Tuesday, January 30, 2018

" যদ্যপি আমার গুরু


শুঁড়ি বাড়ি যায়,
তথাপি আমার গুরু
নিত্যানন্দ রায়।"

  মেটাবলিজম/বিপাক যেমন থাকে না তেমনি হরমোন উৎপাদনও থেমে থাকে না। অন্তঃক্ষরা, বহিঃক্ষরা গ্রন্থির মুখ এমন নয় যে বোতলের মতো ছিপি এটে বন্ধ করা যাবে।  দেহ থাকলেই এসব উৎপাদন হবেই তার ফল কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পাবেই।

টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে সেক্সুয়াল thought  আসবেই এটাই স্বাভাবিক।  হলে  অন্তত ৫০ জনের Case Study করে দেখেছি অন্তত ৯৫ ভাগ ছেলে দিনের ৯০ভাগ অবসর সময় সেক্সুয়াল ফান্টাসি নিয়ে চিন্তা করে এবং ৯৮ ভাগ বিকৃতভাবে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটায় যেমন পর্ন দেখে, মাস্টারবেট করে এবং বাকিদের একটি বা ততোধিক সুবোধ গার্লফ্রেন্ড  রয়েছে। ব্রহ্মচর্য কি এই ৯৮ ভাগের কোন ধারনাই নাই।  অনেকেই হয়তো শুধুমাত্র শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার প্রয়াসে  শব্দটি মাত্র জানে।  অনেকের জীবন ধ্বংস হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র এই  পর্ন দেখার কারনে।  পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই সত্য তুলে ধরতে পারি ৭০%   এর উপরে এই সব নিসঙ্গ ছেলেরা পর্ন দেখে ঘুমাতে যায়।

ব্রহ্মচর্য পালনে যে শারীরিক ও মানসিক  পরিবর্তন হয় সেটা অনুভুতির বিষয়,  শব্দে প্রকাশ করা যায় না। আমার সেন্সির  অাশীর্বাদে  বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত  Olympic Solidarity Judo Coaches Course (Level-1) এ অংশ নিয়ে ছিলাম। সেখানে প্রশিক্ষক সেন্সি Azar Shikhaliyev বলেছিলেন "Testesterone is the source of energy." সে দিন নতুন করে ব্রহ্মচর্যের গুরুত্ব বুঝেছিলাম।

যাই হোক যার যা সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন সেটা তার একান্ত বিষয়।  সেটা আমার বন্ধুত্ব্ব, ভালোবাসা, শ্রদ্ধায় প্রভাব ফেলতে পারে না।
Principle of Individualization বা  ব্যাক্তিস্বতন্ত্রের নীতিতে আমি বিশ্বাসী। কারো কাছ থেকে আমার যতটুকু পাওয়ার তা পেলেই হলো,  কাউকে সামগ্রিক ভাবে বিচার করার দরকার নাই।  জীবনটা ওই হাতি ও অন্ধলোকদের মতো, যে যেভাবে স্পর্শ করে সে ভাবে অনুভব করে।
তবে সব কথার সার কথা "নিজে ভালো তো জগত ভালো"।  নিজে শ্রদ্ধা করতে জানলে চারপাশে শ্রদ্ধা করার লোকের অভাব হয় না।  মন তাই
"সত্য বল সুপথে চল
ওরে আমার মন...... "
আর ব্রহ্মচর্য পালন কর।

ক্রাশের গতি প্রাসের মতো;  দুটোই ৪৫ ডিগ্রিতে সবচেয়ে বেশী উপভোগ্য।  

মালের সংগা কি?  


আশেপাশের সমলিংগের থেকে সুন্দর, সুসংগঠিত যাহার অংগ এবং বাল তাহাকেই বলে "মাল"।
( বি. দ্র. এখানে বাল= চুল।  চুলপাকনা পোলাপানের মতো যাহারা অন্যকিছু বুঝিবে তাহাদের কপালে বিধবা জুটিবে। )  

Monday, January 29, 2018

"CALL ME BY YOUR NAME"

বান্ধবী বলেছিল শামসুন নাহার হলে নাকি এক জোড়া Lesibian আছে, বন্ধু বলেছিল আমাদের হলে নাকি অনেকগুলো সমকামী আছে আর TIME এর December 18, 2017 সংখ্যায় 'The 10 Best Movies by Stephanie Zacharek' এ ছয় নাম্বারে ছিল "CALL ME BY YOUR NAME" মুভিটা। ইতালিয়ান প্রফেসর বাবার ১৭ বছরের কিশোর ছেলে আর হ্যান্ডসাম আমেরিকান অতিথী, যার রূপ, নাচ, স্মার্টনেস দেখে ঐ কিশোর ছেলে তার প্রেমেই পড়ে যায়। এ সব নিয়ে সৃষ্ট এ কাহিনীতে কোন পতন নাই, গীতিকাব্যের মতো দর্শক ধরে রাখার মতো টানটান ঘটানাপ্রবাহ রয়েছে মুভিটাতে। এক কথায়, "The whole movie is a rapturous, bittersweet seduction."
শিক্ষার্থী দুই প্রকার-
১. সাধারণ শিক্ষার্থী
২. ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া শিক্ষার্থী 
( সাবাই আজকাল সাধারণ সাজতে চায়, বিভিন্ন মানববন্ধনে লেখা দেখি "গোলআলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীবৃন্দ", "লাইফবয় এলাকার সাধারন জনগন" ইত্যাদি। সবাই যদি এভাবে পাওয়ার পিরামিডের নিচে চলে আসে উপরে থাকবে কারা ? )
২০১৭ সালে দেখলাম "ঢাকা অ্যাটাক", দুইদিন আগে দেখলাম "ভিসি অ্যাটাক", আর এখন রুম ফাঁকা পেয়ে দেখছি "বিচি অ্যাটাক"।

Sunday, January 28, 2018

দেহ আগে না মন আগে? 

 শরীর একটা চায়, মন আরেকটা চায়।  দেহ একটা বর্বর; শালা প্রয়োজনের তাগিদে যে কোন মানের কিছু একটা নিয়ে খুশি হতে পারে।  কিন্তু মন সে তো সৌন্দর্যের  পূজারী। রূপের চাকচিক্য, শ্বেতশুভ্র স্বচ্ছতা, গুনগত মান না হলে  সে তো সন্তুষ্ট  হতে পারে না। পর্যায়ক্রমিক ক্ষুৎপিপাসার কাছে মন  হয়তো  দেহের কাছে আত্মসমার্পণ করে কিন্তু পরক্ষনেই আবার জেগে ওঠে তার রূপতৃষ্ণা, বিশুদ্ধতার প্রতি ভালোবাসা।

দেহ হল একটা কুত্তার বাচ্চা, যা পায় শালা তাই খায়, চায়।  কিন্তু মন চায় যাচাই করতে।  নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণকে যাচাই করে শুদ্ধটুকু তার কাম্য।  সে খুঁজে ফুলের সৌন্দর্য, পাহাড়ি ঝর্ণার স্বচ্ছতা, জঙ্গলের নিস্তব্ধতা,  রাজহংসের শুভ্রতা।  দেহের চাহিদা নিন্মমানের, মনের চাহিদা শৈল্পিক।

দেহের কারনে হয়তো অনেক কিছুর প্রেমে আমি পড়ি কিন্তু তা ক্ষনিকের,  সে ভোরের শিশিরের মতো একটু আলো পেলেই শুকিয়ে যায়।  মনে যা দাগ কাটে তা ভুলে না। বুকের ভেতর কেমন যেন ব্যাথা লাগে, ঘুমের মধ্যে রক্তঞ্চালনে বুকের কোথায় যেন একটা চিনচিন করে ওঠে মনের জন্য মনের।

" পাগল মন মন রে
মন কেন এত কথা বলে........"
মনই এত কথা বলে,  আর দেহ পেট পুরলেই কিংবা প্রয়োজন মিটলেই চুপ, ফুরুৎ তার আবদার।

বেঁচে থাক তুই আমার মন। দেহের ক্ষনিকের তৃষ্ণার কাছে তুই আত্মসমার্পণ করিস নে।  তোর যেখানে যতটুকু জায়গা আছে সব খুলে দে, ভেসে যা তুই সৌন্দর্যের বানে, পুড়ে যা তুই আলোর ঝলকানিতে, শুদ্ধতায় খুঁজে পা নিজেকে।
 হারিয়ে যা তুই !  হারিয়ে যা!  হারিয়ে যা!
দেহের এই কনডেম সেলে তুই থাকিস নে।

