Sunday, May 13, 2018

জুডো কাতার প্রকারভেদ

Style is the man himself.
                  - BUFFON

জুডো কাতাকে দুভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১) কোডকানে উদ্ভূত কাতা (Kodokan Pattern)
২) কোডকানের বাহিরে উদ্ভূত কাতা (Non Kodokan Kata)


১) কোডকানে উদ্ভূত কাতা (Kodokan Pattern)
            কোডকানে ঐতিহ্যগতভাবে ৯টি কাতা চর্চা করা হয় যাদের চারটি ভাগে ভাগ করা যায়
Free Excercise:
        ক) Nage no Kata (Forms of Throwing)
        খ) Katame no Kata (Forms of Grapping)

Combat:
       গ) Kime-no Kata (Classic Forms of Self-Defense)
       ঘ) Goshin-justu (no Kata) (Modern Forms of Self-Defense)
       ঙ) Goshin-ho (no Kata) (Modern Forms of  Woman's Self-Defense)

Physical Education:
        চ) Seiryoku Zen'yo Kokumin Taiiku (no Kata)  (Forms of National Physical Education)
        ছ) Ju no Kata ( Forms of Flexibility)

Theory:
       জ) Itsutsu no Kata (Forms of Five)
       ঝ) Koshiki no Kata ( Forms of Antiquity)

২) কোডকানের বাহিরে উদ্ভূত কাতা (Non Kodokan Kata)
              কোডকানের কিছু অনুসারী কোডকানের বাইরে কোন উদ্ভূত কোন কাতার অস্তিত্বই স্বীকার করেন না এবং করলেও মনে করেন সেগুলো ভুল তাই প্রাক্টিস না করাই ভালো। এই ধরনের চিন্তা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর । সকল জুডোকার বোঝা উচিত কোডকানের কাতাগুলো ঐতিহ্যগতভাবে অসাধারন কার্যকরী ও কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু সেগুলোই একমাত্র কাতা নয়। তারা বেশী পরিচিত এবং ঐতিহ্যের কারনে বেশী সম্মান পেয়ে থাকে কিন্তু অন্যগুলোও যথাযথ মর্যাদার দাবিদার।

জুডোর মূলনীতি মেনে কোডকানের বাইরে প্রচুর কাতা জন্মলাভ করেছে; যাকে কাতার ব্যাক্তিগত সংস্করণ বলা যেতে পারে। এগুলো অভিজ্ঞ জুড়ো প্রশিক্ষকদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে যার মধ্যে অনেকে কোডকানের শিক্ষার্থী বা প্রশিক্ষক ছিলেন। যেহেতু এগুলো কার্যকরী এবং অথর্বহ সেহেতু তা অবশ্যই চর্চা ও  সংরক্ষক যোগ্য।এসব কাতার মধ্যে  সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে Nage Ura no Kata (Forms of Counterthrowing) যা কোডকানের প্রখ্যাত জুডো প্রশিক্ষক Kyuzo Mifune (10th Dan) এর দ্বারা সৃষ্ট। এছাড়াও আরো অনেক Go-no-Sen no Kata রয়েছে যা জুডোকাদের চর্চা করা উচিত।

সকল জুডোকার খেয়াল রাখা ভালো যে ধ্রুপদী জুডো ও জুজুৎসুর হাজার হাজার কাতা রয়েছে।যাকে একেক জনের হাতের লেখার সাথে তুলনা করা যায় যেখানে ভুল কিংবা সঠিক কোন কথা নয় সবগুলোই নিজস্ব স্টাইল বা ধারা। কাতা ব্যাক্তির ব্যক্তিত্ব, অন্তর্নিহিত ভাব,  ইচ্ছা, ধারনক্ষমতা, মতামতের প্রকাশ; অনেকটা যত মত তত পথ কিংবা নানা মুনির নানা মতের মত।  

Bibliography:

Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp. 32-34. 
কিছু সৌন্দর্য দেখলে মনের ক্ষুধা জাগে,
কিছু সৌন্দর্য দেখলে দেহের ক্ষুধা জাগে।  

জুডো কাতার ইতিহাস (৩)

There is no art without originality;
There is no originality without personality.
                                             - R. ALDINGTON


