Wednesday, September 26, 2018

জুডোর ইতিহাস (Timeline)

১৫৩২      জুজুৎসুর অন্যতম পূর্বসূরি Takenouchi-rye সৃষ্টি হয়।

১৮৬০     এর ২৮ অক্টোবর জিগারো কানো Mikage (জাপানের একটি স্থান) জন্মগ্রহণ করেন।

১৮৮২      জিগারো কানো Eisho-ji মন্দির প্রাঙ্গণে Kodokan Judo স্থাপন করেন।

১৮৮৪      Kodokan এর বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে মার্শাল আর্টের ঐতিহ্যবাহী ধারা Gantanshiki,                              Kagamibiraki shiki, Kangeiko, Tsukinami shiai ও Kohaku shiai অন্তর্ভুক্ত হয়। এ সময়                          থেকে ১৮৮৭   সাল এর মধ্যে Nage no kata ও Katame no Kata সৃষ্টি করা হয়।

১৮৮৭       এ সালে জুডোর তিনটি কাতা সৃষ্টি করা হয়; কাতা তিনটি হল Jo no Kata, Go no Kata ও                         Itsutsu no Kata

১৮৯৫       Gokyo no Waza কাতা সৃজিত হয়।

১৯৩০        প্রথম সমগ্র জাপান জুডো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৩৮      জিগারো কানো ১২তম অলিম্পক টোকিওতে আয়োজনের প্রস্তাব নিয়ে আন্তর্জাতিক                           অলিম্পিক কমিটির মিটিং যোগদান করতে কায়রোতে যান।  ওখান থেকে Hikawamaru                        জাহাজে করে ফেরার সময় তিঁনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত হন ও ৪মে জাহাজেই পরলোক                          গমন করেন।

১৯৪৫         দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এ ক্রান্তিকালে স্কুল কলেজ ও ইনিস্টিটিউটগুলোতে সকল ধরনের                              মার্শাল  আর্ট চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়।

১৯৪৮        দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে প্রথম সমগ্র জাপান জুডো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৪৯        সমগ্র জাপান জুডো ফেডারেশন গঠিত হয়।

১৯৫০       জুডোর উপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

১৯৫১        আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন যাত্রা শুরু করে।

১৯৫২       সমগ্র জাপান জুডো ফেডারেশন ও আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন সংযুক্ত হয় ও                                কোডোকানের প্রেসিডেন্ট Risei Kano আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন এর প্রেসিডেন্টের                       দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

১৯৫৬       একুশটি দেশের অংশগ্রহণে টোকিওতে প্রথম বিশ্ব জুডো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

১৯৬৪       অবশেষে জুডো অলিম্পকে জায়গা করে নেয় (১৮তম অলিম্পক, টোকিও)। এই                                 অলিম্পকে তিনটি ওজন শ্রেনী ( Lightweight,  middleweight & heavyweight) ও  একটি                      উন্মুক্ত শ্রেনীর আওতায় প্রতিযোগিতা হয়। এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেখানে                     এ   ধরনের ক্যাটাগরি ব্যাবহার করা হয়।

১৯৬৭        আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন জুডো  খেলার নিয়মকানুন প্রনয়ন করে।

১৯৭৬       মন্ট্রিয়ল অলিম্পকে Koka কে সর্বপ্রথম জুডো খেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

১৯৭৯         প্যারিসে অনুষ্ঠিত ১১তম বিশ্ব জুডো প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মত সাতটি ওজনশ্রেনী (                     -৬০, -৬৫, -৭১, -৭৮, -৮৬, -৯৫ ও + ৯৫ কেজি ) ও  একটি উন্মুক্ত ওজনশ্রেনীতে (৯৫+                          কেজি) খেলা হয়।

১৯৮৮        সিউল অলিম্পিকে উন্মুক্ত ওজনশ্রেনী বাদ দেওয়া হয় ও একটি নারীদের জুডো প্রদর্শনীর                     হয়।

১৯৯৮       কলম্বিয়ায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব যুব প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ নতুন ওজন শ্রেনীতে ( বালক: - ৬০,                          -৬৬, -৭৩, - ৮১, - ৯০, -১০০, +১০০ কেজি,  বালিকা: -৪৮, -৫২, - ৫৭, - ৬৩, - ৭০, - ৭৮                       + ৭৮ কেজি)  খেলা পরিচালিত হয়।

২০১১        প্রথমবারের মত ২৮ অক্টোবর (জুডোর প্রতিষ্ঠাতা জিগারো কানোর জন্মদিন) বিশ্ব জুডো                       দিবস IJF এর সকল সদস্য দেশে পালিত হয় ও প্রতিবছর দিবসটি পালনের সিদ্বান্ত্ব নেওয়া                     হয়।

২০১২       লন্ডন অলিম্পকের পর জুডো অলিম্পকের C Catagory র  ইভেন্ট হিসেবে উন্নিত হয়।

২০১৬      অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়ে রিও অলিম্পকে ১৩৬ দেশের মোট ৩৯০জন জুডোকা                  অংশগ্রহণ করে।



References: 

1. Kawamura, T., & Daigo, T. (2000). Kodokan New Japanese-English Dictionary of Judo. Tokyo, Japan: The Foundation of Kodokan Judo Institute.  pp. 142-143. 


Wednesday, September 19, 2018

Tuesday, September 18, 2018

জুডো বেল্টের ধারনা ও ক্রমবিকাশ (প্রথম পর্ব)

ড. জিগারো কানো জুডো প্রচলন করার আগে প্রচলিত মার্শাল আর্টে কোন কিউ ও ড্যান ধারনা প্রচলিত ছিল না। তবে প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট বা অন্য কিছু দিয়ে তাদের দক্ষতার স্বীকৃতি দেওয়া হত। কানোই সর্বপ্রথম দক্ষতা অনুযায়ী মর্যাদার ক্রমবিন্যাস বা Rank System চালু করেন এবং তাঁর দুই বর্ষীয়ান শিষ্য Shiro Saigo ও Tsunijino Tomita কে ১৮৮৩ সালে ব্লাকবেল্ট প্রথম ড্যান প্রদান করেন। আশ্চর্যজনকভাবে সত্য যে এর পূর্বে ব্লাকবেল্ট (প্রশিক্ষক স্তর) ও অন্য বেল্টের মধ্যে বাহ্যিকভাবে পৃথকীকৃত কোন চিহ্ন ছিল না। কানো ১৮৮৬ সালে প্রশিক্ষণার্থীদের দুই ভাবে ভাগ করেন, ১) যারা ব্লাকবেল্ট অর্জন করেছে ও এদের সমন্বিতভাবে Yudansha নামে অভিধা দেন। ২) যারা এখনো ব্লাকবেল্ট অর্জনের পথে আছে ও এদের Mudansha নামে অভিহিত করেন।


Picture: Kimono


তখনো পর্যন্ত আধুনিক জুডো গি (পোশাক) ও বেল্টের ধারনা কানোর মাথায় আসেনি। জুডোকারা তখন Kimono নামে পোশাক ও প্রশস্ত বেল্ট কোমরে পরে প্রাক্টিস করত। ১৯০৭ সালে কানো আধুনিক জুডো গি ও বেল্ট প্রচলন করেন। কিন্তু তখনো শুধুমাত্র সাদা ও কালো বেল্ট ছাড়া অন্যবেল্টের পরা শুরু হয়নি। জুডোর এ সাদা পোশাক নিরহংকারীতা, প্রকৃতিজাত ভারসাম্যাবস্থা ও পবিত্রতা নির্দেশ করে যাতে কোন সামাজিক স্তরবিন্যাসের চিহ্ন নাই, সবাই সমান। সাদা বেল্টের সাথে কালো বেল্ট বৈপরীত্যের মেরু বা In and Yo কে প্রতিনিধিত্ব করে। ছাত্ররা শূন্য হতে শুরু করে ও জ্ঞান দ্বারা পূর্ণ হয়।


