Wednesday, February 28, 2018

পুরান ঢাকার হরিঘোষ লেনের বাসিন্দা রবীন্দ্রনাথের সাথে ভজঘটানন্দ স্ট্রিটের লাস্যময়ী তরুনী মিয়া খলিফার ঢাকা গেটের সামনে হটাত দেখা। তো ঠাকুর বলিলেন, " ওহে পয়োধারী! Global Warming এর উপর আমার উপন্যাস চোখের বালি এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। তুমি যদি এই বই সম্পর্কে উইপোকাদের আড্ডাখানায় একটা পোষ্ট দাও তাহলে কিছু কাটতি হয়, হাজার হলেও নিজের টাকায় বই পাবলিশ করেছি দু এক কপি বিক্রি না হলে কিভাবে হয়!"
"যা দুষ্টু! ওসব ওয়ারমিং টোয়ারমিং এর আমি কি বুঝি। তার চেয়ে তুমি Women Rights এর উপর একখানা কড়া উপন্যাস ললিতা কিংবা ইউলিসিস লিখতে। বুঝতাম তোমার বীরত্ব।" মিয়া খলিফা উত্তর করিলেন।
একথা শুনে ঠাকুর ক্যালিগুলার জীবনচরিত লেখার সংকল্প করিয়া প্রস্তান করিলেন।
":-সবাই কেমন আছে? 
:- যোগাযোগ নাই।" 
দুজন দুজনকে চেয়ে দেখি, কেমন বদলে গেছি আমরা। তারপর আবার ভেসে যাই অথৈ সমুদ্রে মানুষের ভিড়ে
আমার স্বরতন্ত্রী কেপে ওঠে যার কম্পনে সে তো আমার মাতৃভাষা আমার মায়ের বুলি,
আমার খাতায় ফুটে ওঠে যার জ্যামিতিক রেখা সে আমার মায়ের ভাষার পেশীর অবয়ব, 
আমার কর্নকূহরে বেজে ওঠে যে গানের স্বরলিপি
সে আমার বাংলা ভাষার সুমধুর ধ্বনি ।
ছোট চুল না ঢেকে বড় বুক ঢাকুন; দৃষ্টি সংযত রাখতে সহায়তা করুন।
"আমার ঘুম ভাংগাইয়া গেল রে মরার কোকিলে ....." চালিয়ে দিয়ে দুই রুমমেট কুস্তি শুরু করেছে, আমি রেফারির দায়িত্ব পালন করছি। আতংকে আছি কখন দুজনে মিলে আমাকে আক্রমণ করে বসে।
বালকের ঘুড়ি উড়তে উড়তে পড়ল বুড়িগঙ্গায়, সদ্য কেনা লাটিমের লাজুক মেয়ের প্রথম সঙগমের মতো ঘুরতে চাওয়ার জড়তা, এতিমখানার অপুষ্টিতে ভোগা বালকের শুষ্ক হাসি, লাল রঙের লাস্যময়ীকে ঘুটিতে বাঁধা শাঁড়ের তাড়া, পুরাকীর্তির পাশে ক্যাকটাসে ফুটে থাকা ফুল, জলে ভাসা পাতাহীন কচুরিপানা.......... দেখতে দেখতে আমার হেটে চলা ।
ইভটিজিং কোন অপরাধ নয় এটা হচ্ছে রূপের স্বীকৃতি।
বহুদিন পরে রাতে নেশা করছি। 
মাঝ রাতের নেশা! 
বড় মাতাল করা 
অনেকটা জুই ফুলের মতো। 
নেশা রাতে ফোটা ফুল হলে আমি রাতের শুকতারা হতাম। 
তারপর সবাই ঘুমাত আমি নেশা করতাম।
যতক্ষণ না চোখগুলো লাল হয়ে যেতো
কিংবা ফুলার রোড় থেকে কেউ চিৎকার করে বলতো ঐ বাইঞ্চোদ এবার ঘুমো।
প্রেমিকা হিসেবে সুন্দরীদের মানায় কিন্তু গৃহলক্ষ্মী হিসেবে এরা বড়ই বেমানান বড়ই খটখটে। ওদের দিয়ে ব্যাবসা চলে, ওদের জন্য যুদ্ধ চলে, কাব্য লেখা চলে কিন্তু শান্তি পাওয়া যায় না। সুন্দরীরা হবে বাইজি, সুরাপাত্র, কিংবা বিনিময়ের কেনা ক্ষনিকের পসারণী আর গৃহে ছায়া খুঁজতে শেষ পর্যন্ত যেতে হয় দ্রাবিড় কন্যা সুধাময়ীর কাছেই; এটাই নিয়ম।
রাজনীতির সোদনে ছেলে বাপকে ডাকে ভাই !
"শাড়ি খোলা বড় কথা না, বড় কথা হচ্ছে শাড়ি কেনার দক্ষতা অর্জন করা।" - পাশের বাসার তানিয়া ভাবি।
ডিপার্টমেন্টে গিয়েই শুনলাম সদ্য যোগদানকৃত ম্যাম "Liberal Feminism" (উদার নারীবাদ) পড়াবেন। যাক! মধ্যবয়সী, চাচার সহপাঠিনী ম্যামদের লেকচার শুনতে শুনতে ক্লাসে ঝিমিয়ে পড়তাম এবার যদি জেগে থাকার কিছু পাই আর ম্যাম যদি একটু Liberal হয় (মন মানসিকতা প্লাস পোশাকে) তাহলেই কেল্লাফতে। ম্যাম এলেন, আপদমস্তক কালো পর্দা বিদ্যামান, ক্লাসের মাঝে মাঝে আবার সব কিছু ঠিক করে দেখেন কিছু দেখা যায় কিনা! 
শালা! আমার Liberal Feminism! এরপর থেকে ঐ ম্যামের ক্লাসে কোনদিন যাইনি।