জুডোর প্রতিষ্ঠাতা Jigaro Kano (জিগারো কানো) অত্যন্ত  দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি জুজুৎসুতে আসক্ত ছিলেন এবং কৈশোরে Tenjin-shin'yo Ryu এর জুজুৎসু শিক্ষার্থী ছিলেন। কয়েকবছর পর তিনি যখন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক তখন Kito Ryu এর শিষ্যত্ব বরণ করেন।  কানো লক্ষ্য করেন যে ঐ সকল জুজুৎসু যুদ্ধজয় নির্ভর, চর্চা করা খুবই কষ্টকর এবং সঠিক ভাবে পরিচালনা না করতে পারলে মারাত্মক ইনজুরি সম্ভাবনা থাকত  এবং প্রতিপক্ষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতো। তাই তিনি সাধারন মানুষের কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র কার্যকর ও সহজে করা যায় এমন সব টেকনিকের সমন্বয়ে একটা নতুন স্টাইল/ধারা দাড় করানোর চেষ্ঠা করলেন, যা একদিকে আত্মরক্ষার কৌশল অন্যদিকে শরীরকে সুস্থ সবল নমমনীয় রাখতে সহায়তা করবে।  এছাড়াও তিনি প্রচলিত জুজুৎসুর অপব্যাবহারে চিন্তিত ছিলেন ও চর্চাকারীদের কিছু মূল্যবোধ, নৈতিকতার সাথে একমত হতে পারছিলেন না। ফলে তিনি নতুন ধারা প্রবর্তনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।




Picture: Jigoro Kano, the founder of judo. 

Tenjin-shin'yo Ryu ঘরনা থেকে তিনি Katame-waza (Grapping Techniques) যেমন Hon-kesa gatame, Nami-juji-jime, Ude-garami আর Ate-waza (Striking Techniques) যেমন Age-oshi, Yoko-uchi, Ushiro-ate ইত্যাদি ধার ও উন্নতি করেন।অন্যদিকে Kito Ryu স্টাইল থেকে তিনি সাধারন সুস্থতার ব্যায়াম এবং Nage-waza (Throwing Techniques) যেমন Tai-otoshi, Uki-koshi, Hiza-guruma, Tomae-nage, Uki-waza ইত্যাদি ধার করেন।  কানো প্রচলিত ধ্রুপদী মার্শাল আর্টের কাতাগুলো অধ্যয়ন করে তার সাথে নিজস্ব চিন্তার মিশেল ঘটিয়ে যেগুলো গতিবিদ্যা ও প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো গ্রহন করেন।

Chikara Kurabe এর ভূমিতে কুপোকাত করার কৌশল বা Katame-waza যা তখন Sumo (সুমো) এর মাধ্যমে প্রচলিত ছিল তার উপর গবেষনার জ্ঞান তার কোডকান জুডো তৈরিতে সহায়তা করে এবং এ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি জুডোর মূলনীতি "The Principle of Maximum Efficiency" তত্ত্বে উপনীত হন; যাকে তিনি বর্ননা করেছেন শরীর ও মনের সর্বোচচ সক্ষমতায় বের করে আনা এবং ব্যাবহার করা।

১৮৮২ সালে কানো তাঁর বুদ্ধিজাত সন্তান, সংশোধিত জুজুৎসু, সর্বসমক্ষে নিয়ে এলেন এবং নাম দিলেন Judo (জুডো)। Jikishin Ryu ঘরনারও জুডো নামে একটি ধারা শতাব্দীকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। এই দুই জুডো যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় তাই তিনি Eishoji নামকে মন্দিরে কোডকান (জুডো শিক্ষার প্রতিষ্ঠান) স্থাপন করলেন। আর এভাবেই কোডকান জুডো স্থাপিত হল।

প্রকৃত অর্থে কানো প্রচলিত জুজুৎসু থেকেই প্রাথমিক শিক্ষাপ্রনালী, ব্যায়াম, কৌশল, গোপন কৌশল, মূল্যবোধ, বাধা নিষেধগুলো গ্রহণ করেন। শুধু প্রয়োজন অনুসারে তিনি সেগুলোর সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন করেন।  কানো জুডো সৃষ্টির জন্য তার পুরানো শিক্ষার ঘরনা Tenjin-shin'yo Ryu ও Kito Ryu এর উপর বিশেষভাবে নির্ভর করেছেন।