Picture: In and Yo 
(To understand the real meaning please search on the internet ) 
১৯৩০ সালের দিকে উচ্চতর দক্ষতা সম্পন্ন ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম ডিগ্রি ব্লাকবেল্টদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কানো সাদা ও লাল রঙের প্যানেলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ বেল্ট প্রচলন করেন যাকে Kohaku Obi বলা হয়। এ Kohaku Obi সাধারনত বিশেষ অনুষ্ঠানে পরা হয়। ১৯৪৩ সালে কোডকান ৯ম ও ১০ম ডিগ্রি ব্লাকবেল্টদের জন্য লালবেল্ট চালু করে। তবে এটি ঐচ্ছিক, ঐ মর্যাদার কেউ চাইলে এটি পরতে পারে। জুডোকার মর্যাদা শুধ্যমাত্র ১০ম ডিগ্রিতেই সীমাবদ্ধ নয়। কানোর ভাষায় কেউ যদি ১০ম ডিগ্রি অর্জন করে তাহলে তাকে একাদশ ডিগ্রিতে উন্নীত না করার কোন কারন নেই। উল্লেখ্য এখন পর্যন্ত ১৫ জন ১০ম ডিগ্রি পেয়েছেন।

Picture: Kohaku Obi

জাপানের বাইরে যখন জুডো প্রচলন লাভ করে তখনই মূলত Mudansha দের জন্য বিভিন্ন রঙের বেল্টের ধারনা শুরু হয়। আর এজন্য সকলে Mikonosuke Kawaishi কে কৃতিত্ব দিয়ে থাকেন। তিঁনি যখন ১৯৩৫ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জুডো শেখাতে শুরু করেন তখন ভাবেন যে এ পাশ্চাত্যে যদি দক্ষতা অনুযায়ী শ্রেনী বোঝাতে বিভিন্ন বেল্ট দেওয়া হয় তবে শিক্ষার্থীরা এর প্রতি বেশী আকৃষ্ট হবে ও মনোযোগ ধরে রাখবে ও স্বীকৃতিতে প্রেষণা বাড়বে। আর এ বেল্টের রঙগুলো হল সাদা, হলুদ, কমলা, সবুজ, নীল ও বাদামী।

Picture: Mikonosuke Kawaishi 
(13 August 1899 – 30 January 1969) 

জুডোর এ পোশাক ও বেল্টের ধারনা পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘরনার মার্শাল আর্ট যেমন কারাতে, Aikido তে ছডিয়ে পড়ে ও এগুলো তাঁরা নিজেদের সুবিধামত সংস্কার ও পরিমার্জন করে ব্যবহার করতে শুরু করে।
মার্শাল আর্টের ব্লাকবেল্ট সম্পর্কে নানা কিংবদন্তী চালু রয়েছে।(মার্শাল আর্টের ইতিহাসের তুলনায় এ ব্লাকবেল্টের ইতিহাস একেবারেই নতুন।) প্রচলিত মিথের মধ্যে সবচেয়ে বেশী যেটা শোনা যায় তা হল শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যগতভাবে সাদা বেল্টেই শুরু করত, কালপরিক্রমায় তা ময়লা হয়ে ধূসর হয়ে বাদামী রঙে পরিনত হত। তারপর একসময় আরো আস্তারণ পড়ে কালো রঙে রূপান্তরিত হত। আর এ রঙই তাঁর দীর্ঘকালের সাধনা ও দক্ষতার ধ্বজা হিসেবে দেখা হত। এ লোককথা কতটুকু সত্য তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি তবে একথা সত্য যে প্রাচীন মার্শাল আর্টে রঙিন বেল্ট কোনদিনই প্রচলিত ছিল না।
Dr. David Matsumoto তার An Introduction to Kodokan History and Philosophy গ্রন্থে বলেছেন যে সাদা পোশাক ও বেল্ট ব্যবহারের দুটি ঐতিহাসিক ও প্রথাগত মূল্যবোধ জড়িত থাকতে পারে। প্রথমত জাপানী সমাজে সাদা রঙকে পবিত্রতা ও শুচিতার প্রতীক বলে মনে করা হয়। এজন্য সাদা রঙ চিরদিনই তাঁদের কাছে বিশেষ প্রধান্য পেয়ে থাকে। তাই তারা নবীন শিক্ষার্থীদের সরলতা ও নিষ্পাপ অন্তর বুঝাতে সাদা রঙ ব্যবহার করতে পারে।
কালোবেল্ট সম্পর্কে একটি সূত্রহীন কিংবদন্তী বলে যে ড. জিগারো কানো জাপানে প্রচলিত হাইস্কুল সাঁতার প্রতিযোগিতা থেকে এর ধারনা নেন; যেখানে দক্ষ প্রতিযোগীরা কোমরে কালো Ribbon ও নবীন প্রতিযোগীরা সাদা Ribbon পরতো ফলে তাদের সহজে পৃথক করা যেত। এই ঐতিহ্যই কানো কোডকানে নিয়ে আসেন।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে উচ্চস্তরের ব্লাকবেল্টরা কেন সাদা ও লাল রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া বেল্ট পরেন? Meik Skoss নামের একজন বিখ্যাত মার্শাল আর্ট ঐতিহাসিক বলেছেন যে এর পেছনেও ইতিহাসের দায়বন্ধতা রয়েছে। জাপানীরা সাধারনত দল গঠনের সময় নিজেদের লাল ও সাদা রঙে বিভক্ত করে থাকে। এর পেছনে ইতিহাস হচ্ছে প্রাচীন জাপান সাম্রাজ্যে Genpei War (1180–1185) নামে Genji ও Heiki সম্প্রদায়ের মধ্যে যে বিখ্যাত যুদ্ধ হয় তাতে গেঞ্জি সৈন্যরা সাদা রঙের নিশান ও Heiki সৈন্যরা লাল রঙের নিশান ব্যবহার করেছিল যাতে তাদের সহজে পৃথক করা যায়।
জাপানের সামাজিক স্তরবিন্যাস খুবই স্পর্শকাতর ও একশ্রেণীর লোকজন অন্যশ্রেণীর সাথে ভাবের আদানপ্রদানে খুবই সতর্ক থাকে। জাপানী শাসনব্যাবস্থার Heian Period (794 to 1185) থেকে মর্যাদার এ শ্রেনীকরণ সমাজের সর্বক্ষেত্রে বিস্তার লাভ করে। সে সময়ে আদালতে পদমর্যাদা অনুসারে নানা রঙের ক্যাপ করার রীতি ছিল যা কর্তাব্যক্তির কার্যক্ষমতা নির্দেশ করত ।  Skoss এর মতে এসব প্রশাসনিক ও সামাজিক ঐতিহ্য জুডো বেল্টের রঙ নির্ধারণে ভূমিকা রেখেছে।

References: 
1. Ohlenkamp, N. (2007). The Judo Rank System -Belts.  Retrieved from https://judoinfo.com/obi/  Visited: 18 September 2018
2. Cunningham, D. (2013). Belt Colours and Ranking Systems. Retrieved from
https://web.archive.org/web/20130928214532/http://www.e-budokai.com/articles/belts.htm    
Visited: 18 September 2018

Thursday, August 23, 2018

জুডো কৌশলের শ্রেনীবিভাগ

টেনশনে মানুষ অনেক কিছু ভুলে যায় যেমন BKSP তে আমার সেন্সি Shamsher Alam যখন Ude-hishigi-hiza-gatame এবং Ude-hishigi-waki-gatame করতে বলেছিলেন,  আমি আর বাঁধন দু-দুজন ব্লাকবেল্ট টেকনিক দুটি মনেই করতে পারিনি! যাই হোক ভুল থেকেই ফোটে ফুল। যে দুটি টেকনিক পারি নাই তারা Katame-waza এর অন্তর্গত Kansetsu-waza (Joint Techniques) এর অন্তর্গত। যাতে মোট ১০টি টেকনিক আছে; যার মধ্যে একটি আবার নিষিদ্ধ (Ashi -garami)। কেন নিষিদ্ধ জানি না এবং অন্য সাতটি টেকনিক হলঃ
       ১) Ude-garami
       ২) Ude-hishigi-juji-gatame
      ৩) Ude-hishigi-ude-gatame
      ৪) Ude-hishigi-hara-gatame
      ৫) Ude-hishigi-ashi-gatame
      ৬) Ude-hishigi-te-gatame
      ৭) Ude-hishigi-sankaku-gatame


