Saturday, April 28, 2018

'পরকীয়া উপপাদ্য'


যে যাই বলুক পরকীয়া একটা শিল্প। অপরাধ জগতের মত পরকীয়ারও নির্দিষ্ট শব্দকোষ, উপমা, উপমান, রূপকল্প রয়েছে। পরকীয়া প্রেমিকের তুলনায় প্রেমিকা মারাত্মক রকমের সাহসী হয়ে সগর্বে নাগরকে আহ্বান জানিয়ে বলে,
"আমার বাড়ি যাইতে বন্ধু কিসের কর ডর?
ভাসুর আমার গাঁর চৌকিদার শ্বশুর দফাদার।" 
কিংবা ভাজা মাছ কোন শিকায় আছে তাও তো বিড়ালকে সেই দেখায়।
আর পরকীয়া প্রেমিকও কম যায় না, প্রচন্ড বৃষ্টি মাথায় করেও সে আঙিনায় হাজির হয় আর তার দেখে নায়িকা বিগলিত হয়ে বলে ওঠে,
"আঙিনার মাঝে বঁধুয়া ভিজিছে দেখিয়া পরাণ ফাটে।" আর সে ফাটাফাটি যে কোন পর্যায়ে যায় তা উদো আর বুঁদো ছাড়া আর কেউ জানে না।
জসীমউদ্দীনের রাখালী গান বৈষ্ণব পদাবলীর তুলনায় বেশী হট। প্রথমটায় বেড়ায় টোকা দেওয়া ব্যাপারটা তো সেই লাগে।
(তরলা বাঁশের কওড়ার বাওই
টোকা দিলে নড়ে
ওরে সাবধানেতে দিওরে টোকা
ভাসুর শ্বশুর জাগে।)
অনান্য ক্ষেতখামারির ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না, ছোট মানুষ তো।
শুনেছি পরকীয়া, অশ্লীল গান শুনলে বেশী শক্তি পাওয়া যায়। যেমনটা পুকুর থেকে গাড়ি টেনে তোলা শ্রমিকদের মুখে শুনেছিলাম,
"একটা নারীর তিনটি নাং
ডিস্টিক হল চিটাগাং
নারীর গুদে সর্বসুখ
ডিস্টিক হল ফরিদপুর।"

ভালোবাসা মানে ক্যান্টিনের ঐ কোন
তুমি আর আমি গোপন প্রিয়জন।
ভালোবাসা মানে আবছা অন্ধকার 
তোমার আমার হাতের উপর হাত।

বাঁশি

নিশি রাতের বাশি রাঁধাকে ডাকে গলায় দিয়ে ফাসি। রাধিকার তো চিরদিনই অভিসার পছন্দ তাইতো সে সিঁথির সিঁদুর, চোখের কাজল প্রিয়তমকে সপে এসে বলে, স্নান করতে গিয়ে সব ক্ষয়ে গিয়েছে কিংবা শাশুড়ি যখন জিজ্ঞেস করে অকারনে মশারি কেন নড়ে? সে বলে "গোল করিস না গোল করিস না বিলাই ইঁদুর ধরে।"
আর পিঠে মাটি ও চুল এলোমেলো হওয়ার জিজ্ঞেস করলে বলে গোয়াল ঘরে গরুতে মারছে ছাটি। 
যাই হোক এতো সব বাঁশির কাজকর্ম তো আর আমি বুঝি না কিন্তু সে বাঁশির সুরে ঘুম ভাঙলে ঠিকই বুঝি কি করতে হবে। গতরাত তিনটায় ছাদে গিয়ে একজন ঐ ফুটোওলায়া যন্ত্রে সুর তুলেছে "নিশিতে যাইও ফুল বনে রে ভ্রমরা
নিশিতে যাইও ফুল বনে রে ভ্রমরা......"
ঘুম থেকে উঠে তার পাশে গিয়ে আমিও গান ধরলাম
"নিশিতে থাপড়াইবো তোমার গালে রে ভ্রমরা
"নিশিতে থাপড়াইবো তোমার গালে রে ভ্রমরা
......."
কয় ভাই ভুল হয়ে গেছে।
ভুল হয়ে গেছে মানে কি? শালার পুত বাশি বাজাবি বাজা, লোকালয়ের বাইরে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের ভিতরে গিয়ে বাজা এখানে কি?

ভালো ছেলের সংগাঃ A friendzone Survey.