বাল! বাল! বাল!

বাল! বাল! বাল!
আমার বিছানায় এ কার বাল? 
জিজ্ঞেস করি রুমমেটকে 
বলে "How would I know?" 
ইমেইল করলাম প্রক্টরকে ফটোগ্রাফসহ 
তিনি রিপ্লাই দিলেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম পাঠাচ্ছেন ।
এলেন তারা সাথে একজন জুড়িসিয়াল মেজিট্রেট। 
কেস স্টাডিজ চলল ঘন্টাখানেক ধরে 
তারপর রিপোর্ট দিলেন, 
বসন্তের এ দক্ষিনা সমীরনে ভেসে এসেছে এ তন্তু
হয়তো কোন তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সামুদ্রিক পাখির মত একটু আশ্রয়ের আশায়। 
হতে পারে এ বাল আমাজনের গহীন অরন্য সভ্যতার অষ্টাদশী অসূর্যস্পশ্যার।
কিংবা নীল সমুদ্রের বুকে সার্ফিং করতে থাকা বুদাপেস্টের রাজকুমারীর। 
যে হয়তো হিংস্র হাঙরের আক্রমনে এতক্ষনে মৃত। 
যারই হোক এ যৌবনের সিম্বল উড়ে যখন এসেছে কি আর করা! 
কাপ্তান বাজারের সবচেয়ে দামী শ্বেত কপোতের ডানায় করে উড়িয়ে দেবো তাকে আবার। 
তারপর হবে সব স্মৃতি! 
হায়রে বাল! 
উড়ে যায় কায়া
রেখে যায় মায়া!
গ্রিন সিগারেট! 
একপাক্ষিক সম্পর্ক কখন যে উভয়পাক্ষিক হয়ে গেলো টেরই পেলাম না! 
বন্ধ দরজাগুলো কখন যে শাট শাট করে খুলে গেলো বুঝতেই পারলাম না!
সুন্দর সম্পর্কের সাঁকোয় কখন যে ঘুণে ধরলো 
জানতেই পারলাম না!