Picture: Ude-higishi-juji-gatame



Katame-waza / Newaza তে আরো দুই ধরনের টেকনিক আছেঃ
১) Osae-komi-waza (Hold Down Techniques / ম্যাটে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে নিয়ন্ত্রনের কৌশল)  যাতে মোট ১০টি টেকনিক আছে।
২) Shime-waza (Stranging Techniques / শ্বাসরোধী কৌশল) এতে মোট ১২টি কৌশল যার মধ্যে Do-jime কৌশলটি নিষিদ্ধ।

এই শ্রেনীদ্বয়ের sophisticated কৌশলগুলো  হচ্ছেঃ
Osaekomi-waza:
         ১) Kesa-gatame
         ২) Kuzure-kesa-gatame
         ৩) Ushiro-kesa-gatame
          ৪) Kata-gatame
          ৫) Kami-shiho-gatame
         ৬) Kuzure-kami-shiho-gatame
          ৭) Yoko-shiho-gatame
          ৮) Tate-shiho-gatame
          ৯) Uki-gatame
         ১০) Ura-gatame
Picture: Kuzure-kesa-gatame




Shime-waza:
         ১) Nami-juji-jime
         ২) Gyaku-juji-jime
         ৩) Kata-juji-jime
         ৪) Hadaka-jime
         ৫) Okuri-eri-jime
        ৬) Kataha-jime
        ৭) Katate-jime
        ৮) Ryote-jime
        ৯) Sode-guruma-jime
       ১০) Tsukkomi-jime
       ১১) Sankaku-jime
       ১২) Do-jime ( নিষিদ্ধ কৌশল )

Picture: Hadaka-jime

এতো গেলো ম্যাটে চেপে ধরা, শ্বাসরোধ করা, জয়েন্টে লক (Joint Lock)  দেওয়ার কৌশলগুলো। দাড়িয়ে বা  শুয়ে যে ধুপধাপ থ্রো (Throw) করা হয় তাকে বলে Nagewaza. এতে Kodokan স্বীকৃত ৬৭টি ও একটি নিষিদ্ধ (Kawazu-gake) সহ মোট ৬৮টি টেকনিক আছে।  এই কৌশলসমূহকে প্রধানত দুই ভাগে এবং পরে  আবার subdivision করা হয়েছেঃ
১) Tachi-waza (Standing Techniques):  এতে দাড়িয়ে থেকে যে নিক্ষেপগুলো করা হয়; এটা আবার তিনভাগে বিভক্ত।
২) Sutemi-waza: এতে প্রতিপক্ষকে নিক্ষেপ করতে হলে নিজেকেও পাশে, সামনে কিংবা পেছনে পড়তে হয়; এজন্যই এর নাম Sacrifice Techniques.  একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

এই দুই শ্রেনীর subdivisions গুলো মিলে Nage-waza টেকনিকগুলো মোট পাঁচ প্রকার যার মধ্যে প্রথম তিনটি Tachi-waza এর শ্রেনীবিভাগ ও পরের দুটি Sutemi-waza এর শ্রেনীবিভাগ।

১) Te-waza: এগুলো মূলত হাতের সাহায্যে করা হয় এবং এতে মোট ১৬টি কৌশল আছে।
২) Koshi-waza:  কোমর প্রধান কৌশল এবং ১০টি টেকনিকের সমন্বয়ে গঠিত।
৩) Ashi-waza: যে টিকনিকগুলো পা দিয়ে করা হয় যেমন Hiza-guruma, Osoto-gari. এতে মোট ২১টি টেকনিক আছে।
৪) Yoko-sutemi-waza:যাতে প্রতিপক্ষকে Throw করতে হলে নিজেকেও ডানে বা বায়ে পড়তে হয় যেমন Yoko-gake.  এ ধরনের মোট ১৬টি টেকনিক আছে।
৫) Ma-sutemi -waza: প্রতিপক্ষকে এ ধরনের Throw করতে হলে নিজেকে সামনে বা পেছনে মেরুদণ্ড /পিঠের উপর পরতে/শুতে হয়। তাই এর নাম Spine Sacrifice Throw. এ  ধরনের  মোট পাঁচটি টেকনিক আছে।

এই শ্রেনিবিভাগের অন্তর্গত টেকনিকগুলো হলঃ
Te-waza:
       ১) Seoi-nage
       ২) Ippon-seoi-nage
      ৩) Seoi-otoshi
       ৪) Tai-otoshi
       ৫) Kata-guruma
       ৬) Sukui-nage
       ৭) Obi-otoshi
       ৮) Uki-otoshi
      ৯) Sumi-otoshi
     ১০) Yama-arashi
      ১১) Obi-tori-gaeshi
     ১২) Morote-gari
     ১৩) Kuchiki-taoshi
      ১৪) Kibisu-gaeshi
     ১৫) Uchi-mata-sukashi
     ১৬) Ko-uchi-gaeshi

Picture: Ippon-seoi-nage


Koshi-waza:
       ১) Uki-goshi
       ২) O-goshi
       ৩) Koshi-guruma
       ৪) Tsurikomi-goshi
       ৫) Sode-tsurikomi-goshi
       ৬) Harai-goshi
       ৭) Tsuri-goshi
       ৮) Hane-goshi
       ৯) Utsuri-goshi
       ১০) Ushiro-goshi

Picture: Utsuri-goshi




  Ashi-waza:
      ১) De-ashi-harai
      ২) Hiza-guruma
      ৩) Sasae-tsurikomi-ashi
      ৪) O-soto-gari
      ৫) O-uchi-gari
      ৬) Ko-soto-gari
      ৭) Ko-uchi-gari
      ৮) Okuri-ashi-harai
      ৯) Uchi-mata
      ১০) Ko-soto-gake
      ১১) Ashi-guruma
      ১২) Harai-tsurikomi-ashi
      ১৩) O-guruma
      ১৪) O-soto-guruma
      ১৫) O-soto-otoshi
      ১৬) Tsubame-gaeshi
      ১৭) O-soto-gaeshi
      ১৮) O-uchi-gaeshi
      ১৯) Hane-goshi-gaeshi
      ২০) Harai-goshi-gaeshi
      ২১) Uchi-mata-gaeshi


Picture: Uchi-mata

Yoko-sutemi-waza:
       ১) Yoko-otoshi
       ২) Tani-otoshi
       ৩) Hane-makikomi
       ৪) Soto-makikomi
       ৫) Uchi-makikomi
       ৬) Uki-waza
       ৭) Yoko-wakare
       ৮) Yoko-guruma
       ৯) Yoko-gake
      ১০) Daki-wakare
      ১১) O-soto-makikomi
      ১২) Uchi-mata-makikomi
      ১৩) Harai-makikomi
      ১৪) Ko-uchi-makikomi
      ১৫) Kani-basami
      ১৬) Kawazu-gake (নিষিদ্ধ কৌশল)


Ma-sutemi-waza:
          ১) Tomoe-nage
          ২) Sumi-gaeshi
          ৩) Hikikomi-gaeshi
          ৪) Tawara-gaeshi
          ৫) Ura-nage


Picture: Tomoe-nage


সবশেষে,
নামে কিবা আসে যায়
Throw করলে বোঝা যায়।
ধরা পড়লে জামিন নাই
জুডোর উপর Lock নাই।


References:

1.  Kano, J. ( 1994). Kodokan Judo. Tokyo, Japan: Kodansha International. pp. 55-58.
2. Names of Judo Techniques.  Retrieved from  http://kodokanjudoinstitute.org/en/waza/list/  Visited at: August 20, 2018.