১.যে যত বেশী creative, innovative, inventive, dynamic সে তত বেশী ভালো ছেলে। সে গালিগালাজ করুক, উগ্র হোক, মেয়েবাজি করুক, কাউকে সম্মান না করুক তাতে কিছু আসে যায় না।
২. রাস্তায় মুখ নিচু করে হাটে, মেয়েদের পায়ের দিকে তাকায়, গাঞ্জা খায় না, মধ্যরাতের পরে আর এক্স দেখে না, স্বপ্ন দূষন হলে নিয়মিত স্নান করে ইত্যাদি, এটাই ভালো ছেলের লক্ষণ।
৩.একটা ভালো ছেলের বড় গুন হল Honesty. 
৪. যারা মেয়েদের আশা আকাঙ্খা ঠিকঠাক মত পূরণ করতে পারে তারাই ভালো ছেলে।
৫. যারা ভালো জব করে তারাই ভালো ছেলে।
৬. ভালো আচার আচারন হবে, খারাপ কাজ করবে না সেইতো ভালো ছেলে।
......(চলবে)
:- নেশা! আমি যদি মানুষ না হয়ে তোমার ওড়না হতাম তাও জীবন সার্থক হত। 
:- তাহলে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে কেচে কেচে তোমাকে শাস্তি দিতাম।

আধুনিক শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

চন্ডীদাস যদি এখন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন লিখতেন তাহলে কানাই হত মিরপুর লিংক কিংবা রাজা সিটি পরিবহনের বাসের হেল্পার আর রাই হত কমার্স কলেজ কিংবা সিটি কলেজের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। প্রতিদিন বাসে যেতে যেতে আর মেট্রোরেলের কল্যানে জ্যামে বসে থাকতে থাকতে প্রথমে চোখাচোখি খন্ড তারপর ভাবখন্ড। এরপর পর্যায়ক্রমে আইসক্রিম/ফুসকা খন্ড, রেস্টুরেন্ট খন্ড, দানখন্ড, বাপমায়ের পিটানো খন্ড, হেল্পারবিরহ খন্ড অবশেষে বাড়ির পাশে বাঙলাস্কুল বদলি খন্ড লিখিত হত।
ড্রেস দেখে মানুষ যাচাই কর? মারা খাবা মারা
ক্যান্টিনে খাবার নাই; A bolt from the blue!
আগে না জেনে মজিলাম পিরীতে, এখন বুঝছি "পীরিতেরই এমনি জ্বালা আমার সোনার বরণ হইল কালা।"

ইন্টেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিজীবী!

ইন্টেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিজীবী! ইহারা বালকে তালগাছ বানাতে কিংবা স্বাভাবিক নিয়মে ঝরে পড়া শক্তিবর্ধক হালুয়া বিক্রেতার গূহ্যদেশের লোমকে যেভাবে বর্ননা করতে পারেঃ-
১. বালটি এভাবে নিহত হওয়ার পেছনে Animal Farm এর Snowball এর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। 
OR
২. এ বালটি মেঘনাধকে বধের সময় তাঁর অঙ্গ থেকে খসে স্বর্গে চলে গিয়ে ঊর্বশী-রম্ভাদের বালের সাথে মিলেমিশে বসবাস শুরু করে। পুরানো স্মৃতি মনে করে এটি এখন এ ভবে ঘুরতে এসেছে বলে আমরা মনে করি। 
OR
৩. এ বালটি হচ্ছে অস্ট্রালোপিথেকাস আফারেনসিস নারী লুসির; ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়ার আওয়াশ উপত্যকার হাডার অঞ্চলে যার ফসিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। কার্বন টেস্টের মাধ্যমে আমরা এটি নিশ্চিত হতে পেরেছি।
AT LAST
সিদ্ধান্তঃ ইন্টেলেকচুয়ালদের মুখটা সানি লিওনের গোয়ার মতো কখন যে কি ঢুকে বা বের হয় ঠিক বোঝা যায় না।
এতো আন্দোলনের মাঝে সুসংবাদ বেগুনের তরকারিটা ভালো হয়েছে।
নেশা যদি এভাবে অভিমান করে সবকিছু আমাকে দিয়ে দিতো।
অজুহাত একদিন মায়ের হাতের মত উদার হবে কিন্তু সেদিন তো আর উপযোগিতা থাকবে নারে ময়না।
দুপুরের খামাখা খেয়ালঃ-
তুমি যদি আমের আঁঠি হতে উল্টেপাল্টে চেটেপুটে খাওয়া যেত।
নববর্ষের সকল সৌন্দর্য নারী, পহেলা ফাল্গুনের সকল রঙ নারী, ভ্যালেন্টাইনের সকল রূপ, ভালোবাসা নারী, এক কথায় সকল উৎসবের রঙ, রঙ্গ, অঙ্গ আবির্ভূত হয় নারীর রূপকে কেন্দ্র করে। একরাশ বেদনা তাদের জন্য যারা আজ প্রেয়সী কিংবা অর্ধাঙ্গিনী ছাড়া ঘুরবে আর চারপাশে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকবে। যাই হোক সবাইকে "শুভ নববর্ষ"।
সামনের সারিতে বসা ব্যাকলেস আপুর বেখেয়ালে বেরিয়ে পড়া কালো ফিতার কসম, FBS এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটা জোশ হইছে।
জ্বালার উপর জ্বালা সই
জ্বালার উপর জ্বালা।
জলকে যাই পথ না পাই
বসন টানে কালা।।
সরম কর‍্যা ভরম কর‍্যা
বসন দিলাম মাথে।
সকল সখীর মাঝে কালা
ধরে আমার হাতে।।
রস করিতে জানে যদি
তবে সে মনের সুখ।
গোপত কথা বেকত করে
এই সে বড় দুখ।।
চলমল্যাকে চতুর বলি
হেটমুড়্যাকে জপু।
রস জানিলে রসিক বলি
নৈলে বলি ভেপু।।
লোচন বলে আলো দিদি
ইহা বললি কেনে।
কালার সমান রসিক নাই
এ তিন ভুবনে।।
(পদকর্তা লোচন দাস, বৈষ্ণব পদাবলী, শ্রীহরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ৪৮৩, সাহিত্য সংসদ, ২০১৫)