Saturday, January 27, 2018

চুলে কালার করা এক আপুকে বললাম, আপু আপনার চুলগুলো খুব সুন্দর ঠিক  যেন ঘোড়ার লেজের মতো। উনি আমাকে ভাষা  ইনিস্টিটিউটের সামনে টক বরই খাইয়ে প্রতিশোধ নিলেন ! 
মেট্রোরেলের কাজ শুরু হয়ে ফার্মগেট থেকে মিরপুরের রাস্তা নুসরাত ফারিয়ার কোমরের মতো চিকন হয়ে গেছে। যেখানে আগে 3X বেগে গাড়ি চলত সেখানে এখন দাগ পড়া Optical Disk এর মতো থেমে থেমে চলে।
আজ আবার সেই জ্যামে দেখা হয়ে গেলো
বল ভালো আছো তো?
আজ জিহ্বায় নৈরাশ্যবাদ দেখা দিয়েছে এখন তার কিছুই ভালো লাগছে না। চোখেও নৈরাশ্য বাসা বেধেছে, এখন সে Browning কিংবা রবীন্দ্রনাথের এর মতো আর বলে না "All's Right with the World" বা "যে দিক পানে নয়ন মেলি ভালো সবি ভালো"। কি যে করি? গতকাল যে সুন্দর আর সুন্দরীদের দেখিয়াছি তারা ছিল "A Thing of Beauty" সুতরাং " A Joy for Ever". আজ এ শ্মশান নীরব হলে নিজেকে কেমন যেন Cynic মনে হচ্ছে।
ছোটবেলায় অংক করেছি, " একটি বানর একটি তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে প্রতিমিনিটে ৩ মিটার ওঠে আবার ২ মিটার নেমে যায় তাহলে ৯০ মিটার বাঁশ বেয়ে উঠতে বানরটির কত সময় লাগবে? 
আর এখন অংক করি, "একটি বাস দুই মিনিট চলে সাড়ে ছয় মিনিট জ্যামে আটকে থাকে তাহলে শাহবাগ থেকে মিরপুর যেতে আমার কত সময় লাগবে?"
আমি বাস মালিক হলে প্রত্যেকটা বাসে প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য আলাদা চেম্বার রাখতাম যাতে তারা দূরপাল্লার যাত্রায় যেভাবে খুশি ঘুমাতে পারে, একটু হাত ধরতে পারে, কিংবা লাইট অফ হলে টুপ করে একটা চুমুও খেতে পারে। ঢাকা শহরে এই পাব্লিক বাসে কোন জুটি বসলে আশেপাশের সিট থেকে মানুষ আড়চোখে তাকিয়ে থাকে যা মোটেও ভালো, শোভনীয় নয়।
কার সাথে যুদ্ধ করতে হবে কিংবা কথা বলতে হবে এটা একটা আর্ট; যেমন হেক্টর যদি একেলিসের সাথে যুদ্ধ না করে পাশের বাড়ির সলিমুদ্দির নাক ফাটিয়ে দিত তাহলে তাকে কে মনে রাখতো? তেমনি মেঘনাদ-লক্ষন, রাম-রাবণ, সানি লিওন-রেন্ডিয়ার জারজ সবাই যার যার লেভেল বজায় রাখে। যে যা বোঝে না তার কাছে তা আলোচনা করে কোন লাভ নেই। যেমন ম্যাথম্যাটিসিয়ানের কাছে দর্শনের কোন নাই, ট্রাম্পের কাছে জলবায়ু চুক্তির কোন ভ্যালু নাই। তাই সমমতালম্বী, সমযোগ্যতা সম্পন্ন মানুষের সাথে interaction করা ভালো। তাতে উলু বনে মুক্তো ছড়ানো হয় না, আশাভঙ্গ হয় না, অপমানিত হতে হয় না । চারপাশে শুয়োরের অভাব নেই তারা তো চাইবেই কাদা মাখিয়ে দিতে তাদের থেকে দূরে থাকাই রাজহাসের পক্ষে শোভনীয়।

ধোলাইখাল ভ্রমণ

পুরান ঢাকার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে ব্যাবসা। বণিক থেকে বনিতা সবই আছে এখানে। আসছি ধোলাইখাল এলাকা দেখতে। Motor Civilization এর পিতৃভূমি মনে হচ্ছে একে। ছড়ানো ছিটানো ইঞ্জিন, পার্টস, কলকব্জা, টায়ার ; এ যেন পুরানো গাড়ির সমাধিক্ষেত্র । পুরানো পোড়া মবিল, দানবীয় মেশিনের অংশবিশেষ যৌবন হারিয়ে পথে পড়ে আছে। পরিত্যাক্ত ব্যারেল কাটার শব্দ, পাশ দিয়ে চলে যাওয়া 'এই আইসক্রিম', ট্রাক স্টান্ড দিয়ে যাওয়ার সময় 'ভাই! গাড়ি লাগবো নি' আহ্বান, পাব্লিক টয়ললেটের 'জুতা খুলে প্রবেশ করুন' সতর্কবার্তা, কুটমবাড়ির ইরানি বিরিয়ানি বিজ্ঞাপনের সাথে আবেদনময়ী ললনার ছবি (যেন বুঝাচ্ছে 'আমিই বিরানি, খেয়ে দাও। '), হাটতে হাটতে খুঁজে পাওয়া বুড়িগঙ্গা, যার এক পাশ থেকে ভেসে আসছে ডকইয়র্ডের হাই ডেসিবলের শব্দ আর পানি থেকে বিশ্রী গন্ধ, এই পানিতেই ধোয়া হচ্ছে সাদা কাপড়, ধুয়ে ধুয়ে পঁচা আবর্জনার উপর নাড়ছে, পাশেই মরা মুরগী! শালা! Urbanization! Industrialization! মেগাসিটি! মাপ কর।

গোল বস্তু!

গোল বস্তু কে আবিস্কার করেছিল? পুরুষের খেলার বস্তুই হলো গোল। মাঠে ফুটবল গোল, টেনিস বল গোল, ক্রিকেট বল গোল, গাড়ির চাকা গোল, চাকার বেয়ারিং গোল, ললনাদের ডাবল অর্ধগোল, প্রিয় সব বস্তুগুলোই গোল! পৃথিবী গোল, সূর্যের কক্ষপথ গোল, নেশার ঠোঁট বৃত্তচাপের ন্যায় গোল। গোল বস্তুর সুবিধা কি? গোল যে কোন জায়গায়, যে কোন তলে চলতে পারে যা অন্য কোন আকারের বস্তু পারে না, গোল যে যান্ত্রিক সুবিধা দেয় তা অন্য বস্তু পারে না, গোলবস্তু সুষম ভাবে চারপাশে আলো বিচ্ছুরণ ও প্রতিফলন করতে পারে। গোলাকার বস্তুর এই যান্ত্রিক সুবিধা নিয়ে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারা কিংবা ফিজিক্স এর গ্রাজুয়েটরা ভালো বলতে পারবেন। বলতে গোল বস্তুই পৃথিবী শাসন করছে যেমন বন্দুকের গুলি, যন্ত্রের চাকা কিংবা সিনেমার ক্লিভেজ। আর্কিটেকচারেও গোল বস্তুর প্রভাব দেখা যায় যেমন বিল্ডিং এর মাথায় যে সব গোলবস্তু দেখি তাকে তো নেশার লুকানো খনিজসম্পদ মনে হয়।

Wednesday, January 24, 2018

"কুচ হতে কত উচ্চ মেরু চুড়া ধরে। শিহরে কদম্ব ডরে দাড়িম্ব বিদরে ॥”

চর্যাপদে আমার একটা প্রিয় পংক্তি হচ্ছে,
"অপনে রচি রচি ভব নির্বাণা।
মিছে লোঅ বন্ধাব অপনা।।
( চর্যা-২২, সরহ পা)
অর্থাৎ প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা আলাদা জিনিসে মজা পায়; প্রত্যেকের কাম্যবস্তু বা নির্বাণ আলাদা। কারো বা মরুভূমির বেলিড্যান্স ভালো লাগে কারো না মনিপুরী মেয়ের নৃত্য। কেউ বা কেরু এন্ড কোং কোম্পানির একনিষ্ঠ ভক্ত কেউবা সদরঘটের বাদামতলীর ফলবাজারের আড়তদার। 
কার যে কোথায় প্রথমানন্দ, পরমানন্দ, বিরামানন্দ, অবশেষে সহজানন্দ তা বোঝা দায়। কেউ বা কুচযুগধারী বালিকায় মুগ্ধ হয়ে বাক্য প্রসব করে বলে,
"কুচ হতে কত উচ্চ মেরু চুড়া ধরে।
শিহরে কদম্ব ডরে দাড়িম্ব বিদরে ॥”
কিংবা
"গোলাপি বরণ পীন পয়োধরদ্বয়,
বিকচ কদম্ব শোভা যাতে পরাজয়।
বিরাজে বক্ষের মাঝে নিজ গরিমায়,
স্থানাভাবে ঠেকাঠেকি সদা গায় গায়।"

আর কেউবা সবকিছু ত্যাগ করে তিব্বতে গিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে গৌতম বুদ্ধের অনুকরণ করে সুখ লাভ করে।
হায়রে সুখ! কত বিচিত্র প্রকারের এ সুখ!
তবে যাই বল, ভাই ঘন্টাখানেক বিজয় সারনী কিংবা ফার্মগেটে জ্যামে আটকে থাকার পরে হলে এসে চেন খুলে ছেড়ে দেয়ার মত সুখ আর নাই। (ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হবে, " এতো সুখ সইব কেমন করে.........)"
আমার ললনা, রসনা, অবধূতী সবই যে এই জাগতিক সুখের সন্ধান করে রে ভাই, তাই আমি ডোম্বীতেই আটকে রইলাম, কাপালিক হইলাম, নৈরাত্মদেবীর সন্ধান আর পাইলাম না।
বর্তমানে যে জ্যাম পড়ে তাতে প্রত্যেকটা বাসে ওয়াশরুম, লাইব্রেরী, গেমসরুম, ফুডকোর্ট থাকা দরকার। তাতে দৈনন্দিন কাজ করতে করতে আমরা ভ্রমণ করতে পারবো ও সময়ের সদ্ব্যবহার হবে 
লিপিস্টিক বিভিন্ন কারনে ক্ষয়ে যেতে পারে যেমন সিংগারা-সমুচা খাওয়া, চা খাওয়া ইত্যাদি সেটা আমার পাশের বাসার আন্টি বুঝতেই চায় না। মেয়েটা বাসায় ফিরলেই উনি চার্জ করেন আর মেয়েটা এতো বোকা যে লিপিস্টিক সাথে করে নেয় না। কেন বাসায় ফেরায় আগে একটু লাগিয়ে নিতে পারো না?
- নেশা তোমাকে নিয়ে একটা স্টাটাস দিব? 
- কি? 
-"নেশা! তোমার ঠোঁট জোড়া ধার দিবে একটা চুমু খাবো? " এটা একটা অশ্লীল স্টাটাস হল না? 
- না, মোটেও না। Oscar Wilde পড়নি? তিঁনি বলেছেন," There is nothing as a moral or immoral books, books are well-written or badly written. That is all." কবি যা লিখেছেন তা সুন্দর হয়েছে কি না, উপভোগ্য হয়েছে কি না, তাই দেখতে হবে; শ্লীল কি অশ্লীল হয়েছে তা নয়। তবে হ্যা, কাব্যশাস্ত্রকে তুমি কামশাস্ত্র বানিও না একটাই অনুরোধ।
ব্যাকলেস আপুরা কিউট হয় আর ফ্রন্টলেস আপুরা সুইট হয়।
একুশে পদক নেওয়ার জন্য বর্তমানের একজন কবি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, " আমাকে যে অবহেলা করে তাকে অবজ্ঞা করার ক্ষমতা আমার পূর্বেও ছিল বর্তমানেও আছে। সুতরাং পদকটা দিয়ে দিন।" এবং তিনি পদক পেয়েছিলেন !
আর এই কাহিনী আমাদের বলেছিলেন এক অধ্যাপক আমাদের ক্লাসে। পদক পাওয়ার পর স্যার ওনাকে ফোন করে 'আপনি তো এবার একুশে পদক পেয়েছেন' জানালে কবি উত্তর দেন "দূঃর মিয়া! আমাকে তো পদক দেয় নি, আমি ছিনতাই করে নিয়ে আসছি।"
এই ইগো, কনফিডেন্স কয় জনের ভিতর আছে? আর এই ইগোটাই দরকার। ইগো ছাড়া মানুষ জড় জড়পদার্থ। আর ঘুম ছাড়া আমি অচল, যাই ঘুমিয়ে পড়ি ।