কোডকান জুডোর পথ চলেছে ধীরে ধীরে অগ্নুৎপাতের মত নয়।  ইউরোপের রেনেসাঁর মতো ১৮৬৮ সালে জাপানে "The Meiji Restoration" নামে একটি ঘোষনাপত্র জারি হয়,  যা ছিল জাপানের সবচেয়ে বিপ্লবাত্মক সমাজ পরিবর্তনের ডাক। এটি জাপানকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্যে পাশ্চাত্য সভ্যতার সমকক্ষ্য করে তোলে। সকলের জন্য শিক্ষা ছিল এর অন্যতম আহবান।  সম্রাট Meiji নাগরিকদের আদেশ করেন যেখান থেকে পারো জ্ঞান আহরণ কর তা পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে হোক না কেন। এই বুবুক্ষা  নাগরিকদের চারপাশে ছড়িয়ে দেয়।  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে পাশ্চাত্য শিক্ষার আদলে সাজানো হয়; উচ্চশিক্ষায় পাশ্চাত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল গ্রহণ করা হয়।  কানো এ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের সদ্ব্যবহার করেন।  তিনি জুডোর সাথে নীতিশিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা,  কঠোর নিয়মকানুন পালন, যোগ করে নতুন মাত্রা যোগ করে শাসকের কাছে পেশ করেন এবং তা Meiji সম্রাটের কাছে শারীরিক শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অনুমোদন লাভ করে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনান্য প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।  রাজক্ষমতা পক্ষে না থাকলে  জুডোর এ সপ্রসারন  সম্ভব হতো না।

তখন কানো নতুন কাতা সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন যেমন Ju no Kata, Seiryoku Zen'yo Kukumin Taiiku.  কোডকান তিনটি লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলঃ
১) শারীরিক উন্নতি
২) মন নিয়ন্ত্রন
৩) আত্মরক্ষা ও যুদ্ধজয়।

১৮৮৯ সালে জুডো সম্পর্কে কানো বলেন,
"Judo is the study of techniques with which you may kill if you wish to kill, injure if you wish to injure, subdure if you wish to subdure,  and when attacked, defend yourself. "



Bibliography:


Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp.20-23.



x

Saturday, May 12, 2018

জুডো কাতার ইতিহাস (২)

সে সময় যারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও সমরাস্ত্র নিয়ে গবেষনা করে কার্যকরী অস্ত্র আবিস্কার করত তাদের Bushi বলা হত। এরা ছিল পেশাগত ভাবে যোদ্ধা। তারাই ক্লাসিকাল মার্শাল আর্টের জনক। বারশো শতাব্দীতে যখন জাপানে শাসনভার রাজতন্ত্র থেকে ক্ষত্রিয়দের হস্তাগত হল তখন পেশী শক্তির পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতা, দ্বন্দ্ব যুদ্ধে পারদর্শিতা নেতৃত্বের মাপকাঠি হয়ে উঠল। কোডকান জুডোর কাতার উপর প্রভাব পড়েছে ঐ সময়ে প্রচলিত Yoroi kumi-uchi নামে একধরনের হাতাহাতি যুদ্ধ যেখানে প্রতিপক্ষ বর্ম, শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হত। এখানে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন মার্শাল আর্টের দাচি (পায়ের অবস্থান), আঘাতের কৌশল, পিছু হাটার কৌশল ব্যাবহার করতেন।
ধ্রুপদী এসব কৌশল গড়ে ওঠার সময় তাগড়া তাগড়া, শক্তিমান, খ্যাতিমান মার্শাল আর্টিস্টদের নিজ দলে ভিড়িয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী সমাজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করত। এর ফলে ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত হাজার হাজার ঘরনার মার্শাল আর্ট গড়ে উঠল। এই এক একটা ঘরনাকে Ryu নামে অভিহিত করা হত। যে সকল Ryu অস্ত্র ছাড়া খালিহাতে প্রতিপক্ষকে ধরাশয়ী করত যেমন Yoroi kumi-uchi, Kumi-uchi, Kogusoku, Koshi no mawari, Yawara-ge, Yawara-gi, Hakuda, Shubaki, Kempu, Taijitsu, wajutsu, & torite এর কোডকান জুডোর কাতা সৃষ্টিতে দারুন অবদান রয়েছে।


Picture: Two warriors engaged in yoroi kumi-uchi on battlefield.
Nineteenth-century woodblock print by Ichieisai  Yoshitsuya, from the Draeger collection.