সব ক্লাইমেট চেঞ্জ

দাদা! আজকে খুব শীত পড়ছে।
- সব ক্লাইমেট চেঞ্জ। 
দাদা! আজকে ছ্যাকা খাওয়া গরম পড়ছে।
- আরে সব ক্লাইমেট চেঞ্জ। 
দাদা! পাশের ফ্লাটের সোনিয়া দুদিন আগেও যার প্রিয়া প্রকাশের মতো বুক পিঠ সমান ছিলো এখন মিয়া খলিফাকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। 
- বুঝলি না? সবই ক্লাইমেট চেঞ্জ।
দাদা! The Man from U.N.C.L.E. মুভিটার সিকুয়েল হচ্ছে।
- সবই ক্লাইমেট চেঞ্জ রে ।
দাদা! এই শীতকালীন অলিম্পকে দক্ষিন কোরিয়া নাকি অ্যাথলেট প্রতি প্রায় ৩৭টি কন্ট্রাসেপ্টিভ বিলিয়েছে।
- ক্লাইমেট চেঞ্জের কারনেই সব সব হচ্ছে রে।
দাদা! আমাদের টমিকে পাশের বাড়ির সাদেক বিস্কুট খাওয়াচ্ছে।
- কি? মার শালারে।
বাড়ি যা কপিলা রাস্তায় অনেক জ্যাম।

সুখ !

যখন সাধ ছিলো ইচ্ছা ছিল তখন সাপ্লাই ছিলো না। এখন সাপ্লাই আছে কিন্তু সব বিস্বাদ হয়ে গেছে, ভালো লাগে না। পাওয়ার পর মনে হল কি যেন একটা নাই অথচ কি আগ্রহই না ছিল। এখন মনে হয় সুখ অন্য কোনখানে, অন্য কোন প্রান্তরে। এখান থেকে আমি মুক্তি চাই; এ যেন বন্ধন। হায়রে সুখ! সিগময়েড ফ্রয়ডের সুখ! ক্ষনেক্ষনে তোর সংগা বদলায়। 
কখনো প্রাপ্তির আকুলতায় গেয়ে উঠি,
"বিধিরে তুই আমায় ছাড়া রঙ্গ করার মানুষ দেখলি না, 
আমার বুকটা ভরে তৃষ্ণা দিলি সেই তিয়াসা মেটায় এমন মানুষ দিলি না....."
আবার মুহূর্তেই বিতৃষ্ণা বেজে ওঠে বাউল সুরে
"সংসার আমার ভাল লাগে না........."
সুখ বিলাসী মন আমার সুখ খুঁজে কিন্তু সুখ সে তো চড়ুইপাখি, শুধু ফুরৎ ফুরৎ।

Sunday, February 25, 2018

বাল!  বাল! বাল!
আমার বিছানায় এ কার বাল?
জিজ্ঞেস করি রুমমেটকে
বলে "How would I know?"
ইমেইল করলাম প্রক্টরকে ফটোগ্রাফসহ
তিনি রিপ্লাই দিলেন পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের একটি টিম পাঠাচ্ছেন ।
এলেন তারা সাথে একজন জুড়িসিয়াল মেজিট্রেট।
কেস স্টাডিজ চলল ঘন্টাখানেক ধরে
তারপর  রিপোর্ট দিলেন,
বসন্তের এ দক্ষিনা সমীরনে ভেসে এসেছে এ তন্তু
হয়তো কোন তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সামুদ্রিক পাখির মত একটু  আশ্রয়ের আশায়।
হতে পারে এ বাল আমাজনের গহীন অরন্য সভ্যতার অষ্টাদশী অসূর্যস্পশ্যার।
কিংবা নীল সমুদ্রের বুকে সার্ফিং করতে  থাকা বুদাপেস্টের রাজকুমারীর।
যে হয়তো হিংস্র হাঙরের আক্রমনে এতক্ষনে মৃত।
যারই হোক এ যৌবনের সিম্বল উড়ে যখন এসেছে কি আর করা!
কাপ্তান বাজারের সবচেয়ে দামী শ্বেত কপোতের ডানায় করে উড়িয়ে দেবো তাকে আবার।
তারপর হবে সব স্মৃতি!
হায়রে বাল!
উড়ে যায় বাল
রেখে যায় মায়া!