Friday, January 19, 2018

দুনিয়ার সবচেয়ে মজার গল্প হল স্কুল পালানোর গল্প। স্কুল পালানো ঝালমুড়ি, স্কুল পালানো ক্রিকেট, স্কুল পালানো প্রেম সবই জীবনের কিংবদন্তি ঘটনা হয়ে বেঁচে থাকে। প্রিয়জনদের মুখে স্কুল পালানোর গল্প শুনে আমার গায়ের সেই স্কুলের কথা মনে পড়ে গেল। সেই বন্ধুদের সাথে দেখা হয় না আর, সেই হাফপ্যান্ট পরা জীবনের স্মৃতিও আজ মলিন। শুধু একজনের সাথে যোগাযোগ আছে যার সাথে ক্লাসের স্কুল জীবনের শুরুর দিন শেষ দিন পর্যন্ত এক বেঞ্চে পাশাপাশি বসেছি। ঝরা পাতার মত দিনগুলো সব ঝরে গেছে, নতুন মানুষে ভরেছে চারপাশ, মস্তিষ্কের নিউরনগুলো ভুলে গেছে সব কিছু, কিছুই বাকি রাখেনি। চলছে কালের গাড়ি আর তার সাওয়ার আমি। গ্রামের নির্জনতা আজ আমার ভালো লাগে না, সুখ খুঁজে পাই শহুরে জ্যামে। গ্রামের মেয়ের সরলতায় মন আর দোলে না, মন ভুলে আজ মর্ডান মেয়ের উচু হিলে, বুকে কিংবা কড়া রংগের লিপিস্টিকে।
অদ্ভুত আমি! অভিযোজিত আমি!

Thursday, January 18, 2018

নির্বাণ!

চর্যাপদে আমার একটা প্রিয় পংক্তি হচ্ছে,
"অপনে রচি রচি ভব নির্বাণা।
মিছে লোঅ বন্ধাব অপনা।।
( চর্যা-২২, সরহ পা)
অর্থাৎ প্রত্যেকটা মানুষ  আলাদা আলাদা জিনিসে মজা পায়; প্রত্যেকের কাম্যবস্তু বা নির্বাণ আলাদা।  কারো বা মরুভূমির বেলিড্যান্স ভালো লাগে কারো না মনিপুরী মেয়ের নৃত্য।  কেউ বা কেরু এন্ড কোং কোম্পানির একনিষ্ঠ  ভক্ত কেউবা সদরঘটের বাদামতলীর ফলবাজারের আড়তদার।
কার যে কোথায় প্রথমানন্দ, পরমানন্দ, বিরামানন্দ, অবশেষে সহজানন্দ তা বোঝা দায়।  কেউ বা কুচযুগধারী বালিকায় মুগ্ধ হয়ে বাক্য প্রসব করে বলে,
 "কুচ হতে কত উচ্চ মেরু চুড়া ধরে।
 শিহরে কদম্ব ডরে দাড়িম্ব বিদরে ॥”

কিংবা

"গোলাপি বরণ পীন পয়োধরদ্বয়,
বিকচ কদম্ব শোভা যাতে পরাজয়।
বিরাজে বক্ষের মাঝে নিজ গরিমায়,
স্থানাভাবে ঠেকাঠেকি সদা গায় গায়।"

আর কেউবা সবকিছু ত্যাগ করে তিব্বতে গিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে গৌতম বুদ্ধের অনুকরণ করে সুখ লাভ করে।
হায়রে  সুখ!  কত বিচিত্র প্রকারের এ সুখ!
তবে যাই বল,  ভাই ঘন্টাখানেক বিজয় সারনী কিংবা ফার্মগেটে জ্যামে আটকে থাকার পরে হলে এসে চেন খুলে ছেড়ে দেয়ার মত সুখ আর নাই।  (ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হবে, " এতো সুখ সইব কেমন করে.........)"
আমার ললনা, রসনা, অবধূতী সবই যে এই জাগতিক সুখের সন্ধান করে রে ভাই,  তাই আমি ডোম্বীতেই আটকে রইলাম, কাপালিক হইলাম, নৈরাত্মদেবীর সন্ধান আর পাইলাম না।

Sunday, January 14, 2018

"পাগলা মলম"

কত খুঁজেছি তোমাকে, পাইলাম অবশেষে। 
"পাগলা মলম" জায়গা মত লাগালেই হল, সব শেষ। খাইজনি, চুলকানি দৌড়াইয়া পালাইবো। পাগলা মলম নামেই যার পরিচয়। তো আর দেরি কেন? লাগান এবং লাগাতে দিন। 
পুনশ্চ সিদ্ধপুরুষ কাঁঠালপাতাখোর বাবার মামা শাশুড়ির স্বপ্নে পাওয়া ফরমুলায় তৈরি এটি, তাই সম্পূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত। কথিত আছে যে, নাসার নভোযান অ্যাপোলোতে চন্দ্র অভিযানের সময় নীল আর্মস্টং এর চুলকানি হলে আমেরিকান স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে এই মলম সরবরাহ করেছিল।
আমার এক কানে এয়ারফোন 
অন্য কান খালি
আমার এক হাতে ঘড়ি
অন্য হাত খালি
আমার এক পায়ে স্যান্ডেল
অন্য পা খালি
আমি একা বসে সিটে
পাশের সিট খালি।
পুরুষ মাত্রই স্তন্যপায়ী প্রানী এবং দুধের প্রতি এদের একটা আলাদা আকর্ষণ আছে।
এক সময় ফাতেমা ছিল আমার ক্রাশ। 
আর এখন যদি ফাতেমা আমাকে জিজ্ঞেস করে, 
" আমি তোমার কে? " 
আমি বলবো, "তুমি আমার আপন মা।