সপ্তদশ শতাব্দীতে জাপানী শাসন ব্যাবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। সে সময় Tokugawa পরিবারের রাজত্বকালে ক্ষত্রিয়রা তাদের গুরুত্ব হারায় এবং মার্শাল আর্ট একটি উৎপাদনহীন অর্থহীন কাজে পরিনত হয়। মেধাভিত্তিক ঐ সমাজ বিবর্তনে এ শরীর নির্ভর শ্রম ধ্বংসমুখে পতিত হয়। সামাজিক স্তরবিন্যাসের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ক্ষত্রিয়রা দ্বিতীয় স্তরে অধঃপাতিত হয়। এ সময়ে সাধারন মানুষের ধর্মীয় আবেগ ও Spiritual চিন্তা দ্বারা প্রতাপাদিত্য এ শিল্পটি প্রতিস্থাপিত হয়।

যে সকল মার্শাল আর্ট সর্বনিম্ন অস্ত্র ব্যাবহার করে শুধুমাত্র পেশীশক্তির দ্বারা শত্রুকে পরাজিত করত তাদের সাধারনভাবে জুজুৎসু নামে অভিহিত করা হত। তবে এ ধরনের পদ্ধতিকে যোদ্ধারা দ্বিতীয় শ্রেনীর মনে করত। তাদের প্রথম পছন্দ ছিল তলোয়ার শিক্ষা। যেহেতু ক্ষত্রিয়রা তাদের মর্যাদা হারিয়েছে, সাধারন মানুষ ক্ষমতায় তাই এ ধরনের কৌশল ক্ষমতাসীনদের বিনোদনে পরিনত হল। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে জুয়ার আসরে, পতিতাপল্লীর রঙ্গলীলায়, সামাজিক অনুষ্ঠানে এ জুজুৎসু সাধারন মানুষের বিনোদনের মাধ্যমে হয়ে উঠল।


Picture:The sumo technique of uchi-gake (the inner hook). 
Late nineteenth-century woodblock print from the Draeger collection.  

ঊনবিংশ শতাব্দী নাগাদ জুজুৎসুতে এমন ধরনের কৌশলের বাহার ছিল যে তা অস্ত্রহীন কিংবা অস্ত্রধারী উভয়ের বিরুদ্ধে সমানভাবে কার্যকর ছিল। এ সময় এটি এমনভাবে বিস্তার লাভ করে যে তাদের মধ্যে পেশাগত ঈর্ষা ও কৌশল সংযোজন-বিয়োজনের ফলে তা বিভিন্ন ঘরনার জুজুৎসুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চর্চাকারীরা নিজের মত করে এর উন্নতি, সম্প্রসারণ করতে থাকে; ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে জুজুৎসুর প্রায় ৭০০টি স্টাইলের উদ্ভব হয়। এ বিভক্তিকে সে সময়ের জাপানী সমাজের ভাব ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

ঐতিহ্যগতভাবে জাপানের প্রত্যেকটি ধ্রুপদী মার্শাল আর্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। বহু বছরের সাধনায় একজন শিক্ষার্থী এক ঘরনায় পারদর্শী হত। ঈর্ষা, ত্যাগ, শ্রম, অধ্যবসায়ের ফলে সে পরিপূর্ণ যোদ্ধা ও অভিজ্ঞতায় ভরপুর হয়ে উঠত। তখন কাতাই ছিল একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম যাতে যোদ্ধারা নিজেদের যাচাই করতে পারত। সাধারন চর্চা কোন চর্চা হিসেবেই গন্য করা হত না। প্রত্যেকটা প্রশিক্ষণ ছিল এক একটি যুদ্ধক্ষেত্রের সমান বিপদসংকুল। কাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থী আক্রমণের ধরন, প্রতিআক্রমণ, প্রয়োজনে পিছুহাটা আবার আগ্রাসন চালানো, আঘাতের সাথে নিজে মানিয়ে নেওয়া, শত্রুকে কুপোকাত করা, প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরের বিশেষ অঙ্গের দক্ষতার উন্নতিসাধন ও সাহস অর্জন করত । এককথায় "By harmonizing himself in this fashion, the warrior embodied the nobility of his spirit."