Friday, February 16, 2018

SAFETY FIRST
"Happy Valentine"
মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়ে রাস্তাগুলো ভার্জিন হয়ে গেছে বাসের যেতে কষ্ট হয়।
তুমি আর আমি এক শহরে নেই কোন যোগাযোগ
প্রতিশোধও নেই যে কোন নেই কোন অনুযোগ।
ঢাকা বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত। ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। ছোট বেলায় মামার দেওয়ার ট্রান্সলেশন। মামা তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই থেকে ঢাকার প্রতি বিশেষ করে পুরান ঢাকার প্রতি আমার সুপ্ত আকর্ষণ। বিকেলে ঠিক দক্ষিন দিকে হাটতে শুরু করলাম, কারাগারের দেওয়াল পেরিয়ে গলি দিয়ে সোজা সামনে। হটাৎ চৈতীর ফোন "ভাইয়া! TSC তে আছি, রিজু বসে বসে পড়ছে, মা বলেছেন ও তিনদিনের মধ্যে বইটা শেষ করতে পারলে মা ওকে আরেকটা বই কিনে দেবে", দেখি এক খেলার মাঠ, ধুলার উড়াউড়ি, দুভাইয়ের মারামারি, মিস করলাম নিজের ছোটভাইকে (ওর সাথে আমিও মারামারি করতাম), বল ছুটে এলো আমার দিকে টুপ করে ধরে ফেললাম, কিছুক্ষণ পরে ওরা বলে "ভাই খেলেন", খেললাম। গ্রামে আমাদের বাড়ির পাশে ছোট মাঠ; সেখানে পিংপং ছাড়া খেলা যেতো না এখানেও দুপাশে দেওয়াল রেখে আমরা সেই পুরানো নিয়ম ছয় মারলে আউট খেলা শুরু করলাম। ব্যাট করার সময় হাত ঘেমে ব্যাট ছুটে গিয়ে লাগলো দেওয়ালে, হাতল নড়বড়ে হয়ে গেল, "ভাই ব্যাটটা আজকে কিনেছি!" বললো ওরা। খেলা শেষ! ছুটলাম আবার সামনে, দেখি এক ফ্যাক্টরি, ঘুরে দেখলাম, কারিগররা বলল এটা TP Belt. যান্ত্রিক কৌশলের দিকে চেয়ে থেকে রাস্তা পেরিয়ে সোজা বুড়িগঙ্গার পাড়ে চলে এলাম। রিজার্ভ নৌকায় দুলতে দুলতে জলে আলোর খেলা, ভেসে ওঠা রঙিন পাড়ের প্রতিচ্ছবি, লঞ্চের হুইসেল, অনেকটা মুভিতে দেখা ইতালি কিংবা ভেনিসের কথা মনে করিয়ে দিল।
ওপারে নেমে কামারের হাপরের বাতাসে কয়লার জ্বলে ওঠা, রাস্তায় জোঁকের তেল আর কলোজিরারা তেলের সুখ্যাতি করে বক্স এর বেজে চলা, বড় বড় জাহাজের মাঝে নিজেকে হারিয়ে বলে ওঠা "এইতো Industrial Revulsion", মোটা মোটা শিকলের ডকইয়র্ডের মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়া, সদ্য তৈরি জাহাজের বড় বড় টারবাইনে আলোর ঝলকানি, আবার ঢেউের স্রোতে ভাসা, গরুর ভুড়ি ভাজার গন্ধ নাকে লাগা, বাসে ঘুমানো আর সর্বশেষে রিক্সায়, হলে নামতেই চালকের আবদার "মামা! দশ টাকা বাড়াইয়া দিয়েন।"

Sunday, February 11, 2018

দ্যাখো মেয়ে! শুধু বড় ফ্রেমের চশমা নিলেই মিয়া খলিফা হওয়া যায় না, মিয়া খলিফা হতে গেলে রূপ ও সাইজ লাগে। সোসাল রিসার্চের সবগুলো মেথড এপ্লাই করে দেখাতে পারি যেদিন থেকে University of Texas এর গ্রাজুয়েট এই নারী Ranking এ ১ নম্বরে আসলেন সেই দিন থেকেই এ দেশের কিশোরী যুবতীদের বড় ফ্রেমের চশমায় আসক্তি দেখা দিল। 
সোডিয়াম বাতির কুয়াশা, LED বাতির কুয়াশা, বিলবোর্ডের রংগিন কুয়াশা, দৃষ্টিসীমা আমার ১৫০ মিটারের নিচে, পিছনে গাড়ির হর্ন, পাশের গলিতে নিঃশব্দ নীরবতা, বাসে আধোঘুমে চোখ মেলি আমি। 
(ভোর ৫.৪৭, ১০ফেব্রুয়ারি ২০১৭)
যে দিন থেকে বাল গজিয়েছে সেদিন থেকে জীবনে নতুন টেনশন প্রবেশ করেছে।
১) বাল ফেলানোর চিন্তা
২) সুন্দরী মেয়েদের Ranking করার চিন্তা।
ব্যার্থতা একটাই যে দাড়ির এতো স্টাইল করলাম কিন্তু বালের কোন স্টাইল করতে পারলাম না।
জীবনে প্রথম বাল কাটার স্মৃতি কোনদিন ভোলা যায় না। 