একাকীত্ব

বসন্ত গিয়ে আসা এ বৈশাখে হটাত করে চারপাশে এতো মানুষ তবু কেন একাকীত্ব অনুভব করছি? জানি না। কিছুই জানি না। চোখের সামনে কি সব গুন্টার গ্রাসের কবিতা কাগজে ছাপা হয়ে আছে, আছে আরো কিছু লেখকের কবিতা, কত অক্ষর, দুফুট দূরে দূরেই মানুষ তারপরও হটাত করে কেন এ একাকীত্ব বোধ? কবিতা চিরদিনই এভাবে আমাকে উদাস করে দেয়; বিশেষ করে বিরহের কবিতা, তাই আমি সবাইকে বলি আমি কবিতা বিদ্বেষী। একাকীত্বও অনুভব, উপভোগ করা যায়, একটা শান্তি আছে এতে, এখানে শুধু আমি, একাকী আমি, আমার আমি।
আমার বহুর ভিড়ে তুমি ছিলে বহুব্রীহি,
তোমার বহুর ভিড়ে আমি ছিলাম Ordinary.
তাই হয়তো কোনদিন সাড়াই দেওনি অথচ প্রতিটি ডাক তোমার দুয়াব পর্যন্ত গিয়েছিল।

চাণক্য।

"জ্ঞানী আপন দারিদ্র, মনের দুঃখ, গৃহের কলঙ্ক, নিজের বঞ্চনা এবং অপমানের ঘটনা অন্যের কাছে প্রকাশ করেন না।"
"কলম, পুস্তক এবং স্ত্রী অপরের হাতে গেলে তা চিরকালের জন্য চলে যায়। যদি বা পুনরায় ফিরে আসে তাহলে ভ্রষ্ট, নষ্ঠ এবং ধর্ষিত অবস্থায়।"
"দুর্জন ব্যাক্তির সাথে শত্রুতা কিংবা বন্ধুত্ব কিছুই করা উচিত নয়। কারন কয়লা গরম হলে হাত পুড়িয়ে দেয় আর শীতল হলে হাতে কালি লাগায়।" 
রোমান্টিকরা (গূঢ়ার্থে কিপটারা) মার্কেটে গেলে গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরে রাখে আর প্রকৃত ভদ্রলোকেরা গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফকে আগে দিয়ে নিজেরা পিছনে চলে
সতীনে সতীনে সম্পর্ক ভালো হতে পারে কিন্তু ভাড়াটিয়া বাড়িওয়ালা সম্পর্ক কোনদিনও ভালো হবে না। বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াকে ভাবে রিফিউজি আর ভাড়াটিয়া ভাবে তোর মত ছাগলরে আমার গ্রামের বাড়ির চাকরও রাখি না।
হাটতে হাটতে ১২নাম্বার পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম, উঠলাম ফিরতি বাসে, উঠেই অপ্রস্তুত। ছয় নাম্বার সিটে কপোত কপোতী দুটো মনের কথা বলছে, চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে বাস থেকে নেমে গেলাম। মন গর্বিত হয়ে হয়ে উঠল, কত love friendly আমি! তারপরেও নেশা রাজি হয় না। রাজি হলে বাংলাদেশ-নেপাল ভলিবল খেলা না দেখে এই সুন্দর সন্ধ্যায় হারিকেনের আলো জ্বালিয়ে দুজনে আঁচিয়াখুটি খেলা যেত।
পিছনের সিটে ঝগড়া লেগেছে, মেয়েটি বারবার ধমক দিচ্ছে, "তুমি আমাকে টাচ করবা না", "কোনদিনও আর ছুঁবা না"। 
বুঝি না প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে টাচফাস আবার কি জনিস? 
টাস করে শব্দ হল! বুঝলাম না কিসের। উঁহু!
আমার এই যাদুর শহরে
নিশিফুলের গন্ধে আসে নিশিকুটুম ঘরে। 
নেশা কেটে যায় যে চলে 
আবার আসে জোয়ারে।