Friday, July 13, 2018

রাজার বাড়ি

রাজা হরিশচন্দ্র!  ছোট বেলায় শোনা কিংবদন্তীর নাম। মা, দিদি, দাদুকে "রাজা হরিশচন্দ্র" পালা শুনে কাঁদতে দেখেছি। "রাজা হরিশচন্দ্র" পালার নাম শুনলেই এলাকার ধুম পড়ে যেত "ওটা দেখতেই হবে।" আজ ট্রেইনিং (যাতে অংশগ্রহণের সকল কৃতিত্ব আমার সেন্সির।) এর ছুটির দিনে ইন্টারনেটে বেড়ানোর জায়গা খুঁজতে গিয়ে কাছাকাছি এ রাজার বাড়ি পেয়ে আর লোভ সামলাতে পারলাম না,  চলেই এলাম। (ফিরিবার সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে  হালকা বনাঞ্চলে  একটি ছেলে প্রেমিকার বোঁচা নাক টানিয়া সোজা করিবার প্রয়াস পাইতেছে দেখিয়া নেশার কথা মনে পড়িয়া যাওয়ার শোকে আপ্লুত হইয়া আর বিশ্ববিদ্যালয়টা ঘুরিয়া দেখি নাই। এই শুক্রবারে তাহার সাথে দেখা করিবার কথা ছিল! )

রাজা হরিশচন্দ্রের রাজবাড়ি বা ঢিবি ঊনিশ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন মাটিচাপা এই স্থানটিকে রাজবাড়ি ঢিবি হিসেবে চিহ্নিত করত। ১৯১৮ সালের দিকে রাজবাড়ি ঢিবির কাছাকাছি গ্রাম রাজাসনে ড. নলিনীকান্ত ভট্টশালী এক প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ পরিচালনা করেন। পরবর্তীতে এখানে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চালানো হয়।  এর ফলে ঢিবির উত্তরাংশে ২৮মিটার * ২৮মিটার পরিমাপের একটি বৌদ্ধমমন্দির ও ২৭টি ভিক্ষু কক্ষ  বিশিষ্ট ৫৫.৬৪ মিটার * ৫৫.৬৪ মিটার বর্গাকৃতি একটি বৌদ্ধবিহারের নিদর্শন উন্মেচিত হয়েছে। এই খননকাজের ফলে আবিষ্কৃত হয় বৌদ্ধদের ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু প্রত্নবস্তু ও গুপ্ত রাজবংশের অনুকৃত মুদ্রাস্মারক। এতে সেখানকার বৌদ্ধ মূর্তির পরিচয় পাওয়া যায়। খ্রিস্ট্রীয় সপ্তম শতকে এখানে বৌদ্ধ ধর্ম সভ্যতা সংশ্লিষ্ট একটি কেন্দ্র ছিল বলে বোঝা যায়। হরিশ্চন্দ্র রাজার প্রাসাদ-ঢিবির উৎখননে অনাবৃত হওয়া বিহারটির মধ্যে একাধিক পুনর্নির্মাণ এবং একাধিক মেঝের চিহ্ন লক্ষ করা যায়। বিহারের স্থাপত্যশৈলীতে চারটি স্তর অনুধাবনযোগ্য। চার স্তরের নির্মাণ কাঠামো পাওয়া যাওয়ায় বোঝা যায়, লম্বা সময় ধরেই এটি ব্যবহৃত হয়েছিল। খননকাজের সময় বিহারের ওপরের স্তর থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম-অষ্টম শতকের স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা এবং খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতকের ব্রোঞ্জ নির্মিত ধ্যানী বুদ্ধ ও তান্ত্রিক মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে প্রাপ্ত অনেক ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তি দেখে বোঝা গেছে যে, মহাযানী বৌদ্ধ মতাদর্শের একটি কেন্দ্র ছিল এটি। এছাড়াও এখানে নানা ধরনের নিদর্শন পাওয়া গেছে। ধূতি পরিহিত, কিরিট মুকুট, চুড়ি, হার, কোমরবন্ধ ও বাজুবন্ধ সজ্জিত লোকেশ্বর-বিষ্ণু মূর্তি, পদ্মপানি, ধ্যানী বুদ্ধ, অবলোকিতেশ্বর ও প্রজ্ঞা পারমিতা প্রভৃতি ভাস্কর্য নিদর্শন এখান থেকে পাওয়া গেছে। শিল্পশৈলী বিবেচনায় এসব প্রত্নবস্তু খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে অষ্টম শতকের নিদর্শন বলে বিশেষজ্ঞদের অনুমান।

Sunday, June 17, 2018

প্রেমিক VS স্বামী



আমার মোজায় একটু গন্ধ হলেও তুমি সহ্য করতে পারতে না।  এখন তোমার হাজব্যান্ড পাঁচ মিনিটে তিনটি সিগারেট খায়; সেটি কিভাবে সহ্য কর?
কোন কথা নাই,  বুঝলাম ফোনের ওপাশে কাঁদছে। কাঁদুক, একটা বর্বর আনন্দ লাগে।  

আসলে প্রেমিকের অনেক দোষ থাকে। ওদিকে সদ্য পরিচয় হওয়া মানুষকে বেলের সরবত কিংবা ধোয়া তুলসির পাতাই মনে হয়। প্রেমিকের থাকে মনের মত গড়ে নেওয়ার আনন্দ; অনেকটা সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে যাত্রা শুরু করার মত আর স্বামীর থাকে অন্য বাসনা;  বার ঘাটের জল খেয়ে, সবাই ব্যস্ত হয় যাওয়ার নিঃসঙ্গতা ঘোচানোর জন্য একজন সেবাদাসী খোঁজে সে।  স্বামীও হয়তো তার প্রেমিকা হারিয়েছে তাই অনেক কিছু ছাড় দেয় সে। আর এটাই শিক্ষিত কিছু মেয়ের কাছে স্বাধীনতা মনে হয়। প্রেমিকের ছোট ছোট বিধিনিষেধ তার কাছে জঞ্জাল, আপদ মনে হত তার;  তাই এ বিচ্ছেদ।  স্বামী ছাড় দিতে দিতে তার গোয়াটাও ছাড় দেয় অন্যদিকে প্রেমিক কিছুই ছাড় দেয় না, তার লক্ষ্য মাটির প্রতিমার মত প্রেমিকাকে নিজ হাতে গড়ে নেওয়া কিন্তু তা অনেক ক্ষেত্রে হয়ে ওঠে না।  ফলফল স্বেচ্ছাচারী প্রেমিকের হাত হতে মুক্ত হয়ে অচেনা মানুষের হাত ধরে প্রেমিকা। তবে পরে পস্তায়।  ফোনের ওপাশে নিঃশব্দ কান্নায় বান বয়ে যায় আর প্রেমিকের দগদগে ঘাঁ ততদিনে সেরে ওঠেছে। ও কান্নায় কিছুই হয় না।  কেউ হয়তো তাকে বুঝিয়েছে, দ্যাখ,  যে প্রেমিকা এতো দিনের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেছে তার জন্য কিসের মায়া?  কত সময়ের বিনিয়োগ, কত আবেগের স্রোতধারা, কত অর্থের খেলা হয়েছে, সবকিছুর যোগফল যে শূন্য করে চলে গেছে তার প্রতি কি আর মায়া? তুই আবার প্রেম কর, দেখবি নতুনের প্রতি সেই একই আবেগ আসবে। হ্যা তাইই হয়।
নতুনের প্রতি আবার মুকুলিত হয় তার ফাগুন, সে দেখে তাইতো অনুভুতি সব এক তো!
এভাবে পুকুরের জলের স্বাদ ভুলতে সে নেয় নদীর স্বাদ, পরে আর পুকুর ভালোলাগে না।  তবে হ্যা নদী খুজে পাওয়ার আগে যে বিরহটা থাকে সেটা হয় স্বর্ণপ্রসবকারী; যত কবিতা, ছন্দ, দুঃখের সৃষ্টিশীলতা তখন বের হয়ে আসে। যা সুখে থাকতে কখনো আসেনি, আসে না, আসবে না। তাই ধন্যবাদ সব ফিরিয়ে দেওয়াকে, সব বিরহকে; ওটা মুক্তোর মতো মূল্যবান সব সৃষ্টিশীলতার জনক।  

Sunday, May 13, 2018

জুডো কাতার প্রকারভেদ

Style is the man himself.
                  - BUFFON

জুডো কাতাকে দুভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১) কোডকানে উদ্ভূত কাতা (Kodokan Pattern)
২) কোডকানের বাহিরে উদ্ভূত কাতা (Non Kodokan Kata)


১) কোডকানে উদ্ভূত কাতা (Kodokan Pattern)
            কোডকানে ঐতিহ্যগতভাবে ৯টি কাতা চর্চা করা হয় যাদের চারটি ভাগে ভাগ করা যায়
Free Excercise:
        ক) Nage no Kata (Forms of Throwing)
        খ) Katame no Kata (Forms of Grapping)