সোনার বাংলা জ্যাম সামলা।


এতোগুলো ফ্লাইওভার করে কি লাভ হল জ্যাম তো কমেই না বরং বাড়ছে। ৭.৩০ এ মিরপুর থেকে বাসে উঠে ৯.৫০ এ তালতলা জ্যামে আটকে আছি। ২.৩ঘন্টায় ৫কি. মি. । কি গতি! ফ্লাইওভার তৈরির ওই টাকা জনগনের বালকাটা প্রকল্পে অর্থায়ন করলে বরং পাব্লিকের স্বাস্থ্য ভালো হতো। এবং কনডম বিতরন কর্মসূচি নিলে ওই সব কমনসেন্স বিহীন দুর্নীতিবাজ নগর পরিকল্পনাবিদের জন্ম হতো না ফলে এই জ্যামে আটকে থাকতে হতো না। 
বাস ড্রাইভার কোন সাহসে ট্রাফিক সার্জেন্টকে মামা কয়? 
পাশের যাত্রী কয়, মাল খায় ভাই মাল খায়।
আর ৩য় শ্রেনীর চাকরী করে প্রাইভেট গাড়ী চড়ে ওরা?
ওরাও মাল খায় ভাই মাল খায়।
আরে দু:র! ওরা মাল খায় আর আমি নেশা করি।
ভাই কি মাতাল?
আরে মিয়া মাতাল দেইখাইতো বলতেছি, রামপাল আর রূপপুরে পরিবেশের ক্ষতি হয় না ক্ষতি হয় না, ক্ষতি হয় ছেলেমেয়েরা একটু চুমু খেলে আর বাইরে ব্যায়াম করতে বেরলে ! হে হে!
যা শালা! নেশাটা আজ একটু বেশি হয়ে গেছে! কি বলে ফেললাম। আমার আবার গোয়ার কাপড় নাই কিন্তু মাথায় ঘোমটা দিয়ে চলতে হয়। তাই দেশ, রাজনীতি নিয়ে কিছু লিখি না।
হ্যালির ধুমকেতু তাও ৭৬ বছর পরপর দেখা যায় কিন্তু আমার ফোনে ফুল চার্জ কখনো দেখা যায় নি।
রোকেয়া হলের এক মোটকু বান্ধবী ফোন করে কয়, দোস্ত আমি মোটা হয়ে যাচ্ছি দেখে আমার বয়ফ্রেন্ড বকে। কি করি বলতো ? 
ওর বয়ফ্রেন্ডকে বললাম, শোন, মোটা মেয়েরা কেন স্ত্রী বা প্রেমিকা হিসেবে ভালো হয় জানিস ? 
কারন গতিসূত্র অনুসারে ভর ও গতি যত বেশি হয় গতিশক্তি ও ভরবেগও তত বেশি হয়। আর ভরবেগ বেশী হলে যান্ত্রিক সুবিধাও বেশী পাওয়া যায়। মোটা মেয়েদের ভর বেশি তাই তাদের ভালবাসাও বেশি, সুবিধার কথা আর না বলি। আর মিনিকেট ফিগারের চিকন মেয়েরা কোন মেয়ে হল ? চিকন তো বাঁশও হয়।
অধিকাংশ মেয়ের বয়ফ্রেন্ড থেকে হাজব্যান্ড বেশী Qualified, টাক, ভুঁড়িওয়ালা , শ্মশ্রুহীন হয় আর অধিকাংশ ছেলেদের প্রতারক গার্লফ্রেন্ড থেকে বউ অনেক সুন্দরী ও যত্নশীল হয়। 
Moral: মাল সমৃদ্ধি দিলেও সুখ দিতে পারে না।
পোলিও টিকার মতো লিপিস্টিকও বাধ্যতামূলক করা হোউক। ইদানীং দেখিতেছি নিয়মিত লিপিস্টিক ডোজ পাওযা যুবকেরা মোটা হইয়া যাইতেছে আর আমারা না পাওয়ার দল চিকন হইয়া যাইতেছি। কেন? আমারদের কি লিপিস্টিক অধিকার বলিয়া কিছু নেই?
নারীর আসলে তার নিজস্ব কোন সৌন্দর্য নাই, যা সৌন্দর্য তা তার শাড়ী, কাজল, লিপিস্টিক, টিপ আর আনুসংগিক অলংকারের।
নেশার কি আকর্ষণ ! জানি না তা যোগাকর্ষণ নাকি বিষম যোগাকর্ষণ নাকি রসায়নাকর্ষণ কিংবা মধ্যাকর্ষণ কিংবা চৌম্বক আকর্ষণ।
এক সময় তুমি আমি ছিলাম Sine Wave কিংবা Cosine Wave এর মতো, একটু এদিক ওদিক হলেই দুজনে সমপাতিত হতাম আর এখন কেউ একজন প্রভাবকের উপস্থিতিতে Tangent Wave এ পরিবর্তিত হয়েছি ফলে এ জীবনে তোমার আমার আর সমপাতিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা রইল না।
এক সময় তুমি আমি ছিলাম Sine Wave কিংবা Cosine Wave এর মতো, একটু এদিক ওদিক হলেই দুজনে সমপাতিত হতাম আর এখন কেউ একজন প্রভাবকের উপস্থিতিতে Tangent Wave এ পরিবর্তিত হয়েছি ফলে এ জীবনে তোমার আমার আর সমপাতিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা রইল না।

৭২ ফ্রন্টের ব্রা !

ঘুম থেকে উঠে দেখি রুমের সামনে কে যেন ৭২ ফ্রন্টের ব্রা ঝুলিয়ে রেখে গেছে। কোন শালা রে ? ৩৬ ফ্রন্টের হলেও একটা কথা থাকে, ডাইরেক ৭২ ফ্রন্ট ! 
ওয়াশরুম পর্যন্ত যেতে যেতে দেখি অনান্য রুমের সামনেও ঝুলছে। পরে পর্যবেক্ষণ আর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বুঝলাম এগুলো টিনারই ব্রা। কারন টিনার সাথে আমার গোপন অভিসার ঘটে চারবছর পর পর। জার্মানি যখন সাত সাত বার ব্রাজিলের ব্রা খুলে নিয়ে গেল কই তখন তো প্রতিবাদ করি নাই বরং দুই হালি বার কেন খুলে নাই ভেবে দুঃখ পেয়েছিলাম। দিত আর্জেন্টিনা ওরূপে টিনার ব্রার দিকে হাত, হাত কেটে নিয়ে আসতাম না। যাইহোক আবার আসিতেছে ২০১৮ সাল তখন রুমের সামনের ব্রাগুলি ব্রাজিল আর টিনা গয়নাগাটি পরে আর্জেন্টিনায় পরিনত হবে; সে পর্যন্ত ওরা ঝুলিতেই থাকুক।
মিনিকেট মেয়ে + জাম্বুরা ছেলে = Perfect Couple
যুবক আগে জানত ...... তরল হয় এখন জানে নরমও হয়।
নেশা ! যমুনার দুপাড় এক হল, পদ্মার দুপাড় এক হচ্ছে কিন্তু তোমার আমার ঠোট এক হলো না।
রাঁধা এতো......তো সুন্দরী ছিল। 
-বোধ হয় মেকাপ করতো
কোন এলাকা সুন্দর হয় যদি সেই এলাকার মেয়েরা সুন্দর হয়।
বই পড়া অনেকটা পর্ন দেখার মতো; দেখবা কিন্তু সুখ পাইবা না। আর চোখে দেখা, ছুঁয়ে দেখার যে কি স্বাদ কি সুখ তা একমাত্র যে দেখছে সেই জানে
প্রেম করে পাগলে আর সিংগেল থাকে ছাগলে।
উঁহু ! আজকের চাঁদটা কত সুন্দর ; ঠিক যেন সকালে পাশের সিটে বসা মেয়েটার ঠোঁটের মত।
ছাগলের কাছে কাঁঠাল পাতার গল্প !
আচ্ছা, চুম্বকের আকর্ষণ শক্তি বেশী নাকি লিপিস্টিকের আকর্ষণ শক্তি বেশী ?

নারী, কন্যাশিশু এই আধুনিক সমাজেও যেন এক বিভিষিকার নাম !

রাত বারোটা ফোন এলো গেলাম ঢাকা মেডিকেলে, আত্মীয়ের স্ত্রী কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। কি শীতল অভিনন্দন ! সবার মুখ কালো, ভারী ! কেউ যেন খুশী নয় ! যেন এক অভিশাপ নেমে এসেছে ! হায়রে কন্যা সন্তান ! যে নারীকে নিয়ে হাজার হাজার পৃষ্ঠা লেখা হয়, প্রিয়তমা সাজানো হয়, সাহিত্য ভরে ওঠে উপমায় তাকেই স্বাগত জানানো হয় না পৃথিবীতে ! এক অবাঞ্চিত অনাদরে পৃথিবীতে এল এই মানব সন্তান । 
নারী, কন্যাশিশু এই আধুনিক সমাজেও যেন এক বিভিষিকার নাম !
বেগম রোকেয়ার যে বছর জন্ম হয় সে বছর তার স্বামী চাকরিতে যোগদান করেন। আমি তো মাত্র ছাত্র সুতরাং আমার স্ত্রীর তো এখনো জন্মই হয় নি। কিন্তু না ; আমি বিয়ে করবো PhD ডিগ্রিধারী মেয়ে, আমার সমবয়সী কিংবা বড়ও হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় ভাইকে দেখেছি বিয়ে করেছেন ইন্টারমিডিয়েট পড়ছে বা হাইস্কুলে পড়ছে এমন মেয়ে। এখানে কাজ করেছে কচি নরম মাংসের লোভ। মাংসে বিতৃষ্ণা আসতেই শুরু হয়েছে নতুন জ্বালা, বউ ভালো লাগে না, মতের মিল হয় না, কথা বুঝে না, কিছু শেয়ার করতে পারি না ইত্যাদি।
একে বলে ব্যাক্তিত্বের সংঘাত। যে আমার পথে না হেটেছে, আমার খেলা না খেলেছে, আমার পরিবেশে না থেকেছে তার সাথে আমি কি করে শেয়ার করতে পারি আনন্দ, কিংবা তথ্য ? ফলে বিয়েটা হয়ে যায় বাসে/লঞ্চে যেমন লেখা থাকে "এলাহি ভরসা" তেমনি। বউ হয়ে ওঠে দাসী আর স্বামী হুকুমওয়ালা আর তাছাড়া যদি বাচ্চাকাচ্চা হয় তারাই হয় স্বামীস্ত্রীর মধ্যে সেতুবন্ধন আর কোন মানসিক বন্ধন ওদের মধ্যে থাকে না।
মাংস নয় মানসিক সুকুমারবৃত্তিই বড় সৌন্দর্য। লিপিস্টিক, উচুবুকের ঢেউ বড় ক্ষনস্থায়ী কিন্তু অন্তর্জগতের জ্ঞান, বিদ্যা অর্জনের সাধনা চিরস্থায়ী, তা ক্রমসোমের মাধ্যমে সঞ্চারিত হবে পরবর্তী বংশধারায়। তাই মাংস নয় জ্ঞানই হবে আমার অর্ধাঙ্গের সৌন্দর্য।
রেফারেন্স ছাড়া তথ্য আর পতিতার সতীত্ব একই কথা।
ইউরোপে ঘটল শিল্প বিপ্লব, রেনেসাঁস ফরাসি বিপ্লব, রাশিয়ায় অক্টোবর বিপ্লব এবং বাংলাদেশে ট্রাফিক জ্যাম বিপ্লব।
ক্লাসের বাইরের বই
- ও মধু মধু। 
ক্লাসের বই
- নৈব চ নৈব চ - হারগীজ নিস্ত।
ভাবছি শরীরের নির্দিষ্ট অংশে সালোকসংশ্লেষণী কোষ প্রতিস্থাপন করবো। ফলে বারবার খেতে যেতে হবে না, ক্ষুধা লাগলে জানালা দিয়ে হাত বের করে দিলেই হল।
একটু বাউল একটু ইংলিশ একটু আধুনিক মিশিয়ে ওরা নাম দিয়েছে ফিউশন। আমি তাই শুনি আর লেজ উচিয়ে নাচি!
অভিকর্ষজ বল কোথায় কাজ করে না? 
- তামিল মুভির ফাইট সিনে।
গুরুজনেরা বলেছেন, শীতকালে কোন মেয়েকে দেখে ক্রাশ খাবে না। কারন শীতকালে মেকাপ বেশীক্ষণ ভালো থাকে ও ভালো ফুটে এবং শীতে ঠান্ডা হয়ে যাওযায় ত্বক স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী ফর্সা লাগে। তাই সাধু সাবধান, মুলাকে উপকারী মনে করিও না।
মেয়ে আর কিছু না করিও অন্তত ভালো মানের লিপিস্টিক পরিও যাতে বয়ফ্রেন্ডের পেট খারাপ না হয়; কারন এই শীতে কমোডের উপর বসা আর বরফের উপর বসা একই কথা।

