Sunday, June 17, 2018

প্রেমিক VS স্বামী



আমার মোজায় একটু গন্ধ হলেও তুমি সহ্য করতে পারতে না।  এখন তোমার হাজব্যান্ড পাঁচ মিনিটে তিনটি সিগারেট খায়; সেটি কিভাবে সহ্য কর?
কোন কথা নাই,  বুঝলাম ফোনের ওপাশে কাঁদছে। কাঁদুক, একটা বর্বর আনন্দ লাগে।  

আসলে প্রেমিকের অনেক দোষ থাকে। ওদিকে সদ্য পরিচয় হওয়া মানুষকে বেলের সরবত কিংবা ধোয়া তুলসির পাতাই মনে হয়। প্রেমিকের থাকে মনের মত গড়ে নেওয়ার আনন্দ; অনেকটা সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে যাত্রা শুরু করার মত আর স্বামীর থাকে অন্য বাসনা;  বার ঘাটের জল খেয়ে, সবাই ব্যস্ত হয় যাওয়ার নিঃসঙ্গতা ঘোচানোর জন্য একজন সেবাদাসী খোঁজে সে।  স্বামীও হয়তো তার প্রেমিকা হারিয়েছে তাই অনেক কিছু ছাড় দেয় সে। আর এটাই শিক্ষিত কিছু মেয়ের কাছে স্বাধীনতা মনে হয়। প্রেমিকের ছোট ছোট বিধিনিষেধ তার কাছে জঞ্জাল, আপদ মনে হত তার;  তাই এ বিচ্ছেদ।  স্বামী ছাড় দিতে দিতে তার গোয়াটাও ছাড় দেয় অন্যদিকে প্রেমিক কিছুই ছাড় দেয় না, তার লক্ষ্য মাটির প্রতিমার মত প্রেমিকাকে নিজ হাতে গড়ে নেওয়া কিন্তু তা অনেক ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না।  ফলফল স্বেচ্ছাচারী প্রেমিকের হাত হতে মুক্ত হয়ে অচেনা মানুষের হাত ধরে প্রেমিকা। তবে পরে পস্তায়।  ফোনের ওপাশে নিঃশব্দ কান্নায় বান বয়ে যায় আর প্রেমিকের দগদগে ঘাঁ ততদিনে সেরে ওঠেছে। ও কান্নায় কিছুই হয় না।  কেউ হয়তো তাকে বুঝিয়েছে, দ্যাখ,  যে প্রেমিকা এতো দিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে তার জন্য কিসের মায়া?  কত সময়ের বিনিয়োগ, কত আবেগের স্রোতধারা, কত অর্থের খেলা হয়েছে, সবকিছুর যোগফল যে শূন্য করে চলে গেছে তার প্রতি কি আর মায়া? তুই আবার প্রেম কর, দেখবি নতুনের প্রতি সেই একই আবেগ আসবে। হ্যা তাইই হয়।
নতুনের প্রতি আবার মুকুলিত হয় তার ফাগুন, সে দেখে তাইতো অনুভুতি সব এক তো!
এভাবে পুকুরের জলের স্বাদ ভুলতে সে নেয় নদীর স্বাদ, পরে আর পুকুর ভালোলাগে না।  তবে হ্যা নদী খুজে পাওয়ার আগে যে বিরহটা থাকে সেটা হয় স্বর্ণপ্রসবকারী; যত কবিতা, ছন্দ, দুঃখের সৃষ্টিশীলতা তখন বের হয়ে আসে। যা সুখে থাকতে কখনো আসেনি, আসে না, আসবে না। তাই ধন্যবাদ সব ফিরিয়ে দেওয়াকে, সব বিরহকে; ওটা মুক্তোর মতো মূল্যবান সব সৃষ্টিশীলতার জনক।