একপক্ষ মনে করত কাতা নয় প্রকৃত রণক্ষেত্রই হল আসল জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার উৎস। আর সে রণক্ষেত্রের প্রস্তুতির জন্য নিজের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত কার্যকরী কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে শানিত করত। কেউ কেউ আবার বলতেন কাতার শিল্পমূল্য আছে কিন্তু বাস্তবে এটি কিছু অঙ্গের নাড়াচাড়া আর কিছু না, এটি প্রদর্শনীতে দৃষ্টিনন্দন কিন্তু রনক্ষেত্রে অকেজো অথর্ব।
 


Bibliography:

Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp.16-20.

Friday, May 11, 2018

জুডো কাতার ইতিহাস (১)

জুড়োর কাতা, ধুপধাপ থ্রো। যাইহোক জাপানের ইতিহাসের মত এই জুডো কাতার ইতিহাসও পুরানো।এই কাতাতে জাপানী সংস্কৃতি, স্থাপত্যকলা, যুদ্ধকৌশল, শিল্পসাহিত্য, ধর্মসহ সকল ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপ বৈচিত্র্যের ছাপ পড়েছে। জাপানী জনগন যুদ্ধকৌশল ও অস্ত্রশস্ত্রকে সবসময় গুরুত্বের সাথে দেখে থাকে। সেখানে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের মল্লযুদ্ধের যে রেকর্ড পাওয়া যায় তা হল "Nihon Shoki" এ লেখা কথাবার্তা যা খ্রিস্টপূর্ব ৭২০ অব্দে লেখা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে যে সে যুগে জাপানে "Chikara Kurabe" (Strength Comparison) নামে এক ধরনের দ্বন্দ্বযুদ্ধ হত যেখানে দুই যোদ্ধা উলঙ্গ বা কাছামারা অবস্থায় নিজের ও সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষায় জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করতো, হারলে গোত্রের মর্যাদা চলে যেত আবার কখনো কখনো যোদ্ধাকে মেরেও ফেলা হত। এ ধরনের আরো খালি হাতের দুইজনের যুদ্ধের অনেক দলিলপত্র পাওয়া যার জ্ঞান প্রজন্মান্তরে আজও সঞ্চারিত হচ্ছে। পরবর্তীতে এই যোদ্ধারাই জাপানী সমাজের একটি অভিজাত শ্রেনীতে পরিনত হয় এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে, যা ঊনবিংশত শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত বজায় ছিল।

Picture: Chikara Kurabe, an ancient combat
method. Nineteenth-century artwork
from the Draeger collection.

Bibliography:

Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp. 15-16. 

Monday, May 7, 2018

ভ্রমণে যৌনতৃষ্ণা বৃদ্ধি পায়।  

ও ছোট দেওরা রে-

ও ছোট দেওরা রে-
প্রেম করিতে যদি চাও
বাপ-ভাই ছাড়ান দাও (হে)
আর ছাড় এই দ্যাশের বসতি (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
ভাসুর শ্বশুর শুইয়া থাকে
উঁচা ডোরা বড় ঘরে (হে)
আমি থাকি ঐ না ভাঙ্গা ঘরে (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
মোর সোয়ামী গাঁজাখোর
সাইজা দেওরা ঘুমে ভোর (হে)
ছোট দেওরা রসিকা নাগর (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
পাখির ভালো গান সরলা
নারীর ভালো চিকন কালা (হে)
পুরুষ ভালো রসিকা নাগর (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
ভুঁই নষ্ট আড়াইলা ঘাসে
নারী নষ্ট গাঙ্গের ঘাটে (হে)
পুরুষ নষ্ট শহর-বাজারে (হে)।।

(সংগ্রাহক - জসীম উদ্দীন)