Saturday, January 13, 2018

পায়ে চলার পথ


রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
------------------------

এই তো পায়ে চলার পথ।

এসেছে বনের মধ্যে দিয়ে মাঠে, মাঠের মধ্যে দিয়ে নদীর ধারে, খেয়া-ঘাটের পাশে বটগাছ-তলায়; তার পরে ও পারের ভাঙা ঘাট থেকে বেঁকে চলে গেছে গ্রামের মধ্যে; তার পরে তিসির খেতের ধার দিয়ে, আমবাগানের ছায়া দিয়ে, পদ্মদিঘির পাড় দিয়ে, রথতলার পাশ দিয়ে, কোন্ গাঁয়ে গিয়ে পৌঁচেছে জানি নে।

এই পথে কত মানুষ কেউ বা আমার পাশ দিয়ে চলে গেছে, কেউ বা সঙ্গ নিয়েছে, কাউকে বা দূর থেকে দেখা গেল; কারো বা ঘোমটা আছে, কারো বা নেই; কেউ বা জল ভরতে চলেছে, কেউ বা জল নিয়ে ফিরে এল।



এখন দিন গিয়েছে, অন্ধকার হয়ে আসে।

একদিন এই পথকে মনে হয়েছিল আমারই পথ, একান্তই আমার; এখন দেখছি, কেবল একটিবার মাত্র এই পথ দিয়ে চলার হুকুম নিয়ে এসেছি, আর নয়।

নেবুতলা উজিয়ে সেই পুকুরপাড়, দ্বাদশ দেউলের ঘাট, নদীর চর, গোয়ালবাড়ি, ধানের গোলা পেরিয়ে-সেই চেনা চাউনি, চেনা কথা, চেনা মুখের মহলে আর একটিবারও ফিরে গিয়ে বলা হবে না, ‘এই-যে!’

এ পথ যে চলার পথ, ফেরার পথ নয়।

আজ ধূসর সন্ধ্যায় একবার পিছন ফিরে তাকালুম; দেখলুম, এই পথটি বহুবিস্মৃত পদচিহ্নের পদাবলী, ভৈরবীর সুরে বাঁধা।

যত কাল যত পথিক চলে গেছে তাদের জীবনের সমস্ত কথাকেই এই পথ আপনার একটিমাত্র ধূলিরেখায় সংক্ষিপ্ত করে এঁকেছে; সেই একটি রেখা চলেছে সূর্যোদয়ের দিক থেকে সূর্যাস্তের দিকে, এক সোনার সিংহদ্বার থেকে আর-এক সোনার সিংহদ্বারে।



‘ওগো পায়ে চলার পথ, অনেক কালের অনেক কথাকে তোমার ধূলিবন্ধনে বেঁধে নীরব করে রেখো না। আমি তোমার ধুলোয় কান পেতে আছি, আমাকে কানে-কানে বলো।’

পথ নিশীথের কালো পর্দার তর্জনী বাড়িয়ে চুপ ক’রে থাকে।

‘ওগো পায়ে চলার পথ, এত পথিকের এত ভাবনা, এত ইচ্ছা, সে-সব গেল কোথায়!’

বোবা পথ কথা কয় না। কেবল সূর্যোদয়ের দিক থেকে সূর্যাস্ত অবধি ইশারা মেলে রাখে।

‘ওগো পায়ে চলার পথ, তোমার বুকের উপর যে-সমস্ত চরণপাত একদিন পুষ্পবৃষ্টির মতো পড়েছিল আজ তারা কি কোথাও নেই?’

পথ কি নিজের শেষকে জানে, যেখানে লুপ্ত ফুল আর স্তব্ধ গান পৌঁছল, যেখানে তারার আলোয় অনির্বাণ বেদনার দেয়ালি-উৎসব।


Wednesday, January 10, 2018

Sex is more spiritual than belly.

ছদ্মবেশে রাবির ছাত্র হলের কক্ষে ছাত্রী!
নিয়ে ফেসবুকে নিউজফিডের আনাগোনা দেখলাম , কেন ভাই ? মানুষে যে পর্ণ দেখে, পাশের বাসার জাকিয়া ভাবির সাথে ২৯ খেলে তাতে কিছু হয় না? তবে যে যাই বলুক এই জুটির সাহস আছে । তারা তো আর ক্যান্টিনে ফাও খায় নি, ডাইরেক রুমে গিয়ে ফিতা খুলেছে । তারা জানে শারীর-ব্যাপার বলে কামের (Sex) মূল্য কম, আত্মার ব্যাপার বলে প্রেমের মূল্য বেশী। তাই তারা প্রেম করে বিয়ে করে ফেলেছে, অবৈধ ভাবে লাগালাগি করে নাই । তবে প্রেম বলে আলাদা কিছু বোধ হয় নেই, কামই যখন আত্মার রং লেগে সুন্দর ও শালীন হয়ে ওঠে তখনই তা প্রেম নামে অভিহিত হয়। প্রেম কামেরই ঊর্ধ্বমুখীন সুন্দর প্রকাশ । তাই জঠরের (পেট/Belly) চেয়ে কাম বড় – Sex is more spiritual than belly. আত্মার সাথে সম্বন্ধ আছে বলে কামের ঊর্ধ্বগতি আছে জঠরের নেই । তাই কাম এতো কাব্য সাহিত্যের উপজীব্য হয়েছে, জঠর হয়নি । জঠর একটা ইতর ব্যাপার, তার কোন সৌন্দর্য নেই। কেবল টিকে থাকার জন্য তার প্রয়োজন । কিন্তু কাম ইতর ব্যাপার নয় শ্রদ্ধেয় ব্যাপার । সৌন্দর্যের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, মহত্ত্বের সঙ্গেও । শ্রদ্ধেয় ব্যাপার বলেই তার বেলা এতো আঁটাআঁটি, এতো সাবধানতা। পূজালয়ে প্রবেশ করতে হলে যে শ্রদ্ধা আর নিষ্ঠা প্রয়োজন, এখানেও তাই আবশ্যক । তাই তারা রুমে ঢুকার আগে গোসল আর দুপ্যাকেট কনডমও সাথে নিয়ে ঢুকেছে । তাই এসব পবিত্র ও সৃষ্টিশীল ব্যাপার নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নাই । মামলা শেষ , ঐ মামা দুধ চিনি বেশী দিয়ে এক কাপ চা দাও ।

 এই শীতে প্রেম পিরীতি অনেকটা আম দরবারের ব্যাপার আর লাইটটা অফ করে কম্বলটা মুড়ি দিয়ে ঘুমানো হল খাস দরবারের ব্যাপার।  

Monday, January 8, 2018

যে মেয়ের চুমু খাওয়ার শখ যত প্রবল সে তত কড়া রঙ এর লিপিস্টিক পরে। 
বাল শব্দটি তারাই বেশী বলে যাদের মুখে দাড়ি নাই। 
বৈষ্ণব পদাবলী ও পর্ন দুটোই ক্ষতিকর কারন দুটো পড়লে/দেখলে বাস্তবের কোন মেয়েকে আর পছন্দ হবে না। তখন শুধুই রাঁধা রাঁধা রাঁধা কিংবা সিলিকন সিলিকন করতে মন চায়। 
সুন্দরী দুই প্রকারঃ
১) Individual Beauty - যাকে শুধু তার প্রেমিক সুন্দরী বলে।
২) Collective Beauty - যাকে সমস্ত কমিউনিটি সুন্দরী বলে। 

"গর্ধভ Subjective হ "

