Saturday, September 9, 2017

"ত্বকের গুণে মাল"



ত্বক মানুষের ( বিশেষ করে মেয়েদের)  greatest property.  ত্বকে কি না হয়,  ত্বক দেখে প্রেমিক বেহুঁশ হয়,  রাস্তার মানুষ তাকিয়ে থাকে,  কেউ বা  রূপোন্মত্ত. হয়ে পিছে ঘুরে,  ত্বক ফর্সা হলে প্রেমিকের অভাব হয় না,  স্বামীরও হয় না।  যে মেয়ে সুন্দরী বা ফর্সা তার জীবন অনেকটাই ওই ত্বকের কারনে সহজ হয়ে যায়।  সুন্দরী মেয়েদের নিয়েই কবিরা কবিতা লেখে,  ভারতচন্দ্রের বিদ্যা,  আলাওলের পদ্মাবতী,  হোমারের হেলেন,  বাল্মীকির সীতা সবাই ত্বকে ফর্সা ; আর কোন গুণ থাকুক না থাকুক।  কালো মেয়েদের কোন সাহিত্যে নায়িকা হতে দেখিনি আমি।  সব জায়গায়ই রূপের জয়জয়কার।  আর আমি যেহেতু কাল সুন্দরী মেয়েদের সাথে কথা বলা  আমার  মৌলিক  অধিকার।

সবই মেলাটোনিন এর খেলা দাদা।  তাইতো একটু  মেলাটোনিন কম দেখানোরর জন্য লোকে কত কিছু মাখে,  রংগ করে,  প্রসাধনী ব্যাবহার করে।
যে ফুল রাতে ফুটে তাতে বর্ণধারী প্লাস্টিড থাকে না  ফলে  সাদা  হয় কিন্তু যে মেয়ে রাতে ঘুরে অর্থাৎ বারনারী হতে শুরু করে গৃহনারী সবাই  বর্ণধারী হয়ে বেশী পতংগ আকর্ষণ করতে চায়।
আর  এই সুন্দর ত্বকওয়ালীরা  সুন্দরী বা রূপসী নামে পরিচিত মেয়ে পাড়ার ছেলেদের হট লিস্টে থাকে।  আর তাদের কাছ থেকে " মাল" শব্দটা শুনতে চায়। ছেলেরা যাদি কোন মেয়েকে মাল না বলে বুঝতে হবে মেয়েটি ত্বকে সুন্দর না।

বিয়ের বাজারেও এই সুন্দর ত্বকওয়ালীদের দাম আছে।  সবাই সুন্দরীদের বিয়ে করতে চায় কারন সেই পুরানো  Syllogistic Argument ,  " All Cretans are liars, Epimenides is a Cretan. "
এই উপসংহার যেমন "  Epimenides is a liar. " তেমনি সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করা মানে সুন্দর বংশধর নিশ্চিত করা,  বলে লোকে মনে করে।

তাইতো চন্দ্রবিন্দু গেয়েছিল, " ত্বকের যত্ন দিন।" সবাই ত্বকের যত্ন নিয়ে আরো সুন্দর  হয়ে " কি জিনিস বানিয়েছ গুরু" টাইপের flattery কথা শুনতে চায়।  এ যেন Godel's Incompleteness Theorem।  রূপগ্রাহী আর  রূপচর্চার শেষই হবে না।  যদি রূপ দেখে DNA এর Double Helical Structure এর মতো একপাশে ভাতার অন্য পাশে নাং না থাকলো  সেটা কিসের ত্বক কিসের রূপ হু? 

Sunday, September 3, 2017

"গালির সমাজতাত্ত্বিক মূল্যবোধ"     অথবা "বাল  Vs Shit কিছু কথা" 


দেশ কাল এলাকা ভেদে কিছু শব্দ আছে যা লোকে গালি হিসেবে মনে করে না বরং বন্ধুত্বের নমুনা বা অন্তরঙ্গতা  বলে করে।  যেমন আমরা বাল শব্দটা ব্যাবহার করি অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে যেমন বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা ঘনিষ্ঠজনদের সাথে।  কেউ কিছু মনে করে না।  অনেক সময় বন্ধুকে বোকাচোদা বলে  গালি দেই,  তাতে বন্ধুত্ব নষ্ট হয় না বরং মজবুত হয়।  জানা গালিগুলো যদি বন্ধুদের  সাথে ব্যাবহার করতে না পারি তাহলে সেটা স্বার্থের সম্পর্ক  মনের না।

ইদানীং কিছুছেলে ইংরেজি মুভি দেখে "Fuck",  "Fuck You ",  "Shit" শব্দগুলো শিখেছে।  যার সরল বাংলায় অর্থ করলে দাড়ায় "আমি তোকে চুদি "  আর "গু"।  যেটা আমাদের সমাজের প্রচলিত ভাষারীতির সাথে যায় না।  এটা হয়তো ওই দেশের সংস্কৃতির,  মূল্যবোধের সাথে যায় কিন্তু আমাদের দেশে তা কেউ ব্যাবহার  করে না কারন তা  মূল্যবোধ ও প্রচলিত Code of Conduct  এর violation বা লংঘন।    কেউ হয়তো shit বা  fuck you ব্যাবহার করে ভাবছে আমি সভ্যতার এক ধাপ এগিয়ে গেলাম,  তা কিন্তু না।  বরং সমাজের রীতি ভাংগার কারনে,   ভাষা দূষনের কারনে লোকে তাকে খারাপ বলবে এটাই নিয়ম।
 প্রত্যেকটা গালির  একটা Sociological Background আছে।  সমাজের এক এক ধরনের নিয়ম ভাংগার কারনে এক এক গালি নির্দিষ্ট আছে। কেউ যদি সেটা না জানে তবে ভাষার মাধূর্য হতে সে অনেক খানি  বঞ্চিত হল।  ( গালি সম্পর্কে জানতে   ব্লগের এই পোষ্টটি দেখা যেতে পারে http://apekhik.blogspot.com/2016/07/blog-post_5.html?m=1 )
সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা না জেনে গালি ব্যাবহার করাও এক ধরনের  মূর্খতা।  গালি ভাষার অলংকার তাই shit কিংবা Motherfucker কোথকে শিখে এসে বাংলা ভাষা দূষন না করাই ভাল।