বালের ভাস্কর্য

ভাবছি শাহবাগ মোড়ে একটা বালের ভাস্কর্য নির্মাণ করবো; সেখানে বিভিন্ন ধরনের বাল কোঁকড়ানো বাল, সোজা বাল, স্পাইক করা বাল, কোকশয়েড, নিগ্রয়েড, মঙ্গোলীয়, অস্ট্রিক, পার্শিয়ান, আর্যীয় সহ সকল ধরনের বালের নমুনা থাকবে। যাতে করে একবিংশ শতাব্দীর মানুষ বালের বিবর্তনের একটি ধারনা পেতে পারে। বাল কি আগে মোটা মোটা অনেকটা খেজুর গাছের মতো ছিল? কখন থেকে বাল চুলের মতো চিকন হতে শুরু করল যে চুলে আর বালে কোন পার্থক্য থাকলো না?
বালের শিল্পমূল্য কি? Evolutionary Biologists বাল সম্পর্কে কি বলেছেন? বালের গন্ধের রহস্য আদৌ আছে কি না? কাদের বালের গন্ধ বেশী? ফরাসীদের, আফ্রিকানদের নাকি অ্যামাজোনিয়ানদের?
যদি এন্টার্কটিক মহাদেশে মানুষ জন্মাত তাদের বালের আকৃতি, প্রকৃতি কেমন হতো?
তবে আমার মনে হয় একজন মহীয়সী নারী মিয়া খলিফা এ সম্পর্কে ভালো বলতে পারবেন।
কর্ডাটা পর্বের প্রানী ছাড়া অন্যদের আদৌ বাল আছে কিনা সে বিষয়ে গবেষনা হওয়া দরকার। মানুষের যে এপিজেবল গ্রিপ রয়েছে তা কি প্রথম দিকে সৃষ্টি হয়েছিল বাল টেনেটেনে তোলার জন্য নাকি হাতিয়ার ধরার জন্য?
শারীরিক অভিযোজনের কথা ধরলে অস্ট্রালোপিথেসিন্স আফারেন্সিস, হোমো হ্যাবিলিস, হোমো ইরেক্টাস, হোমো স্যাপিয়েন্সের বাল কি ভাবে বিবর্তিত হয়েছিল সময়ের সাথে?
মেসোপটেমিয়া, মিশর, ভারত, চীন, মায়া, গ্রিস, রোমান সভ্যতায় বালের ধর্মীয়, সামাজিক, অর্থনৈতিক গুরুত্ব কতটুকু ছিল? কিংবা বালের উপর কোন কর বসানো হতো? প্রাচীন অলিম্পিকে কি বাল গঠন (বাল লম্বাকরন, মোটাতাজাকরণ প্রভৃতি) প্রতিযোগিতা হত?
প্রারম্ভিক সভ্যতায় মানুষ পানি উৎসের কাছাকাছি কেন বাস করত? সে কি শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য নাকি নিয়মিত বাল ধৌত করার জন্য?
যাদের বাল Community Ethics ভংগ করে তাদের বিচার কোন আইনে হবে? Criminal, Civil, Common or Statuate? Greek, Roman, Chinese, Hindu, Jewish Law বাল সম্পর্কে কি কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে? Spritual ক্ষেত্রে বালের গুরুত্ব কতটুকু?
বাল নিয়ে কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিকরা কি বলেছেন, যেমন
"ঝলমল কালো বাল
আহা! ঝলমল কালো বাল
কিউট কিউট কিউট স্যাম্পু
ঝলমলে কালো বাল। "
কিংবা এরিস্টটলের অমর বানী,
"লম্বা ও ঘন বালধারীর শাসন অন্য যে কোন ব্যাক্তি শাসনের চেয়ে ভালো।"
অথবা
"ফুটন্ত ফুলের মতো বাল মনোরম, তার চেয়ে বেশী কিছু আছে সুন্দর?"
কিংবা
"শান্ত ও পরিছন্ন বাল স্বাস্থ্যরক্ষায়, উৎকৃষ্ট খাদ্যের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।" 