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম বর্ষে প্রবীণ অধ্যাপক বলেছিলেন, "গর্ধভ Subjective হ "
পোস্টগ্রাজুয়েশনে ইন্টার্নশিপ কালে ম্যাডাম বলেছেন, " বাবা Subjective view তে দ্যাখো, প্রত্যেকটা কেস আলাদা। "
জুডো শিখতে গিয়ে দেখেছি আমাদের সেন্সিও Subjective view তে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা, তাদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন ধরনের, চাহিদা, ধারনক্ষমতা, মতামত, বিশ্বাস, সামাজিকীকরণ সবকিছুই অন্যের থেকে আলাদা । অর্থাৎ Every human being is unique.
এটাই তাঁরা আমাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছেন। অথচ এটাই আমি গুলিয়ে ফেলি, মাঝে মাঝে সমষ্টিগত / Collective view তে দেখি। আর তখনি ভুল করি।
গতকাল সুপারাভাইজারকে বলেছিলাম, লেখাটা কত বাজে!
- বাজে বলো না। যেটা তোমার কাছে বাজে অন্যের কাছে সেটাই স্বাভাবিক। সে হয়তো ওই পরিবেশে বেড়ে উঠেছে, সে ওটা ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারে না। আর কখনো বাজে শব্দটা ব্যবহার করবে না, বলবে এটা ওনার দৃষ্টিতে এমন।
- হু।
আর এই যে একজনের মতকে গুরুত্ব দেওয়া, তাকে চিন্তা বুদ্ধির স্বাধীনতা দেওয়া, কারো কর্মে ধর্মে বিঘ্ন না করা, কারো উপর কিছু চাপিয়ে না দেওয়া এটাই আমার পছন্দ। অর্থাৎ Every human being is free to do anything without violeting others rights.
এই চর্চা কি আমি সাধারন স্তরে আশা করতে পারি ?
অবশ্যই না। যে পরিমান প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, জ্ঞান আমার সেন্সি কিংবা অধ্যাপকের কাছে দেখেছি সেই স্তরের মানুষ ছাড়া কারো কাছে আশা করি না। 
সাধারণত মানুষ প্রেমে পড়ে কিন্তু কেউ কেউ প্রেমে ওঠে যেমন "The Second Sex " এর লেখিকা সিমোন দ্যা বোভেয়ার আর "Being and Nothingness" এর লেখক জাঁ-পল সার্ত্র। ৫১ বছরের প্রেম (১৯২৯-১৯৮০), চুমু সংগম সবই হয়েছে কিন্তু বিয়ে করেনি। দুজনই মেতেছেন অমর সৃষ্টির খেলায়। তবে দুজনই যে এক প্রেমে মত্ত থেকেছেন তা নয়, বহুপ্রেম করেছেন দুজনেই । মজার ব্যাপার হচ্ছে শিক্ষাজীবনে তাঁরা ছিলেন First Boy আর Second Girl, ১৯২৯ সালে ফ্রান্সে দর্শনে এগ্রিগেশন পরীক্ষায় সার্ত্র হয়েছিলেন প্রথম আর বোভেয়ার হয়েছিলেন দ্বিতীয়, সেই থেকেই শুরু প্রেম আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এক সাথে থাকা যা নিয়ে হয়েছিল বিতর্ক । 
দুটো মানুষ, দুটো মতবাদ সৃষ্টির পথিকৃৎ। জাঁ-পল সার্ত্র এর "অস্তিত্ববাদ দর্শন" আর সিমোন দ্যা বোভেয়ার এর "নারীবাদ" বদলে দেয় মানুষের মনের অন্তর্জগত, সৃষ্টি করে নতুন আলোড়ন। 
অথচ বই দুটি হাতে পেয়ে নেড়েচেড়ে কিছু না বুঝে প্যাকেট করে তুলে রেখেছিলাম। 

প্রেমবিদ্যা বা পিরীত বিজ্ঞান !

নীতিবিদ্যা আছে, শরীরবিদ্যা আছে, প্রানীবিদ্যা আছে, উদ্ভিদ বিজ্ঞান আছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান আছে কিন্তু প্রেমবিদ্যা বা পিরীত বিজ্ঞান নামে কোন ডিপার্টমেন্ট কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নাই !
অথচ সবাই প্রেম নিয়ে ভাবে এর পিছনে দৌড়ায়। জীববিদ্যা আর শরীরবিদ্যা যেমন প্রেমকে স্নায়ু আর অক্সিটোসিন, এন্ডোফ্রিন, ডোপামিন, ভ্যাসোপিসিন হরমোনের এর খেলা বলেছে তেমনি মনোবিজ্ঞান বলেছে A from of hysteria বা এক ধরনের মৃগীরোগ। আর ফ্রয়েড এর Oedipus Complex, Electra Complex, Maslow এর Hierarchy of Needs তত্ত্বতো মনোবিজ্ঞানীরা প্রেমের কথা উঠলেই আওড়ায়।
দর্শন আর সাহিত্যের " The Essence of Love" কত শত রোমিও-জুলিয়েট, দেবদাস-পারু সৃষ্টি করেছে হিসাব নেই। কেউ কেউ অবশ্য ঠোটকাটা, তারা নিউরোলজি/স্নায়ুবিদ্যা, মনোবিজ্ঞান, দর্শনের ধার ধারে না ডাইরেক্ট বলে দেন "Love ain't nothing but sex misspelled. (-Harlan Ellison)"
যাই হোক সুন্দর শীত শীত সকালে সবাই প্রেম করুক বা প্লেটোর "Soul Mates" আইডিয়া অনুসারে প্রিয় মানুষ খুজে পাক আর আমি যেন শীতের সকালে এমন কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমাতে পারি সেই প্রার্থনা করি। 
রাঁধা কলঙ্কিনী হয় কিন্তু কানুর কিছুই হয় না, কি পুরুষতান্ত্রিকতা ! 
অবসাদের ক্লান্তি যখন অসহ্য হয়ে ওঠে, বিদ্রোহ করে নিঃসঙ্গ মন, বন্ধুরা যখন ব্যস্ত পরীক্ষায় কিংবা অন্য কাজে, চারপাশে যখন শূন্যতা, তখনই এরিস্টটলের কথা মনে ভেসে ওঠে "A friend is a second self." 
হাত বাড়িয়ে দেয় ধুলোপড়া অবহেলায় পড়ে থাকা নির্জীব কাগজ, ভাসিয়ে নিয়ে যায় দূরে কোথাও, ভূলিয়ে দেয় অবসাদ। ঘুম ঘুম ক্লাসরুম পাশে খোলা জানলা, হয়তো সেখানে আমি আর নেই কিন্তু আমি আছি ওই মনিপুরী মেয়েটার আলতা রাংগা পায়ের দিকে তাকিয়ে অথবা সদরঘটের ডকইয়র্ডের ঝালাইয়ের শব্দের দিকে কান পেতে অথবা মাধবপুর লেকের পাশে চা বাগানে অভিসাররত জুটির এক পলক তাকিয়ে না দেখার ভান করে ছুটে যাওয়ার গতিতে। 
সুন্দরী কথাটির মধ্যে একটা যৌনতা ও ভোগ করার ইচ্ছা আছে। 
পুরানা পল্টন আসার সময় শহিদ মিনারে দেখি "পুরুষ নির্যাতন দমন আইন চাই" লেখা ব্যানার নিয়ে একদল ছেলে মানববন্ধন করছে, ডাক দিলাম কয়েকজনকে ; জিজ্ঞেস করলাম, ভাই নিচে কিছু আছে? 
- না ভাই কিছু দেখি না তো। 
- তাইলে তো আন্দোলন করবেনই। 
সুন্দরীরা জাতীয় সম্পদ, এদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রণেদনা দেওয়া উচিত; যাতে তারা আরো সুন্দর হয়ে রূপোন্মত্তের রূপতৃষা মেটাতে পারে। 
ফেসবুকে তাহাকে মনে হল দুধে আলতা ;
বাস্তবে দেখে মনে হল, "বালিকা আসলে দুধে আলকাতরা।'' 
ওড়না! সাধের ওড়না ! লাই পেয়ে পেয়ে গলায় উঠছো আর নিচে নামতে ইচ্ছা করে না, না? 
সে চায়ের কাপের মতো ভার্জিন। 

ডিগবাজী !

ডিগবাজী একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য এবং যাহারা ইহা খাইতে পারে তাহাদের ক্রমোসোমে XX বা XY এর সাথে অন্য একটি D জিন যুক্ত হয়ে XXD বা XYD ক্রমোসোম গঠিত হয়। ( এখানে, D=ডিগবাজী জিন।) ফলে ইহাদের অন্য একটি প্রজাতি বা Species নামে ডাকা হয় যেমন মিরজাফর, বেহায়া, নির্লজ্জ, মিথ্যাবাদী, চরিত্রহীন, বেইমান ইত্যাদি।
ডিগবাজী/ Somersault অতি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ খেয়ে আসছে। ভাষাতাত্ত্বিকরা বলেছেন যে সংস্কৃত শব্দ "ডিঙ"+ ফারসি শব্দ "বাজি"= ডিগবাজী।
Literature Review করিয়া দেখা গিয়াছে যে Anglo-Saxon থেকে শুরু করে ফারসি, ফরাসি স্প্যানিশ সকল ভাষায় ডিগবাজী শব্দের পরিভাষা রয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে "সুবিধাজনকভাবে নিজের মত সম্পূর্ণ বদলে ফেলা বা ভোল পাল্টানো। " যেমন কেউ কেউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলে যোগ দিয়ে সরস ও বিদ্রুপাত্মক আলোচনার বিষয় বস্তু হয়ে ওঠে।
তবে ডারউইনের "Struggle for Survival" নীতি মেনে কেউ যদি বেঁচে থাকার জন্য শেয়ালের মত ধূর্ত ও সার্কাসের জোকারের মতো সুবিধাজনকভাবে কখনো ভাতার, কখনো নাং এর শিশ্ন শোষণ করে প্রতিকুলকে অনুকূল করে তবে তাকে আর যাই বলা হোক মেরুদন্ডী বলা যায় না। ইহারা নীতিভ্রষ্ঠ, শাপভ্রষ্ঠ ও বিড়াল গোত্রীয়। ইহারা স্বার্থের জন্য সব করিতে পারে ; যেমন স্বীয় বাসর রাতে বিড়াল মারিতে জনি সিন্সকেও আমান্ত্রন জানাতে পারে। ইহাদের শূল থেরাপি প্রদান করা প্রয়োজন।
জিমনাস্টরা বিভিন্ন ধরনের ডিগবাজী খাইয়া থাকে যেমন Crash, Thomas, Cody, Barani, Adolf ইত্যাদি; তবে পল্টি ডিগবাজীর কাছে কিছুই না যেমন ভোট হয়ে যাওয়ার পর জনপ্রতিনিধির ডিগবাজী কিংবা ছেলের ভালো ডলার কামাই থাকলে মামাকে ভাইয়াতে (mean ছাইয়া) পরিনত করতে কিছু মেয়ের বাধে না।
সুকুমার রায় 'বোম্বাগড়ের রাজা' ছড়ায় এমন এক রাজ্যের চিত্র একেছেন যেখানের , সর্দি হলে প্রজারা ডিগবাজী খায়, জোসনা হলে চোখে আলতা মাখে। সাহিত্যে নোবেলজয়ী জাপানী লেখক Kenburo Oe এর Somersault নামে একটি উপন্যাস রয়েছে যেখানে তিনি 'The charishma of leader, the danger of zeolotry' আর 'The mystery of faith' এর অসাধারন বর্ণনা দিয়েছেন।
সকালবেলা আর না, যাই মাঠে একটু খালি পায়ে হেটে আসি।
(যেহেতু এটা একটি ডিগবাজী রচনা তাই এখানে ভাষার ডিগবাজী অর্থাৎ সাধু চলিত মিশ্রিত করা হয়েছে। )
- আজকে প্রাকটিসে যথেষ্ট পরিমান ক্যালরি বার্ন হয় নাই। 
- তো ? 
- না মানে বলছিলাম যে, প্রতিমিনিট লিপকিসে ২ ক্যালরি ব্যায় হয়। 
এক জোড়া শীতার্ত ঠোঁটের জন্য একজোড়া উষ্ণ ও Unkissed ঠোঁট চাই। 

