Tuesday, November 7, 2017

Her বাল

আপনারা এতো Herbal প্রডাক্ট ব্যাবহার করেন, Hisbal ব্যাবহার করেন না কেন?
- ভাই কি সমকামী নাকি ?
# কাঁটাবন সেলুন রঙ্গ #

মনিপুরী রাসলীলা

আমার মতো তরুন পুরুষে কি দেখে ? দেখে লাল লিপিস্টিক, কাজল দেওয়া চোখের ভিতর নিকষ কালো চোখের মনি শুধু এদিক যায় আর ওদিক যায় সাথে সৌন্দর্যপিপাসু মনও দোল খায়। আর যখন ভ্রুর কটাক্ষের সাথে রক্তজবা বাঁকা ঠোঁটে মুচকি হেসে পাশের জনকে বলে এই দেখো নাগর তখন মনে হয় তো আমি শেষ। আর এই সুন্দরী যখন কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মিষ্টি হেসে বলে Thank You তখন তো মনে হয় আকাশ থেকে পড়ে চুরমার ছারখার হয়ে গেলাম।
চোখের মুগ্ধতা মনে গিয়ে লেগেছে । তাহার আলতা দেওয়া সোনার বরণ পাও বুকে নিয়েইতো জীবন কাটিয়ে দেওয়া যায়। এতো রূপ এতো সৌন্দর্য ! জানি না সত্যিকারের রাঁধা কেমন ছিল তবে আমার চব্বিশ বছরের জীবনে দেখা সেরা রূপবতী সে। অবশ্য তাহার চোখে আমি একজন ভিনদেশী যুবক একজন বাঙাল।
একজন মনিপুরী সুন্দরী কি ভাবে বসে ? বসে তার ড্রেসের ভিতবে, বসে বসে ডাগর ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে। চোখে যেন খঞ্জনি পাখি খেলা করে।
রাত জেগে দেখা মনিপুরীদের এই রাসলীলা দেখে সকালে ঘুমাতে গিয়েও স্বপ্নে দেখেছি সে আলতা দেওয়া পায়ের রূপ, মেহেদি দেওয়া হাতের চলন। মুগ্ধতা যেন কাটেই না। আট বছরের নিচে মাধব আর রাইকে ঘিরে ব্রজবালাদের নৃত্য, সখি বিশাখার নৃত্য সারা রাত জাগিয়ে রেখেছে আমাকে। প্রথম সারিয়ে ভিনদেশ দাড়িওয়ালা যুবককে দেখে সুন্দরীরা বারবার তাকাচ্ছিল আর চোখাচোখি হচ্ছিল আর পুরূষ যেহেতু ভ্রমরের জাতি ঠিক থাকে না মতিগতি তাই ভাবছিলাম এর মধ্যে আসলে কে বেশী সুন্দর কিন্তু যার দিকে তাকাই তাকেই আরো ভালো আগে, আহা! আহা! আর এই সুন্দরীদের রূপসুধা পান করে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছিলাম, ইহাকে আমি অপহরণ করিয়া লইয়া যাইবো ।
পরে বন্ধুর কাছে শুনলাম নিলে অপহরণ করেই নিতে হবে কারন মনিপুরীরা ভিনজাতের ছেলেদের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয় না। নাচের পরে এক সুন্দরীর সাথে কথা বলতে পারতাম, সুন্দরী নাচের মাঝে প্রশংসা বানীতে গলে গিয়েছিল কিন্তু বললাম না কারন থাকনা এ মুগ্ধতা, এ দেবদুহিতার সাথে জীবনে আর কোন দিন হয়তো দেখাই হবে না কিন্তু এ মুগ্ধতা, সৌন্দর্যপিপাসু মনের এ সন্তুষ্টি চিরদিনই থাকবে।

মনিপুরী সংস্কৃতি

মনিপুরী সংস্কৃতি এতো সমৃদ্ধ জানতাম না ! অনান্য জায়গায় দেখেছি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন জাতিসত্তার, বিভিন্ন ভাষার গান বাজিয়ে, অনেকটা মিশ্র দ্রব্য, পোশাক, খাদ্য দিয়ে অনুষ্ঠান করতে কিন্তু মনিপুরীরা এতোটাই মৌলিক যে একটা অনুষ্ঠানের সব সামাজিক প্রয়োজন মেটাতে পারে (খাদ্য, নৃত্য, গান, বাদ্যযন্ত্র, ভাষা সাজ, পোশাক সব সবকিছু) । বাংলাদেশের জাতিসত্তার অন্যতম সেরা জীবন দর্শন ও পোশাক তাদের বিশেষ করে মেয়েদের ঐতিহ্যবাহী নাচের পোশাক তো আমার কাছে দারুন মনে হয়েছে। 
তাদের খাবারটাও অসাধারন। ওনারা পেয়াজ খান না, তেল ও মসলা কম দিয়ে যে রান্নাটা করেন যেন অমৃত। আতপ চালের ভাত এই প্রথম আমি খেলাম। খেলাম শুটকি মাছের তৈরি শীতল ( নাম ভুল হতে পারে।) ইলিশ মাছের তরকারির সাথে একটু একটু করে শীতল নিয়ে খেতে দারুন লেগেছে। প্রথম জানতাম না এভাবে খেতে হয়, আমি ওটা দিয়ে ভাত মাখিয়ে ফেলেছিলাম পরে বন্ধু বলল এভাবে খা। খাবার শেষে খেলাম দুধ, যেমন মিষ্টি তেমন স্বাদ ! (নিজস্ব খামারের দুধ) । মনিপুরীরা মাংস খান না তাই দুগ্ধজাত দ্রব্য বেশী খেয়ে থাকেন।
রাখাল নৃত্য দেখার পরে খেয়েছিলাম নাডু, মুড়ি, চিড়া, তিলের তৈরি অসাধারন স্বাদের খাবার।
ওঁরা অনেক অতিথি পারায়ণ, দুই দিনে মনে হয়েছে আমি নিজের পরিবারের সাথে, নিজের সাথীদের সাথে আছি। ছোলা ভাজি দিয়ে আতপ চালের ভাত আর সিমের বিচি (সম্ভাবত) দিয়ে রান্না করা ডালের স্বাদতো এখনো মুখে লেগে আছে। আর হ্যা, ওরা খুব পান খায়, ও পান দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করতে ভালোবাসে, রাসলীলা দেখার সময় আমাকেও চারপাশের মানুষ পান সেধেছে কিন্তু খাই নি, এখন পস্তাচ্ছি কেন খেলাম না ওই খাসিয়া পান?


সিলেটি বগা

স্থান - মাধবপুর লেক, বন্ধুকে বললাম যে আমি বান্দরবনের বগা লেকেও গিয়েছি। 
বন্ধু হেসে হেসে কুটিকুটি হয়ে বলে, আমাদের এখানে (সিলেটে) বগা মানে কি জানিস? 
- কি? 
-ধোন। 
-আরে শাউয়া ! ধোনরে যে বগা কাও তা আগে কবা না ?