সর্বশেষে
"মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেচে থাকলে বাল কাটে কারনে অকারনে কাটে।"

Friday, February 9, 2018

নেশাকে নিয়ে বইমেলায় যাচ্ছি, টিএসসির সামনে বাংলা একাডেমির সেন্সর বোর্ড আটকালো, বলে ভাই এ রকম উস্কানিমূলক প্রেমিকা নিয়ে তো মেলায় যেতে পারবেন না।
কেন? 
এরকম ডানাকাটা পরী মেলায় নিয়ে গেলে উন্মাদ যুবসমাজের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে; তখন কোন সমরবিজ্ঞান তা সামাল দিতে পারবে না।
সুন্দরীরা ছেলেদের দুভাগে দেখে 
১) অনুরাগ পার্টি - যারা তার প্রেমে পড়ে তারা এ গ্রুপের সদস্য । তারা মনে করে আবাল থেকে বৃদ্ধ সকলে তার রূপে বিমহিত হয়ে আমের আঁঠির ভেপু নিয়ে কৃষ্ণ সেজে রইবে । আর যারা রইবে না তারা বিরোধীদলীয় ঠিক যেন Animal Farm এর Snowball এর মতো । 
২) কোপানল পার্টি - অন্যান্য সুন্দরী ও তাদের গুণমুগ্ধরাসহ সকলে এই লিস্টে । তার প্রেমে কেউ না পড়লেই এ গ্রুপে ঠাই নিশ্চিত । 
ভালোবাসা বলে কিছু নাই যা আছে তা হলো নাভির কয়েক ইঞ্চি নিচে সুড়সুড়ানী । 
Sustainable Development Goals (SDG) এর দুটি লক্ষ্য আমারা পূরণ করে ফেলেছি! 
১) Sustainable জ্যাম। 
২) Continuous প্রশ্ন ফাঁস।
প্রশ্নফাঁস বলে আসলে কোন কিছু নাই সব 'Open Book Examination' নেওয়ার পূর্বে 'Pilot Project' হিসেবে 'Open Questions Examination' প্রকল্পের অংশ মাত্র। এ নিয়ে যারা সমালোচনা করে তাদের সম্পর্কে জনৈক নোয়াখালীর মনীষী বলেছেন 'কাজ নাই কইত্তো, বাল নাই হাইত্তো'।
সে বলে, "Wow."
আমি শুনি, "মিয়াও !"
বন্ধু তোর লাইগা রে
নিভাই দিবো ক্যাম্পাসের সব বাতি 
: এগুলো কি? 
: টেনিস বল, খেলবা? 
: না।
বড়ভাই এক সুন্দরীকে দেখে বলল, "Beauty in bulk." পাশ থেকে সুফিয়া কামাল হলের আমাদের ভ্রমণ সংগিনী যোগ করল, "বালের বিউটি।"
:-
তুমি আমার পর্যাবৃত্ত গতি,
তুমি আমার একাদশে বৃহস্পতি,
তোমার সাথে আমার আয়নিক বন্ধন,
তোমার দেখলে আমার বিভবশক্তি হয় গতিশক্তি,
তুমি আমার ক্যালকুলাসের আপার লিমিট,
আমার অভিসারিতা অপসারিতার কারন তুমি।
নেশা:-
তোমার Escape Velocity (মুক্তিবেগ) আমার আকর্ষণ শক্তি থেকে বেশী!
বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম Blair, T. A. (1942). Climatology: General and regional বইটার পাবলিশারের নাম কি ?
সে কয়, ‘পেণ্টিস হল (Prentice Hall).’

