত জ্ঞানে বলেন,  বীর্য ধারনই জীবন, বীর্য পাতই মরন।
ভারতীয় দর্শন বীর্য ধারনের উপর জোর দিয়েই প্রতিষ্ঠত।
আমাদের শিক্ষাক্রমে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে যা আছে তা যথেষ্ট কিন্তু সমস্যা হচ্ছে স্কুলে পড়ানো হয় না।  ফলে  তারা জানে না।  যতটুকু জানে তা বন্ধুর মাধ্যমে এবং তা গতানুগতিক ভাবে Misconcept ও ভুলে ভরা তথ্য আর এই তথ্যই পরবর্তী কালে Sexual Knowledge  কিংবা  Terms  তাদের কাছে Taboo বা নিষিদ্ধ বস্তুর  মত হয়ে যায়।  ফলে Sex কিংবা মাস্টারবেট শুনলে তারা তারা  আতকে ওঠে।
Sex কিংবা Blowjob কিংবা যে কোন ধরনের Sexual Activity একটা শিল্প।  সঠিক জ্ঞান ছাড়া,  স্নায়ুগত ধারনা ছাড়া পরিপূর্ণ আনন্দ এটা থেকে পাওয়া সম্ভব না।
তাই এটাকে ট্যাবু /   নিষিদ্ধ না ভেবে  বৈজ্ঞানিক তথ্য জানার জন্য আলোচনা কিংবা Study করা বাঞ্চনীয়।
আর যদি  এ ধরনের জ্ঞানের জন্য " সদরঘাট কিংবা গুলিস্তানের জোকের তেল বিক্রেতার " শরনাপন্ন হও তাহলে আনন্দটাও ক্ষনস্থায়ী  আর প্রজনন স্বাস্থ্যটাও জোকের মত হিরোইঞ্চি টাইপ হবে।
Choice is yours bro.
Lead a healthy sexual life.  ভারতীয় দর্শনে
জীবনের পাঁচটি লক্ষের কথা বলা হয়েছে "কাম" বা যৌন তৃপ্তি তার একটি।  Don't make it a taboo.  Make it a knowledge.  Practice healthy way of satisfaction and discuss to know about it.  

আমি কৃষ্ণ তুমি রাঁধা , কি করবে তোমার দাদা?

রাঁধা আসলে কে ছিল?  এত কাব্য কবিতা পদাবলী এই সুন্দরী কে নিয়ে!  দুনিয়ায় যেন রাঁধা  ছাড়া রূপ নাই!  যেমন নাই কানু ছাড়া গান।  কে ছিল এই সর্বাঙ্গসুন্দরী?  কৈ পাব তারে?  দেখে একবার মন জুড়াইতাম।  নাকি রূপ উন্মত্তের কাছে তার প্রিয়তমাই রাঁধা?  আর মুগ্ধা অভিসারিণীরর কাছে তার নাগরই চিকন কালা।  হতেও পারে কারন  লৌকিকভাবে বর্ননা করলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিন্তু একটা common   নামে প্রকাশ করলে দোষও হয় না অথচ যা খুশি বলা যায়,  প্রশংসা করা যায়।
তাইতো প্রেমিক প্রেমিকা  পরস্পরের কাছে "আমি কৃষ্ণ  তুমি রাঁধা।"
অভিসারক অতি চালাক,  ধরা পড়ার ভয়ে সে ভিন্নরূপ ধারন করে সংকেত করে আর অভিসারিকা মিলনের আশায় কখনো কলসি নিয়ে কখনো  নিশারাতে সবাই কে ফাঁকি দিয়ে ঘরের বাহির হয়।
নেশা যখন লেগেছে ভ্রমর ফুলে বসবেই,  সমাজ তা কখনো ঠেকাতে পারবে না,  পারেও নি।  তাইতো রাঁধা রূপে নাগরী আর কালা রূপে নাগর বিরাজ করে।
তাইতো বলি, রাঁধা রূপী নেশা,  তুমি চক্ষে এসে অন্ধ হই বক্ষে এস নিন্দে হোক,  আকুল হৃদয় ঠান্ডা হোক।  