"ফিশিং ফ্লিট" ( স্বামী শিকারি)

ফেসবুকে অধর রাঙানো আবেদনময় অঙ্গভঙ্গি ওয়ালা সুন্দরীদের দেখিলে আমার ইংরেজ উপনিবেশ আমলের "ফিশিং ফ্লিট" ( স্বামী শিকারি জেলে বহর) এর কথা মনে পড়িয়া যায়। উত্তমাশা অন্তরীপ পার হইয়া আসা ওই সব মেমসাহেবরা যেমন ফিরিঙ্গি ভুলাইয়া প্রেমিক/স্বামী জুটাইত তেমনি এই সব ভঙ্গীওয়ালী রসবতীরা ঠোঁটবাঁকানো চিত্রপটের মাধ্যমে "পাত্র চাই" বিজ্ঞাপন প্রচার করিয়া থাকে। 
চিনি ছাড়া চা আর লিপিস্টিক ছাড়া চুমু কোনটা বেশী Healthy তা একমাত্র উপরওয়ালাই জানে। 
- চৌধুরী সাহেব আজ বিজয় দিবস উপলক্ষে আপনার মেয়ের লিপিস্টিক একটু বেশী লাল ছিল; আমি একটু হালকা করে দিয়েছি। ( জনৈক ওমর সানি) 
- কি ভাবে হালকা করেছ বাবা? 
- ঐ টিস্যু পেপার দিয়ে। অরগানিক টিস্যু। 

"বিয়ে মানে : Sex made-easy''

কোথায় যেন পড়েছিলাম, "বিয়ে হচ্ছে বৈধ পতিতাবৃত্তি।" আর মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার 'সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধে বলেছেন, "বিয়ে মানে : Sex made-easy". বিয়েতে প্রেম থাকে না যা থাকে তা হল কোপাকুপি আর প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ বিয়ে হচ্ছে বৃত্তি ( Basic Need) আর প্রেম হচ্ছে সুকুমারবৃত্তি বা শিল্প (Arts). প্রেমিক সাহসী আর হেজব্যান্ড/চুলেরব্যান্ড হলো ভীরু কাপুরুষ যে মশারীর নিচে বসে মশা মারে। আর প্রেমিক সে তো দুরন্ত সাহসী রাতের আঁধার পার হয়ে কলা গাছের আড়ালে কিংবা রিক্সার হুড় তুলে দিয়ে প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট লাগাতে কুন্ঠিত হয় না। তাই সমাজ তাকে ভয় পায়; কারন সমাজ ভীরুতা পছন্দ করে সাহসীকতা নয়। তাই এই শীতে প্রেমিকাকে হ্যা বলুন, বউকে না বলুন, সাহসী হোন। 

ধোনে পাতা !

সকালবেলা পলাশী গেলাম বাজার করতে, এক মেয়ে এসে বলে, "মামা, ধনেপাতা আছে?"
পাশ থেকে বললাম, "ওনার মনে হয় ধনে পাতা নেই তবে ধনিয়াপাতা আছে, লাগবে?"
(বি. দ্র. : বিশেষ স্থানে ও কার দিয়ে পড়ুন। ) 

Goat স্যার, G - O- A- T Sake !

দাড়ি রাখার ফলে যে প্রশ্ন অহরহ শুনতে হয় তা হল, তুমি তো চারুকলায় পড় তাই না? 
হলের প্রভোস্ট দেখা হলেই জিজ্ঞেস করে, তুমি তো চারুকলার লোক, তা বলো চারুকলার কি খবর? 
গত সেমিস্টারে ভাইবার সময় ডিরেক্টর স্যার জিজ্ঞেস করল, তোমাকে তো দাড়ি ছাড়া কখনো দেখি নাই? 
- স্যার আপনি কেন, কেউই কোন দিন দাড়ি ছাড়া আমাকে দেখে নাই। For Goat sake believe it, I was born with beard. 
- কি sake? 
- Goat স্যার, G - O- A- T Sake
র‍্যাপ গায় যে = রেপিস্ট ! 

"ব্যাচেলর ডোজ"

সকালবেলা নাস্তা করতে যাওয়ার সময় বন্ধুকে গেলাম ডাকতে,
- নক, নক, কি রে কি করিস? 
- দুধ গরম করি, খাবি? 
- না, আমি আর এক জনের গরম করা দুধ খাই না। 
ছোটবেলায় জানতাম, শার্ট প্যান্টের সাইজ আছে, এখন জানি মিয়া খলিফারও সাইজ আছে ! 
ব্যাচেলরের কখনো ক্ষুধা লাগে না, যা লাগে তা হল চুমুর পিপাসা। 
যারা প্রেম করে তারা শৃঙ্খলিত, যারা বিয়ে করে তারা কয়েদি আর যারা পাড়ার মোড়ে আড্ডা দেয় তারাই প্রকৃত স্বাধীন। ( তথ্যসূত্র: ধারা ৩২, সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনাপত্র ১৯৪৭, জাতিসংঘ) 

কলম ও কনডম

- পরীক্ষার হলে ঘড়ি, ক্যালকুলেটর নেওয়া যাবে না। 
- কলম নেওয়া যাবে? 
- কলম, কনডম দুটোই নেওয়া যাবে। 
- কনডম দিয়ে আমি কি করবো ? 
- কনডম কলমে পরিয়ে নেবেন যাতে ভুল বৃত্ত ভরাট করলেও মার্ক কাটা না যায়। 

তো কি বাল্টা হয়েছে ?

ভাবছিলাম মেডিকেলে পড়বো, চান্স পাইনি।
তো কি বাল্টা হয়েছে ? 
ভাবছিলাম নেশাকে নিয়ে ভেগে যাবো, তা নেশা রাজি হয় না।
তো কি বাল্টা হয়েছে? 
ভাবছিলাম Hardcover বই পড়বো, তা টাকার অভাবে Paperback পড়ি। 
তো কি বাল্টা হয়েছে?
ভাবছিলাম অভিসারের নন্দনতত্ত্ব ব্যাখ্যা করে, সাহিত্যে নোবেল পাবো, তা এখনো পেলাম না।
তো কি বাল্টা হয়েছে?
ভাবছিলাম বিসিএস এ ফার্স্ট হবো, তা এখনো পরীক্ষাই দিতে পারলাম না।
দেখা যাক কি বাল্টা হয় ! 
গাঞ্জা খাওয়া গলা ছাড়া বাউল গান ভালো লাগে না । 
কাভি কাভি মেরে দিল মে সওয়াল আতা হ্যায়, 
পাঠাও সার্ভিস আছে ঠাপাও সার্ভিস নেই কেন ? 
( জনৈক অমিতাভ বচ্চন) 
জীবনটা তো আর নায়লা নাইমের বুক নয় যে শুধু উচ্চতাই থাকবে জীবনটা মাঝে মাঝে ইলিয়ানা ডি ক্রুজের কোমরের মতো চিকনও হয়। 

সুন্দরী মেয়েরা একজনের কবিতা হয়ে যায়।

সুন্দরী মেয়েরা একজনের কবিতা হয়ে যায়।
- তারপর? 
- তারপর আর কি, আর একজনের বউ হয়ে চলে যায়। 

ভ্রাতৃত্ববোধ !

যারা একই মেয়ের উপর ক্রাশ খায় তাদের মধ্যে একটা ভ্রাতৃত্ববোধ আছে। 
সাইজে ছোট মেয়েরা বেশী স্টাইল করে, বুঝলা মামা? 

প্রোটিনের প্রকারভেদ !

সুতরাং প্রোটিন তিন প্রকার -
১. উদ্ভিজ্জ
২. প্রানিজ এবং
৩. প্রেমজ।

জ্ঞান ( Knowledge) ও প্রজ্ঞা ( Wisdom)

জ্ঞান ( Knowledge) ও প্রজ্ঞার ( Wisdom) মধ্যে পার্থক্য কি? 
জ্ঞান হচ্ছে যখন আপনি ব্যাচেলরের রুমের সামনে একজোড়া লেডিস স্যান্ডেল দেখলেন এবং বুঝলেন ভিতরে কেউ একজন আছেন। আর প্রজ্ঞা হচ্ছে ঐ সময়ে দরজায় নক না করা 

"Boobs of a figure bounce together."