Sunday, February 4, 2018

নেশাখোরের নিশিকাব্য


নিশিগন্ধা, নিশিপদ্ম,  নিশিগদ্য, নিশিপদ্য, নিশিছন্দ, নিশিকন্যা, নিশিকান্ত, নিশি রাত বাকা চাঁদ, নিশি সুখ প্রেয়সীর বুক।  নিশি ব্যাপারটাতে কেমন যেন রোমাঞ্চকর  রোমাঞ্চকর সমাজকে ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপার আছে। তাইতো চতুর সুযোগসন্ধানী বলেছেন, "নিশিরে যাইও ফুল বনে..."

পাহারাদার যখন নাই value, law, ethics এর গুষ্ঠি মারি তখন; তাইতো চোরা রাত দুপুরে চুরি করে, দিনে জপমালা জপে আর বলে "ও রাঁধা তোর পারে পড়ি।" আর রাত হলে বলে রাঁধা তুই ঘুমো আমি মাল বোঝাই ট্রাকখানা কারখানা থেকে জাহাজে পৌছে দিয়ে আসি।

কাব্যতত্ত্ব দেহতত্ত্বের রূপ পায়, দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যায়, ভালো ছাত্র (ইন্টেলেকচুয়াল আঁতেল) ঘুম থেকে উঠে কুপিয়ে একখান পড়া দেয়, নির্জীব জনহীন সড়কে LED বাতিতে কুয়াশার খেলা দেখে হয়তো কোন ভাবুক, পুলিশের ভ্যান গাড়িতে ঘুমিয়ে নেয় কনস্টেবল, জেগে ওঠে পাইকারি সবজীর বাজার, হয়তো টাকার বিনিময়ে সুখ খুঁজতে বের হয় দিনমজুর যুবক।

ক্লান্তা সবাই, সুপ্ত সবাই, তবু নির্ঘুম কিছু চোখ।  কি খোঁজে তারা?  সুখ!  হতে পারে।  কারো সুখ দুপায়ের মাঝখানে,  কারো কোডিং এর গানিতিক সূত্রে, কারো নির্জীব খসখসে বইয়ের  পাতা উল্টিয়ে, কারো বা ডকইয়র্ডের ঝালাইয়ের শব্দে, কারো বা সারেং এর মতো ভেসে চলে।  আর আমি?
"জীবনপুরের পথিক রে ভাই
কোনো দেশে সাকিন নাই।
কোথাও আমার মনের খবর পেলাম না...."
Communication Skill ক্লাসে ম্যাম বলেছেন, "সবচেয়ে বড় দক্ষতা হলো SONAR দক্ষতা! "
বাংলামটর জ্যাম, গোলাপি এক সুন্দরী উঠল বাসে, সব ঢাকা শুধু চোখ দুটি বাইরে, মনে হল চন্দন বর্ণের উপর তিনটি তিনটি কালো বৃত্তচাপের ভেতর দুটি কালো বৃত্ত। বৃত্ত দুটি শুধু এদিক যায় ওদিক যায়, মাঝে মাঝে স্থির হয়ে থাকে। বসবি বস একদম আমার সামনে, তাকালেই চোখে চোখে পড়ে। এদিকে আমি ঘামতে শুরু করেছি। সুন্দরী মাঝে মাঝে পলকও ফেলে তখনই হৃদপিন্ডের সকল কপটিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। 
ফার্মগেটে এসে বাসে সিট খালি হলো, সুন্দরী লেডিস সিটে গিয়ে বসল। 
বালের এতো জ্যাম ক্যা? গাড়ি চলে না কেন? পাশের যাত্রী ফোনে কার্ড খেলতে শুরু করলেন আর আমি কানে এয়ারফোন গুজে ঘুমাতে লাগলাম।
এক সময়ে রোমান্টিক সংলাপ ছিল, "পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ।" আর এখনকার মর্মান্তিক হারামজাদারা দুই দিন প্রেম না হতেই পথ খুঁজে পায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখন জন্মগ্রহন করলে ওনার নাম হতো ড. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর কাজী নজরুলের নাম হতো ড. কাজী নজরুল ইসলাম, পিএইচডি (জাপান)
নেশাকে নিয়ে বইমেলায় যাচ্ছি, টিএসসির সামনে বাংলা একাডেমির সেন্সর বোর্ড আটকালো, বলে ভাই এ রকম উস্কানিমূলক প্রেমিকা নিয়ে তো মেলায় যেতে পারবেন না।
কেন? 
এরকম ডানাকাটা পরী মেলায় নিয়ে গেলে উন্মাদ যুবসমাজের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে; তখন কোন সমরবিজ্ঞান তা সামাল দিতে পারবে না।