বৃষ্টির দিনে নেশার বাড়ির সামনে গেলাম ফুচকা নিয়ে। নেশা বারান্দায় এলো, ডাক দিলো "ঐ ফুচকাওয়ালা মামা।"
"ঐ শালী কারে মামা কস? ভাতার ক ভাতার, ফুচকাওয়ালা ভাতার।"
আপনি জানেন কি? কুকুরের কান ধরে টানলে সে সামনে এগুবেই না বরং ওখানেই শক্ত হয়ে বসে থাকবে।
শুনেছি সবিতা ভাবীর বর তেমন পুরুষই নয় তারপরেও নাকি তিঁনি পোয়াতি!
কালোজিরার তেল বিক্রেতার মেয়ের সাথে জোঁকের তেল বিক্রেতার ছেলের বিয়ে; সুস্থ সবল নীরোগ দম্পতী ।
নেশা সালোয়ার উঁচু করে রান্না করছে, বললাম "তোমার পা দুটো তো দারুন সেক্সি।"
নেশা :- হাতের গরম খুন্তি আরো সেক্সি। 
(শালা! লেজ গুটিয়ে পালায় আসলাম।)
প্রেমিকের ঘাম প্রেমিকার কাছে মধু মধু লাগে; অন্যসবাই বলে কাছ দিয়ে যাওয়া যায় না।
জুটিগুলো বসে থাকে দেখি মেয়েগুলো চুমু খাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে আর ছেলেগুলো মাঝে মাঝে দয়া করে আর মেয়েগুলো প্রানভরে তা উপভোগ করে । আহা!
আমার সেন্সি Shamsher Alam বলেছিলেন (আমার জবানীতে বলছি, বেশ কিছুদিন আগের কথা তাই স্মৃতিলোপের ফলে কোটেশন করতে পারছি না) "এমন কোন স্টাইল বা কোনকিছু করা উচিত নয় যা প্রতিপক্ষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়।" এটা শুধু মার্শাল আর্টের ক্ষেত্রেই নয় অভিজ্ঞতায় দেখেছি জীবনের সব ক্ষেত্রেই কথাটা সত্য। যখন একপক্ষ অন্যপক্ষকে গর্ব করে ভাব দেখায় 'উম আমি এটা পারি ওটা পারি, তুমি আমার সাথে পারবা না, কাউকে অদক্ষ বলে অবজ্ঞা করে, হেয় প্রতিপন্ন করে', তখন তা অপমানিতপক্ষের ইগোতে চরমভাবে আঘাত করে। তার বা তাদেরও তো বডি রিসোর্স, হিউম্যান রিসোর্স, ইকোনমিক স্টেন্থ, ইন্টেলেকচুয়াল জাজমেন্ট, প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে, তারা ছেড়ে কথা বলবে কেন? বা ছেড়ে দেবে কেন? ঠিকই জবাব দিয়ে দেয়। (কারো গর্ব চূর্ন করতে মানুষের একটু অতিরিক্ত মজা লাগে।) মানুষ চায় সম্মান, তার প্রতিভার স্বীকৃতি, শ্রমের মর্যাদা; আর তার অবমূল্যায়ন তাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ইউনিভার্সিটিতে মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার নামে একটি কোর্সে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার থেকে শুধু করে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনাসহ অনান্য দলিল পাঠ্য ছিল কিন্তু সেন্সির ঐ কথাটি কেন জানি মনে দাগ কেটে গেলো। কথাটি মনে হলেই নিউরোনে খেলা করে "Always RESPECT your opponents. Allow personal FREEDOM. Hate criticism & LOVE humanity." মানবপ্রেম বড় প্রেম; সমালোচনা, চ্যালেঞ্জ শত্রু আর কলহ বৃদ্ধি করে, পতন ঘটায়।