Combat:
       গ) Kime-no Kata (Classic Forms of Self-Defense)
       ঘ) Goshin-justu (no Kata) (Modern Forms of Self-Defense)
       ঙ) Goshin-ho (no Kata) (Modern Forms of  Woman's Self-Defense)

Physical Education:
        চ) Seiryoku Zen'yo Kokumin Taiiku (no Kata)  (Forms of National Physical Education)
        ছ) Ju no Kata ( Forms of Flexibility)

Theory:
       জ) Itsutsu no Kata (Forms of Five)
       ঝ) Koshiki no Kata ( Forms of Antiquity)

২) কোডকানের বাহিরে উদ্ভূত কাতা (Non Kodokan Kata)
              কোডকানের কিছু অনুসারী কোডকানের বাইরে কোন উদ্ভূত কোন কাতার অস্তিত্বই স্বীকার করেন না এবং করলেও মনে করেন সেগুলো ভুল তাই প্রাক্টিস না করাই ভালো। এই ধরনের চিন্তা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিকর । সকল জুডোকার বোঝা উচিত কোডকানের কাতাগুলো ঐতিহ্যগতভাবে অসাধারন কার্যকরী ও কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু সেগুলোই একমাত্র কাতা নয়। তারা বেশী পরিচিত এবং ঐতিহ্যের কারনে বেশী সম্মান পেয়ে থাকে কিন্তু অন্যগুলোও যথাযথ মর্যাদার দাবিদার।

জুডোর মূলনীতি মেনে কোডকানের বাইরে প্রচুর কাতা জন্মলাভ করেছে; যাকে কাতার ব্যাক্তিগত সংস্করণ বলা যেতে পারে। এগুলো অভিজ্ঞ জুড়ো প্রশিক্ষকদের দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে যার মধ্যে অনেকে কোডকানের শিক্ষার্থী বা প্রশিক্ষক ছিলেন। যেহেতু এগুলো কার্যকরী এবং অথর্বহ সেহেতু তা অবশ্যই চর্চা ও  সংরক্ষক যোগ্য।এসব কাতার মধ্যে  সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হচ্ছে Nage Ura no Kata (Forms of Counterthrowing) যা কোডকানের প্রখ্যাত জুডো প্রশিক্ষক Kyuzo Mifune (10th Dan) এর দ্বারা সৃষ্ট। এছাড়াও আরো অনেক Go-no-Sen no Kata রয়েছে যা জুডোকাদের চর্চা করা উচিত।

সকল জুডোকার খেয়াল রাখা ভালো যে ধ্রুপদী জুডো ও জুজুৎসুর হাজার হাজার কাতা রয়েছে।যাকে একেক জনের হাতের লেখার সাথে তুলনা করা যায় যেখানে ভুল কিংবা সঠিক কোন কথা নয় সবগুলোই নিজস্ব স্টাইল বা ধারা। কাতা ব্যাক্তির ব্যক্তিত্ব, অন্তর্নিহিত ভাব,  ইচ্ছা, ধারনক্ষমতা, মতামতের প্রকাশ; অনেকটা যত মত তত পথ কিংবা নানা মুনির নানা মতের মত।  

Bibliography:

Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp. 32-34. 
কিছু সৌন্দর্য দেখলে মনের ক্ষুধা জাগে,
কিছু সৌন্দর্য দেখলে দেহের ক্ষুধা জাগে।  

জুডো কাতার ইতিহাস (৩)

There is no art without originality;
There is no originality without personality.
                                             - R. ALDINGTON


জুডোর প্রতিষ্ঠাতা Jigaro Kano (জিগারো কানো) অত্যন্ত  দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন। প্রথম জীবনে তিনি জুজুৎসুতে আসক্ত ছিলেন এবং কৈশোরে Tenjin-shin'yo Ryu এর জুজুৎসু শিক্ষার্থী ছিলেন। কয়েকবছর পর তিনি যখন সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক তখন Kito Ryu এর শিষ্যত্ব বরণ করেন।  কানো লক্ষ্য করেন যে ঐ সকল জুজুৎসু যুদ্ধজয় নির্ভর, চর্চা করা খুবই কষ্টকর এবং সঠিক ভাবে পরিচালনা না করতে পারলে মারাত্মক ইনজুরি সম্ভাবনা থাকত  এবং প্রতিপক্ষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতো। তাই তিনি সাধারন মানুষের কথা বিবেচনা করে শুধুমাত্র কার্যকর ও সহজে করা যায় এমন সব টেকনিকের সমন্বয়ে একটা নতুন স্টাইল/ধারা দাড় করানোর চেষ্ঠা করলেন, যা একদিকে আত্মরক্ষার কৌশল অন্যদিকে শরীরকে সুস্থ সবল নমমনীয় রাখতে সহায়তা করবে।  এছাড়াও তিনি প্রচলিত জুজুৎসুর অপব্যাবহারে চিন্তিত ছিলেন ও চর্চাকারীদের কিছু মূল্যবোধ, নৈতিকতার সাথে একমত হতে পারছিলেন না। ফলে তিনি নতুন ধারা প্রবর্তনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।




Picture: Jigoro Kano, the founder of judo. 

Tenjin-shin'yo Ryu ঘরনা থেকে তিনি Katame-waza (Grapping Techniques) যেমন Hon-kesa gatame, Nami-juji-jime, Ude-garami আর Ate-waza (Striking Techniques) যেমন Age-oshi, Yoko-uchi, Ushiro-ate ইত্যাদি ধার ও উন্নতি করেন।অন্যদিকে Kito Ryu স্টাইল থেকে তিনি সাধারন সুস্থতার ব্যায়াম এবং Nage-waza (Throwing Techniques) যেমন Tai-otoshi, Uki-koshi, Hiza-guruma, Tomae-nage, Uki-waza ইত্যাদি ধার করেন।  কানো প্রচলিত ধ্রুপদী মার্শাল আর্টের কাতাগুলো অধ্যয়ন করে তার সাথে নিজস্ব চিন্তার মিশেল ঘটিয়ে যেগুলো গতিবিদ্যা ও প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে বেশী সামঞ্জস্যপূর্ণ সেগুলো গ্রহন করেন।

Chikara Kurabe এর ভূমিতে কুপোকাত করার কৌশল বা Katame-waza যা তখন Sumo (সুমো) এর মাধ্যমে প্রচলিত ছিল তার উপর গবেষনার জ্ঞান তার কোডকান জুডো তৈরিতে সহায়তা করে এবং এ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তিনি জুডোর মূলনীতি "The Principle of Maximum Efficiency" তত্ত্বে উপনীত হন; যাকে তিনি বর্ননা করেছেন শরীর ও মনের সর্বোচচ সক্ষমতায় বের করে আনা এবং ব্যাবহার করা।

১৮৮২ সালে কানো তাঁর বুদ্ধিজাত সন্তান, সংশোধিত জুজুৎসু, সর্বসমক্ষে নিয়ে এলেন এবং নাম দিলেন Judo (জুডো)। Jikishin Ryu ঘরনারও জুডো নামে একটি ধারা শতাব্দীকাল থেকেই প্রচলিত ছিল। এই দুই জুডো যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় তাই তিনি Eishoji নামকে মন্দিরে কোডকান (জুডো শিক্ষার প্রতিষ্ঠান) স্থাপন করলেন। আর এভাবেই কোডকান জুডো স্থাপিত হল।

প্রকৃত অর্থে কানো প্রচলিত জুজুৎসু থেকেই প্রাথমিক শিক্ষাপ্রনালী, ব্যায়াম, কৌশল, গোপন কৌশল, মূল্যবোধ, বাধা নিষেধগুলো গ্রহণ করেন। শুধু প্রয়োজন অনুসারে তিনি সেগুলোর সংযোজন, বিয়োজন, সংশোধন করেন।  কানো জুডো সৃষ্টির জন্য তার পুরানো শিক্ষার ঘরনা Tenjin-shin'yo Ryu ও Kito Ryu এর উপর বিশেষভাবে নির্ভর করেছেন।