অনুরাগ পার্টি ও কোপানল পার্টি

সুন্দরীরা ছেলেদের দুভাগে দেখে 
১) অনুরাগ পার্টি - যারা তার প্রেমে পড়ে তারা এ গ্রুপের সদস্য । তারা মনে করে আবাল থেকে বৃদ্ধ সকলে তার রূপে বিমহিত আমের আঁঠির ভেপু নিয়ে কৃষ্ণ সেজে রইবে । আর যারা রইবে না তারা বিরোধীদলীয় ঠিক যেন Animal Farm এর Snowball এর মতো । 
২) কোপানল পার্টি - অন্যান্য সুন্দরী ও তাদের গুণমুগ্ধরাসহ অনান্য সকলে এই লিস্টে । তার প্রেমে কেউ না পড়লেই এ গ্রুপে ঠাই নিশ্চিত ।

Thursday, February 1, 2018

আত্ম উৎসাহ

সতীনাথ মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে শুনেছিলাম,
"যদি তুমি না এ গান কোনদিন শোন
কেউ শোনে বা না শোনে
কি আসে যায়?
যদি তুমি না মোর পথ চেয়ে দিন গোনো
আমি আধারে হারালে কি আসে যায়?"

আর কোকা কোলা প্রথম বছর বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৯ গ্লাস (১৮৮৬); আর বর্তমানে বিক্রি হয় ১৬০ কোটি গ্লাস প্রতিদিন।
কেউ পছন্দ করুক না করুক, উৎসাহ দিক না দিক মন তুই যা ভালোবাসিস সে কাজ করবি সাফল্য আসবেই।  মনে রাখিস,  "If I want something I've never had, I must be willing to do something I've never done." চারপাশের মানুষ কি বলে কিছু আসে যায় না; My life my dicision,  Fuck Off.

নিজের সিদ্ধান্তে যদি ঝড়ও নেমে আসে আসুক না। There are something which I can only learn at the time of storm.  একবার বাঁচতে শিখে গেলে আর মারে  কে?
Rejection এ কখনো হতোদ্যম হবি না, অভিজ্ঞতা থেকে তো দেখতেই পাচ্ছিস, "Every time I'm rejected,  I'm pushed to something better,  something extraordinary."

সবার সাথে মেশার দরকার নাই। I'm not unsocial, I'm just selective. যারা আমাকে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, উৎসাহ দেয়, ভাল কিছু অর্জনে সহায়তা করে তারাই একমাত্র সাথী।

মনে রাখিস,  "Don't give a fuck is better than giving a fuck." তোর Time,  Money,  Energy এর মূল্য আছে।  সৃষ্টিশীল কোন কাজে লাগা, ফল পাবি।  তেতুল গাছ লাগালে তেতুল ফলই পাবা আর মিষ্টি আম গাছ লাগালে মিষ্টি আমই পাবা।  কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করার চেষ্টা থেকে নিজের উন্নতি করার চেষ্টা কর।  বছর শেষে দেখবি তোর অর্জন কোথায়; অনেকটা তোর প্রতিপক্ষের ধরাছোয়ার বাইরে।

মনে কর, তুই আলেকজান্ডার, তুই অর্জুন, তুমি হেক্টর, একেলিস।  তোর কর্মই সব।  অজুহাত নয় তুমি জিতে দেখা।  কেউ শুনতে চায় না তুমি কেন ব্যার্থ হয়েছিস, পায়ে ব্যাথা ছিল, না চোখে সমস্যা ছিল?  Just Win.  তোর সাফল্য/কর্ম ছাড়া তোকে বাল বলেও কেউ গন্য করে না।

এখন থেকে Time Block করে Every Single Day কাজ করে যা ।
"My life will get a new definition."