শীতে ব্রেনট্রেন সব জমে গেছে; বন্ধু বলল, 
"Birds of a feather flock together." 
শুনলাম, "Boobs of a figure bounce together."

জানি তোমার প্রেমের যোগ্য তো আমি নই ....

এক সুন্দরী কতৃক প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর পাশের রুমের বড়ভাই শুধু গান গাইতেন, "জানি তোমার প্রেমের যোগ্য তো আমি নই..... " 
কয়েকদিন আগে সাবজজ হওয়ার পর এখন ওনার মুখে ঐ গানের দ্বিতীয় কলি ফুটেছে, "তাই দূরে দূরে থাকি যদি ভালোবেসে ফেলো....।"

বিয়ে মানে : Sex made-easy

কোথায় যেন পড়েছিলাম, "বিয়ে হচ্ছে বৈধ   পতিতাবৃত্তি।" আর মোতাহের হোসেন চৌধুরী তার 'সংস্কৃতি-কথা' প্রবন্ধে বলেছেন, "বিয়ে মানে : Sex made-easy".  বিয়েতে প্রেম থাকে না যা থাকে তা হল কোপাকুপি আর প্রয়োজনীয়তা। অর্থাৎ বিয়ে হচ্ছে বৃত্তি ( Basic Need) আর প্রেম হচ্ছে সুকুমারবৃত্তি বা শিল্প (Arts). প্রেমিক সাহসী আর হেজব্যান্ড/চুলেরব্যান্ড হলো  ভীরু কাপুরুষ যে মশারীর নিচে বসে মশা মারে।  আর প্রেমিক সে তো দুরন্ত সাহসী রাতের আঁধার পার হয়ে কলা গাছের আড়ালে কিংবা রিক্সার হুড় তুলে দিয়ে প্রেমিকার ঠোঁটে ঠোঁট লাগাতে কুন্ঠিত হয় না।  তাই সমাজ তাকে ভয় পায়; কারন সমাজ ভীরুতা পছন্দ করে সাহসীকতা নয়।  তাই এই শীতে প্রেমিকাকে হ্যা বলুন,  বউকে না বলুন,  সাহসী হোন।  

Saturday, January 6, 2018

গুরুদক্ষিণা!

"পুত্রের পিতৃঋণ তখনই সার্থক যখন সে নিজে পিতৃত্ব লাভ করে পিতার বংশ রক্ষা করে। তেমনি শিষ্যের গুরুঋণ তখনই সার্থক হয় যখন সে গুরুত্বে উন্নীত হয় গুরুর ন্যায় বেদবৃক্ষ হয়ে। এটাই হল শিষ্যের শ্রেষ্ঠ দক্ষিণা।"

গুরুর সংজ্ঞার খোঁজ আমি করছি না; সে সাহসও আমার নেই।  কারন গুরুর আশীর্বাদ ছাড়া আমি অন্ধ। আমার সকল দৃষ্টি, অনুভুতি, সক্ষমতার মূলে রয়েছেন আমার গুরু।

গুরুদক্ষিণা!
শিষ্যের মুখে গুরুদক্ষিণা শব্দটা উচ্চারণ করাটাও পাপ।  কারন গুরুদক্ষিণার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে "শিক্ষা বা দীক্ষা দানের জন্য প্রাপ্য অর্থ প্রভৃতি।"  গুরুঋন কি অর্থ দিয়ে শোধ করা যায়?  যায় না।  যে আবেগ, ভালোবাসা, আত্মিক বন্ধন, পুত্রস্নেহ গুরুর শিষ্যের প্রতি তা অপরিশোধযোগ্য; এটা মাপা যায় না শুধু অনুভব করা যায়।

একলব্য!
গুরুদক্ষিণার প্রবাদপুরুষ।  নিষাদরাজ হিরন্যধনুর পুত্র একলব্য দ্রোণাচার্যের কাছে অস্ত্রশিক্ষা লাভ করতে এসে  প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় মনের দুঃখে গুরু দ্রোণাচার্যের মাটির মূর্তি নির্মাণ করে ধনুর্বিদ্যা চর্চা করতে লাগলেন।  গুরুভক্তি ও অধ্যবসায়ে সে সেরা অস্ত্রকুশলী ও ধনুর্ধারী হয়ে উঠল।

কিন্তু অর্জুন!  যাকে দ্রোণাচার্য আশীর্বাদ করেছিলেন, "তোমার চেয়ে শ্রেষ্ঠ শিষ্য আমার আর হবে না।" অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষার জন্য দ্রোণাচার্য একলব্যের কাছে গুরুদক্ষিণা চেয়েছিলেন, " যথার্থই  যদি আমার শিষ্য হও তবে আমার গুরুদক্ষিণা দাও।"  যা ছিল  একলব্যের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল!  ফলে একলব্যের তীর নিক্ষেপের ক্ষমতা হ্রাস পায় ও অর্জুনের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকে।

গুরুর প্রতি এই ভক্তির নমুনা স্বরূপ একলব্য হয়ে গেলেন গুরুদক্ষিণার অপর নাম। লোকে তাই বলে " একলব্য মানেই গুরুদক্ষিণা।"

আর দধিচী!
গুরু যেখানে নেই তিনিও সেখানে নেই।  আগে গুরু তারপর সামাজিকতা।  দধিচী  ছিলেন শিবের শিষ্য।  তো শিবের শ্বশুর দক্ষ "বৃহস্পতি" নামে মহাযজ্ঞে শিবকে  নিমন্ত্রন করেননি।  দধিচী দক্ষকে এই শিবহীন যজ্ঞ করতে নিষেধ করেন।  দক্ষ এ নির্দেশ না মানায় দধিচী সেই যজ্ঞ অনুষ্ঠান বর্জন করেন।  অর্থাৎ আমার গুরু যেখানে নাই আমিও সেখানে নাই।

আর দ্রোণাচার্য-অর্জুন!
অর্জুন গুরুদক্ষিণা দিতে চাইলে দ্রোণাচার্য বলেন, " যদি আমি কখনো তোমার সাথে যুদ্ধে রত হই তুমিও আমার সাথে প্রতিযুদ্ধে লিপ্ত হবে; গুরুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারনে কোন সংকোচ করবে না। "
শ্রেষ্ঠ গুরুর শেষ্ঠ গুরুদক্ষিণা!





Monday, January 1, 2018

- I love you. - Thank You, Vaiya !

-  I love you.
- Thank you vaiya.
কেমন লাগে বলুন তো?  ইহাই ছিল আমার প্রেমের আবেদনের প্রতিউত্তর।  সে রূপসী, সর্বাঙ্গসুন্দরী মানসী, প্রাণোচ্ছল হাসিধারিনী।  তাহার  স্বর্ণকান্তী দেহছটা,  গ্রীষ্মের সূর্যের মত রূপদ্যুতি,  তাই এতো দেমাগ?

জানিতে চাও সে কে?  সে হতে পারে বৈষ্ণব পদাবলীর রাধিকা, নীল নদের সর্পখ্যাত ক্লিওপেট্রা কিংবা মেনিলাউসের  এর স্ত্রী হেলেন কিংবা ইতালিয়ান ফিল্মের মনিকা বেলুচ্চি।  তাহার মুক্তাজ্যোতি দন্তরাশী,  নৃত্যছন্দ,  পদ্মনাল বাহুদ্বয়,  রক্তজবা লিপিস্টিক,  মস্তিষ্কের নির্ঘুম হরমোনকে প্রভাবিত করে জাগিয়ে রাখলো আজ রাত।

তাহার জন্য হতে পারি রানী ইসাবেলার নৌ সেনাপতি ফার্নাদেস কার্তেজ কিংবা ভাস্কো -দা- গামা কিংবা কবি জন ডাইন,  তারপর বলিতে পারি " For God sake hold your tounge and let me love. "

 যুবক তুমি করিয়াছ ভুল,  DNA এর ডাবল হেলিক্স গঠন পড়িয়াছ,  ব্যাবলিয়ন অ্যালজেবরা আর জটিল অ্যালগরিদম বুঝিয়াছ,  দর্শনের শূন্যবাদ থেকে নৈরাশ্যবাদ গিলিয়াছ,  অপটিক্যাল ফাইবার থেকে টুইস্টেট ক্যাবল দিয়ে তথ্য পাচার করিয়াছ কিন্তু মেয়ে মানুষের মনে ঢুকিবার কৌশল কিংবা সিস্টেম Crack করিতে শিখো নাই।  তাইতো তাহার ভাইয়া ডাক মহাভারতের  অভিমন্যু বধের ন্যায়  চক্রব্যূহ রচনা করিয়া সপ্তরথী সদৃশ্য তীর নিক্ষেপ  করিতেছে।
এ প্রেম যন্ত্রনার প্রতিষেধক কি ডেভিডসনের "মেডিসিন" এ লেখা আছে ? নিউরোলজি কি বলেছে এ বিষয়ে?

Shelly,  Keats,  D H Lawrence,  বিদ্যাপতি,  চন্ডীদাস,  মুকুন্দদাস বাঁচিয়া থাকিলে আজ তাহাকে লইয়া লেখা হইত  verse কি verse,   পংক্তি কি পংক্তি।  ননজুডিশিয়াল স্টাম্পে লিখিয়া দিতে পারি কার্ল মার্কস নেশাকে  দেখিলে বুর্জোয়া,  প্রলিতেরিয়েত শ্রেনী বিভাগের সাথে নেশা প্রেমিক সম্প্রদায়ও  অন্তর্ভুক্ত করিতেন।
যদি কোন প্রেমবীক্ষন যন্ত্র থাকিত বা প্রেমমিটার  বলিয়া কিছু থাকিত তাতে মাপিয়া দেখাইতাম অনুভুতির মাত্রা কত।