কোডকান জুডোর পথ চলেছে ধীরে ধীরে অগ্নুৎপাতের মত নয়।  ইউরোপের রেনেসাঁর মতো ১৮৬৮ সালে জাপানে "The Meiji Restoration" নামে একটি ঘোষনাপত্র জারি হয়,  যা ছিল জাপানের সবচেয়ে বিপ্লবাত্মক সমাজ পরিবর্তনের ডাক। এটি জাপানকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্যে পাশ্চাত্য সভ্যতার সমকক্ষ্য করে তোলে। সকলের জন্য শিক্ষা ছিল এর অন্যতম আহবান।  সম্রাট Meiji নাগরিকদের আদেশ করেন যেখান থেকে পারো জ্ঞান আহরণ কর তা পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকে হোক না কেন। এই বুবুক্ষা  নাগরিকদের চারপাশে ছড়িয়ে দেয়।  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাকে পাশ্চাত্য শিক্ষার আদলে সাজানো হয়; উচ্চশিক্ষায় পাশ্চাত্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেল গ্রহণ করা হয়।  কানো এ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের সদ্ব্যবহার করেন।  তিনি জুডোর সাথে নীতিশিক্ষা, শারীরিক শিক্ষা,  কঠোর নিয়মকানুন পালন, যোগ করে নতুন মাত্রা যোগ করে শাসকের কাছে পেশ করেন এবং তা Meiji সম্রাটের কাছে শারীরিক শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে অনুমোদন লাভ করে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনান্য প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়ে।  রাজক্ষমতা পক্ষে না থাকলে  জুডোর এ সপ্রসারন  সম্ভব হতো না।

তখন কানো নতুন কাতা সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন যেমন Ju no Kata, Seiryoku Zen'yo Kukumin Taiiku.  কোডকান তিনটি লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলঃ
১) শারীরিক উন্নতি
২) মন নিয়ন্ত্রন
৩) আত্মরক্ষা ও যুদ্ধজয়।

১৮৮৯ সালে জুডো সম্পর্কে কানো বলেন,
"Judo is the study of techniques with which you may kill if you wish to kill, injure if you wish to injure, subdure if you wish to subdure,  and when attacked, defend yourself. "



Bibliography:


Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp.20-23.



x

Saturday, May 12, 2018

জুডো কাতার ইতিহাস (২)

সে সময় যারা বিভিন্ন ধরনের কৌশল ও সমরাস্ত্র নিয়ে গবেষনা করে কার্যকরী অস্ত্র আবিস্কার করত তাদের Bushi বলা হত। এরা ছিল পেশাগত ভাবে যোদ্ধা। তারাই ক্লাসিকাল মার্শাল আর্টের জনক। বারশো শতাব্দীতে যখন জাপানে শাসনভার রাজতন্ত্র থেকে ক্ষত্রিয়দের হস্তাগত হল তখন পেশী শক্তির পরীক্ষা, শারীরিক সক্ষমতা, দ্বন্দ্ব যুদ্ধে পারদর্শিতা নেতৃত্বের মাপকাঠি হয়ে উঠল। কোডকান জুডোর কাতার উপর প্রভাব পড়েছে ঐ সময়ে প্রচলিত Yoroi kumi-uchi নামে একধরনের হাতাহাতি যুদ্ধ যেখানে প্রতিপক্ষ বর্ম, শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হত। এখানে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন মার্শাল আর্টের দাচি (পায়ের অবস্থান), আঘাতের কৌশল, পিছু হাটার কৌশল ব্যাবহার করতেন।
ধ্রুপদী এসব কৌশল গড়ে ওঠার সময় তাগড়া তাগড়া, শক্তিমান, খ্যাতিমান মার্শাল আর্টিস্টদের নিজ দলে ভিড়িয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী সমাজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করত। এর ফলে ষোড়শ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত হাজার হাজার ঘরনার মার্শাল আর্ট গড়ে উঠল। এই এক একটা ঘরনাকে Ryu নামে অভিহিত করা হত। যে সকল Ryu অস্ত্র ছাড়া খালিহাতে প্রতিপক্ষকে ধরাশয়ী করত যেমন Yoroi kumi-uchi, Kumi-uchi, Kogusoku, Koshi no mawari, Yawara-ge, Yawara-gi, Hakuda, Shubaki, Kempu, Taijitsu, wajutsu, & torite এর কোডকান জুডোর কাতা সৃষ্টিতে দারুন অবদান রয়েছে।


Picture: Two warriors engaged in yoroi kumi-uchi on battlefield.
Nineteenth-century woodblock print by Ichieisai  Yoshitsuya, from the Draeger collection.

সপ্তদশ শতাব্দীতে জাপানী শাসন ব্যাবস্থায় স্থিতিশীলতা ফিরে আসে। সে সময় Tokugawa পরিবারের রাজত্বকালে ক্ষত্রিয়রা তাদের গুরুত্ব হারায় এবং মার্শাল আর্ট একটি উৎপাদনহীন অর্থহীন কাজে পরিনত হয়। মেধাভিত্তিক ঐ সমাজ বিবর্তনে এ শরীর নির্ভর শ্রম ধ্বংসমুখে পতিত হয়। সামাজিক স্তরবিন্যাসের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ক্ষত্রিয়রা দ্বিতীয় স্তরে অধঃপাতিত হয়। এ সময়ে সাধারন মানুষের ধর্মীয় আবেগ ও Spiritual চিন্তা দ্বারা প্রতাপাদিত্য এ শিল্পটি প্রতিস্থাপিত হয়।

যে সকল মার্শাল আর্ট সর্বনিম্ন অস্ত্র ব্যাবহার করে শুধুমাত্র পেশীশক্তির দ্বারা শত্রুকে পরাজিত করত তাদের সাধারনভাবে জুজুৎসু নামে অভিহিত করা হত। তবে এ ধরনের পদ্ধতিকে যোদ্ধারা দ্বিতীয় শ্রেনীর মনে করত। তাদের প্রথম পছন্দ ছিল তলোয়ার শিক্ষা। যেহেতু ক্ষত্রিয়রা তাদের মর্যাদা হারিয়েছে, সাধারন মানুষ ক্ষমতায় তাই এ ধরনের কৌশল ক্ষমতাসীনদের বিনোদনে পরিনত হল। যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে জুয়ার আসরে, পতিতাপল্লীর রঙ্গলীলায়, সামাজিক অনুষ্ঠানে এ জুজুৎসু সাধারন মানুষের বিনোদনের মাধ্যমে হয়ে উঠল।


Picture:The sumo technique of uchi-gake (the inner hook). 
Late nineteenth-century woodblock print from the Draeger collection.  

ঊনবিংশ শতাব্দী নাগাদ জুজুৎসুতে এমন ধরনের কৌশলের বাহার ছিল যে তা অস্ত্রহীন কিংবা অস্ত্রধারী উভয়ের বিরুদ্ধে সমানভাবে কার্যকর ছিল। এ সময় এটি এমনভাবে বিস্তার লাভ করে যে তাদের মধ্যে পেশাগত ঈর্ষা ও কৌশল সংযোজন-বিয়োজনের ফলে তা বিভিন্ন ঘরনার জুজুৎসুতে বিভক্ত হয়ে পড়ে। চর্চাকারীরা নিজের মত করে এর উন্নতি, সম্প্রসারণ করতে থাকে; ফলে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এসে জুজুৎসুর প্রায় ৭০০টি স্টাইলের উদ্ভব হয়। এ বিভক্তিকে সে সময়ের জাপানী সমাজের ভাব ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। 

ঐতিহ্যগতভাবে জাপানের প্রত্যেকটি ধ্রুপদী মার্শাল আর্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ ছিল। বহু বছরের সাধনায় একজন শিক্ষার্থী এক ঘরনায় পারদর্শী হত। ঈর্ষা, ত্যাগ, শ্রম, অধ্যবসায়ের ফলে সে পরিপূর্ণ যোদ্ধা ও অভিজ্ঞতায় ভরপুর হয়ে উঠত। তখন কাতাই ছিল একমাত্র নিরাপদ মাধ্যম যাতে যোদ্ধারা নিজেদের যাচাই করতে পারত। সাধারন চর্চা কোন চর্চা হিসেবেই গন্য করা হত না। প্রত্যেকটা প্রশিক্ষণ ছিল এক একটি যুদ্ধক্ষেত্রের সমান বিপদসংকুল। কাতার মাধ্যমে শিক্ষার্থী আক্রমণের ধরন, প্রতিআক্রমণ, প্রয়োজনে পিছুহাটা আবার আগ্রাসন চালানো, আঘাতের সাথে নিজে মানিয়ে নেওয়া, শত্রুকে কুপোকাত করা, প্রয়োজন অনুযায়ী শরীরের বিশেষ অঙ্গের দক্ষতার উন্নতিসাধন ও সাহস অর্জন করত । এককথায় "By harmonizing himself in this fashion, the warrior embodied the nobility of his spirit."