Sunday, August 13, 2017

সাবান


অংগে অংগ মিশাইয়া কখনো গাইয়াছি গান কখনো বা ভাসিয়াছি জলে।  তাহার সাথে বদ্ধ ঘরে অভিসার!  সবাই জানিত কিন্তু কেউ বাধা দেয় নাই।  সুন্দরীর সাথে দেখা  না হইলেই কেমন যেন বিশ্রী বিশ্রী লাগিত।  তবে হ্যা,  কারো সাথেই  সুদীর্ঘ সম্পর্ক থাকেনি,  সবাই আমাকে ছ্যাকা দিয়া পালাইয়াছে।  আমিও কম যাই নাই,  একজন পালানোর সাথে সাথে অন্য জনকে ঘরে তুলিয়াছি।
তাহার অংগের সুগন্ধ আমার নেশা লাগাইয়াছে,  তাই প্রথমেই শাড়ীর উপর দিয়া সুবাস লইয়া ভাবিয়া দেখিতাম ঘরে তুলিব কি না,  সুবাস মন জুডাইলে তারপরেই সব খুলিয়া বাসরে প্রবেশ করিতাম।
বাবা বলিয়াছিল,  বাইরে থেকে আসিয়া যে যতক্ষন হস্তপদ স্পর্শ না   করিবে ততক্ষন কিছু মুখে তুলবি না।  তাহার ভিতরকার অন্তর্বাস খুলিয়া তাহার সাথে অলিম্পিক ব্যাটারি লাগাইয়া ছোটবেলায় গাড়ী বানাইয়াছি,  সে বাধা দেয় নাই।  আর এক মেরিল নামে এক অভিসারিকা ছিল  যার পাঁচটি ব্যাবহৃত শাড়ী  দিলে  নতুন একখান পাওয়া যাইত।  ক্লাস টেনে একবার জৈব রসায়নে তাহার  উৎপাদন প্রক্রিয়া মনে না রাখিতে পারিয়া স্যারের পাখার বাড়ি খাইয়াছিলাম। এর পরে আর তাহাকে ভুলি নাই।  তাইতো গান গাই,
"
ভুলি কেমনে   আজো যে মনে
      বেদনা-সনে   রহিল আঁকা।
আজ সজনী    দিন রজনী
      সে বিনে গনি   সকলি ফাঁকা।।" 

Thursday, August 10, 2017

ভাতার ও নাং



ভাতার ও নাং দুজনেরই মন জুগিয়ে চলতে পারা আসলেই একটা শিল্প।  সবাই সেটা পারে না,  ব্যক্তিগত ভাবে আমিও পারি না।  ভাতার মানে হচ্ছে যে ভাত দেয়। আর নাং মানে হচ্ছে যার সামনে ল্যাংটা হওয়া যায়।  ভাতারের খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে পরকীয়া প্রেমিক নাং এর সামনে খুলে দেওয়া মানুষের সংখ্যা নিতান্ত্যই কম নয়। ভাতার আশ্রয়  দেয়,  পরিধান দেয়,  খাবার দেয় আর নাং শুধু সুযোগ পেলেই ঠাপায়,  যার কোন দায়িত্ব নাই শুধু মজা লোটাই কাজ,  সুফলটাই সে ভোগ করে অথচ  উৎপাদননের সাথে সে জড়িত নয়!
অবচেতন মন বলে  নাং এর প্রেমে মজা বেশি। কারন ভাতারের যে কর্ম ক্লান্ত দেহ,  ঘামের গন্ধ ভরা জামা আর যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনা জীবিকা।  অপর পাশে নাং দেখলেই শিশ দেয়,  মিষ্টি মিষ্টি গান গান,  বাঁশরর সুরে মন মাতায়,  তা কার না ভালো লাগে ?
ভাতার বলতে শুধু স্বামীকে বোঝাছি না,  ভাতার হতে পারে যে কেউ,  যে শিক্ষাগুরু কিংবা আশ্রয়দাতা কিংবা উপকারী বন্ধু কিংবা শুভাকাঙ্ক্ষী কিংবা বিপদে উদ্ধারকারী অথবা অন্নদানকারী অথবা যার সম্পদে আমি জীবনধারনকারী  অথবা বেচে থাকার জন্য পুষ্টিসরবরাহকারী।
আর নাং হচ্ছে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী,  যার কোন হক নাই অথচ সুফল ভোগ করছে।  আজকাল সবাই নাং হতে চায় ভাতারের খুব অভাব।  সব জায়গায় নাং এত ছেড়াছড়ি আর ভাতের খেয়ে নাংকে ঠাপাতে দেওয়া মানুষেরও অভাব নাই।  যে যা করে করুক আমার ক্ষুধা লাগছে যাই পরটা খেয়ে আসি।  

থাপ্পড়!