আজ রানা প্লাজা ট্রাজেডির পঞ্চম বার্ষিকী। রানা প্লাজা নিয়ে তৈরি একটা ডকুমেন্টারির সাবটাইটেলের কাজ করেছিলাম তারপর থেকে আর আলতুফালতু প্রডাকশনের কোন ডকুমেন্ট দেখি না। 
(সেটা নাকি ILO তে পাঠানো হয়েছিল। এই খবর শোনার পর মনে হয়েছিল ল্যাপটপটাই অপবিত্র হয়ে গেল। মানুষের জীবন নিয়ে ওরা তামাশা করে! ছিঃ)
আপনার প্রেমিকা/স্ত্রীকে এন্টিপরকীয়া ভ্যাকসিন দিন অথবা যেকোন সময় আপনিও গুম/খুন হয়ে যেতে পারেন।
বানরখেলা এবং পুতুলনাচ দুটোই সমাজকে বিদ্রুপ করে একশ্রেণীর মানুষের চরিত্র দেখিয়ে দেয়। এই বানর বা পুতুলদের আমি বলি AIA (Artificial Intelligent Agents). এরা যেন ক্লোন করা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। যাইহোক বানর নাচ আমার ভালো লাগে।
এ অঞ্চলের রাস্তা এবং নদীগুলো যেমন আঁকাবাঁকা মানুষের মনও তেমনি আঁকাবাঁকা। মনে হয় এ নদী আর রাস্তাগুলো যেন এর চারপাশের বাসিন্দাদের সমন্বিত মন মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।
সুন্দরীদের যদি গোটাদশেক গুণগ্রাহী নাই থাকে তাহলে সে আবার কিসের সুন্দরী?
কলঙ্ক কিছু না থাকলে কপালে শোভা পাবে কি? কলঙ্ক টিপ, কাজল কিংবা লিপিস্টিকের মত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সাজ ছাড়া রমনীবদন যেমন ম্লান তেমনি বিতর্ক আর কলঙ্ক ছাড়া ব্যাক্তিত্ব লবন ছাড়া ভাতের মত কিংবা জ্বালানি ছাড়া রকেটের মত।
অসুস্থ হলে মায়ের কথা, বাড়ির কথা মনে পড়ে। হেলেঞ্চা শাক দিয়ে পুটি মাছ খেতে ইচ্ছা করলে মায়ের কথা মনে পড়ে। শালার শহর আর ভালো লাগে না। অসুস্থ হয়ে মনে হচ্ছে একটা থ্রি নট থ্রি রাইফেল পাইলে নিজের মাথায় নিজেই গুলি করে ঘুলি উড়িয়ে দিতাম।
গরীবের বউ যদিও সবার ভাবী হয়, গরীবকে কিন্তু অপজিট জেন্ডাররা ভাসুর/শ্বশুর মনে করে।
বিশেষ অঞ্চলের মানুষ পানিকে হানি বলে, দুই ঘন্টা জ্যামে আটকে থেকে শাহবাগ নেমে যখন এক গ্লাস পানি খেলাম তখন মনে হল ইহাকে শুধু Honey নয় সঞ্জীবনী সুধা বলা দরকার।

তাই হাল ছেড় নাকো বন্ধু, কখনো না।

সাড়ে তিনটার দিকে জিমনেশিয়ামে যেতাম মাঝে মাঝে এক আপুকে দেখতাম একই মলিন ইস্ত্রি ছাড়া জামা একই স্যান্ডেল পরে দিনের পর দিন সাইন্স লাইব্রেরী থেকে আজিমপুরের দিকে যেতে। (ঐ একটি জামা ছাড়া দ্বিতীয় কোন জামা পরা অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে আমি দেখিনি।) এখন ওঁনার পাহারায় থাকে দ্বিতীয় শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তা। 
ক্ষুধায় তাড়নায় প্রিয় উপন্যাস বিক্রি করে দেওয়া বড়ভাই প্যারিস থেকে বব ডিলানের ক্রনিকল বইটি এনে দিয়েছিল গত অক্টোবরে। 
শ্রমের প্রত্যেকটা ঘামের বিন্দু প্রতিদান দেয় আর দারিদ্র্য একদিন জয়মালা হলে গলায় ঝুলে পড়ে। তাই হাল ছেড় নাকো বন্ধু, কখনো না।