একপক্ষ মনে করত কাতা নয় প্রকৃত রণক্ষেত্রই হল আসল জ্ঞান আর অভিজ্ঞতার উৎস। আর সে রণক্ষেত্রের প্রস্তুতির জন্য নিজের মধ্যে বুদ্ধিদীপ্ত কার্যকরী কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেকে শানিত করত। কেউ কেউ আবার বলতেন কাতার শিল্পমূল্য আছে কিন্তু বাস্তবে এটি কিছু অঙ্গের নাড়াচাড়া আর কিছু না, এটি প্রদর্শনীতে দৃষ্টিনন্দন কিন্তু রনক্ষেত্রে অকেজো অথর্ব।
 


Bibliography:

Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp.16-20.

Friday, May 11, 2018

জুডো কাতার ইতিহাস (১)

জুড়োর কাতা, ধুপধাপ থ্রো। যাইহোক জাপানের ইতিহাসের মত এই জুডো কাতার ইতিহাসও পুরানো।এই কাতাতে জাপানী সংস্কৃতি, স্থাপত্যকলা, যুদ্ধকৌশল, শিল্পসাহিত্য, ধর্মসহ সকল ধরনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক রূপ বৈচিত্র্যের ছাপ পড়েছে। জাপানী জনগন যুদ্ধকৌশল ও অস্ত্রশস্ত্রকে সবসময় গুরুত্বের সাথে দেখে থাকে। সেখানে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ধরনের মল্লযুদ্ধের যে রেকর্ড পাওয়া যায় তা হল "Nihon Shoki" এ লেখা কথাবার্তা যা খ্রিস্টপূর্ব ৭২০ অব্দে লেখা হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে যে সে যুগে জাপানে "Chikara Kurabe" (Strength Comparison) নামে এক ধরনের দ্বন্দ্বযুদ্ধ হত যেখানে দুই যোদ্ধা উলঙ্গ বা কাছামারা অবস্থায় নিজের ও সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষায় জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করতো, হারলে গোত্রের মর্যাদা চলে যেত আবার কখনো কখনো যোদ্ধাকে মেরেও ফেলা হত। এ ধরনের আরো খালি হাতের দুইজনের যুদ্ধের অনেক দলিলপত্র পাওয়া যার জ্ঞান প্রজন্মান্তরে আজও সঞ্চারিত হচ্ছে। পরবর্তীতে এই যোদ্ধারাই জাপানী সমাজের একটি অভিজাত শ্রেনীতে পরিনত হয় এবং সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে, যা ঊনবিংশত শতাব্দীর শেষভাগ পর্যন্ত বজায় ছিল।

Picture: Chikara Kurabe, an ancient combat
method. Nineteenth-century artwork
from the Draeger collection.

Bibliography:

Otaki, T., & Draeger, D. F. (1983). Judo: Formal techniques: A complete guide to Kodokan randori no kata. Shinagawa-ku, Japan: Tuttle Publishing. pp. 15-16. 

Monday, May 7, 2018

ভ্রমণে যৌনতৃষ্ণা বৃদ্ধি পায়।  

ও ছোট দেওরা রে-

ও ছোট দেওরা রে-
প্রেম করিতে যদি চাও
বাপ-ভাই ছাড়ান দাও (হে)
আর ছাড় এই দ্যাশের বসতি (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
ভাসুর শ্বশুর শুইয়া থাকে
উঁচা ডোরা বড় ঘরে (হে)
আমি থাকি ঐ না ভাঙ্গা ঘরে (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
মোর সোয়ামী গাঁজাখোর
সাইজা দেওরা ঘুমে ভোর (হে)
ছোট দেওরা রসিকা নাগর (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
পাখির ভালো গান সরলা
নারীর ভালো চিকন কালা (হে)
পুরুষ ভালো রসিকা নাগর (হে)।।

ও ছোট দেওরা রে-
ভুঁই নষ্ট আড়াইলা ঘাসে
নারী নষ্ট গাঙ্গের ঘাটে (হে)
পুরুষ নষ্ট শহর-বাজারে (হে)।।

(সংগ্রাহক - জসীম উদ্দীন)


Saturday, April 28, 2018

'পরকীয়া উপপাদ্য'


যে যাই বলুক পরকীয়া একটা শিল্প। অপরাধ জগতের মত পরকীয়ারও নির্দিষ্ট শব্দকোষ, উপমা, উপমান, রূপকল্প রয়েছে। পরকীয়া প্রেমিকের তুলনায় প্রেমিকা মারাত্মক রকমের সাহসী হয়ে সগর্বে নাগরকে আহ্বান জানিয়ে বলে,
"আমার বাড়ি যাইতে বন্ধু কিসের কর ডর?
ভাসুর আমার গাঁর চৌকিদার শ্বশুর দফাদার।" 
কিংবা ভাজা মাছ কোন শিকায় আছে তাও তো বিড়ালকে সেই দেখায়।
আর পরকীয়া প্রেমিকও কম যায় না, প্রচন্ড বৃষ্টি মাথায় করেও সে আঙিনায় হাজির হয় আর তার দেখে নায়িকা বিগলিত হয়ে বলে ওঠে,
"আঙিনার মাঝে বঁধুয়া ভিজিছে দেখিয়া পরাণ ফাটে।" আর সে ফাটাফাটি যে কোন পর্যায়ে যায় তা উদো আর বুঁদো ছাড়া আর কেউ জানে না।
জসীমউদ্দীনের রাখালী গান বৈষ্ণব পদাবলীর তুলনায় বেশী হট। প্রথমটায় বেড়ায় টোকা দেওয়া ব্যাপারটা তো সেই লাগে।
(তরলা বাঁশের কওড়ার বাওই
টোকা দিলে নড়ে
ওরে সাবধানেতে দিওরে টোকা
ভাসুর শ্বশুর জাগে।)
অনান্য ক্ষেতখামারির ব্যাপারটা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না, ছোট মানুষ তো।
শুনেছি পরকীয়া, অশ্লীল গান শুনলে বেশী শক্তি পাওয়া যায়। যেমনটা পুকুর থেকে গাড়ি টেনে তোলা শ্রমিকদের মুখে শুনেছিলাম,
"একটা নারীর তিনটি নাং
ডিস্টিক হল চিটাগাং
নারীর গুদে সর্বসুখ
ডিস্টিক হল ফরিদপুর।"

ভালোবাসা মানে ক্যান্টিনের ঐ কোন
তুমি আর আমি গোপন প্রিয়জন।
ভালোবাসা মানে আবছা অন্ধকার 
তোমার আমার হাতের উপর হাত।

বাঁশি

নিশি রাতের বাশি রাঁধাকে ডাকে গলায় দিয়ে ফাসি। রাধিকার তো চিরদিনই অভিসার পছন্দ তাইতো সে সিঁথির সিঁদুর, চোখের কাজল প্রিয়তমকে সপে এসে বলে, স্নান করতে গিয়ে সব ক্ষয়ে গিয়েছে কিংবা শাশুড়ি যখন জিজ্ঞেস করে অকারনে মশারি কেন নড়ে? সে বলে "গোল করিস না গোল করিস না বিলাই ইঁদুর ধরে।"
আর পিঠে মাটি ও চুল এলোমেলো হওয়ার জিজ্ঞেস করলে বলে গোয়াল ঘরে গরুতে মারছে ছাটি। 
যাই হোক এতো সব বাঁশির কাজকর্ম তো আর আমি বুঝি না কিন্তু সে বাঁশির সুরে ঘুম ভাঙলে ঠিকই বুঝি কি করতে হবে। গতরাত তিনটায় ছাদে গিয়ে একজন ঐ ফুটোওলায়া যন্ত্রে সুর তুলেছে "নিশিতে যাইও ফুল বনে রে ভ্রমরা
নিশিতে যাইও ফুল বনে রে ভ্রমরা......"
ঘুম থেকে উঠে তার পাশে গিয়ে আমিও গান ধরলাম
"নিশিতে থাপড়াইবো তোমার গালে রে ভ্রমরা
"নিশিতে থাপড়াইবো তোমার গালে রে ভ্রমরা
......."
কয় ভাই ভুল হয়ে গেছে।
ভুল হয়ে গেছে মানে কি? শালার পুত বাশি বাজাবি বাজা, লোকালয়ের বাইরে গিয়ে সরিষা ক্ষেতের ভিতরে গিয়ে বাজা এখানে কি?