থাপ্পড় বহুল ব্যাবহৃত একটি মার যার অসাধারন তাৎপর্য রয়েছে।  যেমন প্রেমের শুরু হয় চুমু দিয়ে আর শেষ হয় থাপ্পড় দিয়ে।  কেউ বা আবার থাপ্পড় দিয়ে বত্রিশটা দাত ফেলে দেয়ার হুমকি দেয়।  থাপ্পড় খুবই ভাইটামিন সমৃদ্ধ যা বেয়াড়াকে পথে আনতে খুবই কার্যকর।  থাপ্পড় একটি Chain Reaction যা এক গালে মারলে অন্য গালে মারতে ইচ্ছা করে কিংবা উভয়পক্ষ  মার চালিয়ে যেতে পারে।  কোন এক বিশেষ কবি বলেছেন,  থাপ্পড়ের স্বাদ চুমুর চাইতেও মধুর।  তাইতো সুন্দরীরা  বখাটেদের খাপ্পড়ের মাধ্যমে প্রেমের বার্তা জানায়।  থাপ্পড়ের জোর যত বেশী ভালুবাসা তত বেশী।   সিনেমায় নায়িকা নায়ককে থাপড়িয়ে লাল করে ফেলে তারপর স্বপ্নে   বালুর ভিতর দুজনে গড়াগড়ি করে আসে।  তারপর আলুভর্তা!
যা হোক থাপ্পড় মার হিসেবে যতটা কার্যকর তার চেয়ে বেশী ব্যাবহৃত হয় অপমান হিসেবে। ভারতীয় উপমহাদেশের পেনাল কোড়ে থাপ্পড়ের কোন সাজা নাই কিন্তু USA তে থাপ্পড় একটি মারাত্মক অপরাধ (Wikipedia) ।
 গুরুজনেরা বলেছেন,  থাপ্পড় একটি নিন্ম প্রজাতির মার সাধারণত অপদার্থ ও রমনীরা ইহা ব্যাবহার  করে ।  এই কারনে বাবা রাজীবলোচন বন্ধুশংকর বলিয়াছেন,  "বালানাং থাপ্পড়ং বলং।"  তারপরেও বাইরে বৃষ্টি নামে যে যেভাবে পারেন গরম হন,  কিছু না পারলে থাপড়িয়ে গরম হন।  হ্যাপি থাপড়িং।

Saturday, August 5, 2017

বালছেড়া


--------------
ছোটবেলায় সমাসে পড়েছি " ফাকে বসে বাল গুলি =ফাল্গুনি " আর বড় হলে খারাপ কিছু করলেই বাবার গাল শুনেছি  "বালছেড়া।"  বালছেড়া ব্যাপারটা খুবই Painful.   যারা শখের বসে টেনে বাল ছিড়েছে কিংবা কাজ না থাকার দরুন বসে বসে বাল গুনেছে তারা জানে ব্যাপারটা কত অসম্মানের কত অপমানজনক।  বাল গজানো কিংবা থাকাটা যেমন শৌর্যবীর্যের  প্রতীক,  আর ছেড়াটা হল নপুংসকতা,  অলসতা,  অদক্ষতা আর  অনুর্বরতার প্রতীক।
কারো জন্য কারো যদি বালছেড়া যায় বুঝতে হবে তার মূল্য আছে,  তার প্রতি ভালবাসা আছে। আর যদি না যায় তাইলে ওই ব্যক্তির কাছে সে " যা ফোট Type. "
গুরুজনেরা বলেছেন " বালের যত্ন নিন "  মানে হচ্ছে নিজের গুনাবলীর যত্ন নেওয়া,  নিজের মানবীয় গুনাবলী উন্নতি করা,  পুরুষত্বের বীরত্ব দেখানো।  বাল শুধু গজালেই হবে না বালের গুরুত্ব বুঝতে হবে, বুঝলা ভাতিজা?  নইলে হয়ে যাবে বালছেড়া।