ভালো ছেলের সংগাঃ A friendzone Survey.


১.যে যত বেশী creative, innovative, inventive, dynamic সে তত বেশী ভালো ছেলে। সে গালিগালাজ করুক, উগ্র হোক, মেয়েবাজি করুক, কাউকে সম্মান না করুক তাতে কিছু আসে যায় না।
২. রাস্তায় মুখ নিচু করে হাটে, মেয়েদের পায়ের দিকে তাকায়, গাঞ্জা খায় না, মধ্যরাতের পরে আর এক্স দেখে না, স্বপ্ন দূষন হলে নিয়মিত স্নান করে ইত্যাদি, এটাই ভালো ছেলের লক্ষণ।
৩.একটা ভালো ছেলের বড় গুন হল Honesty. 
৪. যারা মেয়েদের আশা আকাঙ্খা ঠিকঠাক মত পূরণ করতে পারে তারাই ভালো ছেলে।
৫. যারা ভালো জব করে তারাই ভালো ছেলে।
৬. ভালো আচার আচারন হবে, খারাপ কাজ করবে না সেইতো ভালো ছেলে।
......(চলবে)
:- নেশা! আমি যদি মানুষ না হয়ে তোমার ওড়না হতাম তাও জীবন সার্থক হত। 
:- তাহলে ব্লিচিং পাউডার দিয়ে কেচে কেচে তোমাকে শাস্তি দিতাম।

আধুনিক শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

চন্ডীদাস যদি এখন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন লিখতেন তাহলে কানাই হত মিরপুর লিংক কিংবা রাজা সিটি পরিবহনের বাসের হেল্পার আর রাই হত কমার্স কলেজ কিংবা সিটি কলেজের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। প্রতিদিন বাসে যেতে যেতে আর মেট্রোরেলের কল্যানে জ্যামে বসে থাকতে থাকতে প্রথমে চোখাচোখি খন্ড তারপর ভাবখন্ড। এরপর পর্যায়ক্রমে আইসক্রিম/ফুসকা খন্ড, রেস্টুরেন্ট খন্ড, দানখন্ড, বাপমায়ের পিটানো খন্ড, হেল্পারবিরহ খন্ড অবশেষে বাড়ির পাশে বাঙলাস্কুল বদলি খন্ড লিখিত হত।
ড্রেস দেখে মানুষ যাচাই কর? মারা খাবা মারা
ক্যান্টিনে খাবার নাই; A bolt from the blue!
আগে না জেনে মজিলাম পিরীতে, এখন বুঝছি "পীরিতেরই এমনি জ্বালা আমার সোনার বরণ হইল কালা।"

ইন্টেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিজীবী!

ইন্টেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিজীবী! ইহারা বালকে তালগাছ বানাতে কিংবা স্বাভাবিক নিয়মে ঝরে পড়া শক্তিবর্ধক হালুয়া বিক্রেতার গূহ্যদেশের লোমকে যেভাবে বর্ননা করতে পারেঃ-
১. বালটি এভাবে নিহত হওয়ার পেছনে Animal Farm এর Snowball এর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। 
OR
২. এ বালটি মেঘনাধকে বধের সময় তাঁর অঙ্গ থেকে খসে স্বর্গে চলে গিয়ে ঊর্বশী-রম্ভাদের বালের সাথে মিলেমিশে বসবাস শুরু করে। পুরানো স্মৃতি মনে করে এটি এখন এ ভবে ঘুরতে এসেছে বলে আমরা মনে করি। 
OR
৩. এ বালটি হচ্ছে অস্ট্রালোপিথেকাস আফারেনসিস নারী লুসির; ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়ার আওয়াশ উপত্যকার হাডার অঞ্চলে যার ফসিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। কার্বন টেস্টের মাধ্যমে আমরা এটি নিশ্চিত হতে পেরেছি।
AT LAST
সিদ্ধান্তঃ ইন্টেলেকচুয়ালদের মুখটা সানি লিওনের গোয়ার মতো কখন যে কি ঢুকে বা বের হয় ঠিক বোঝা যায় না।
এতো আন্দোলনের মাঝে সুসংবাদ বেগুনের তরকারিটা ভালো হয়েছে।
নেশা যদি এভাবে অভিমান করে সবকিছু আমাকে দিয়ে দিতো।
অজুহাত একদিন মায়ের হাতের মত উদার হবে কিন্তু সেদিন তো আর উপযোগিতা থাকবে নারে ময়না।
দুপুরের খামাখা খেয়ালঃ-
তুমি যদি আমের আঁঠি হতে উল্টেপাল্টে চেটেপুটে খাওয়া যেত।
নববর্ষের সকল সৌন্দর্য নারী, পহেলা ফাল্গুনের সকল রঙ নারী, ভ্যালেন্টাইনের সকল রূপ, ভালোবাসা নারী, এক কথায় সকল উৎসবের রঙ, রঙ্গ, অঙ্গ আবির্ভূত হয় নারীর রূপকে কেন্দ্র করে। একরাশ বেদনা তাদের জন্য যারা আজ প্রেয়সী কিংবা অর্ধাঙ্গিনী ছাড়া ঘুরবে আর চারপাশে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকবে। যাই হোক সবাইকে "শুভ নববর্ষ"।
সামনের সারিতে বসা ব্যাকলেস আপুর বেখেয়ালে বেরিয়ে পড়া কালো ফিতার কসম, FBS এর বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটা জোশ হইছে।
জ্বালার উপর জ্বালা সই
জ্বালার উপর জ্বালা।
জলকে যাই পথ না পাই
বসন টানে কালা।।
সরম কর‍্যা ভরম কর‍্যা
বসন দিলাম মাথে।
সকল সখীর মাঝে কালা
ধরে আমার হাতে।।
রস করিতে জানে যদি
তবে সে মনের সুখ।
গোপত কথা বেকত করে
এই সে বড় দুখ।।
চলমল্যাকে চতুর বলি
হেটমুড়্যাকে জপু।
রস জানিলে রসিক বলি
নৈলে বলি ভেপু।।
লোচন বলে আলো দিদি
ইহা বললি কেনে।
কালার সমান রসিক নাই
এ তিন ভুবনে।।
(পদকর্তা লোচন দাস, বৈষ্ণব পদাবলী, শ্রীহরেকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত, পৃষ্ঠা ৪৮৩, সাহিত্য সংসদ, ২০১৫)

একাকীত্ব

বসন্ত গিয়ে আসা এ বৈশাখে হটাত করে চারপাশে এতো মানুষ তবু কেন একাকীত্ব অনুভব করছি? জানি না। কিছুই জানি না। চোখের সামনে কি সব গুন্টার গ্রাসের কবিতা কাগজে ছাপা হয়ে আছে, আছে আরো কিছু লেখকের কবিতা, কত অক্ষর, দুফুট দূরে দূরেই মানুষ তারপরও হটাত করে কেন এ একাকীত্ব বোধ? কবিতা চিরদিনই এভাবে আমাকে উদাস করে দেয়; বিশেষ করে বিরহের কবিতা, তাই আমি সবাইকে বলি আমি কবিতা বিদ্বেষী। একাকীত্বও অনুভব, উপভোগ করা যায়, একটা শান্তি আছে এতে, এখানে শুধু আমি, একাকী আমি, আমার আমি।
আমার বহুর ভিড়ে তুমি ছিলে বহুব্রীহি,
তোমার বহুর ভিড়ে আমি ছিলাম Ordinary.
তাই হয়তো কোনদিন সাড়াই দেওনি অথচ প্রতিটি ডাক তোমার দুয়াব পর্যন্ত গিয়েছিল।

চাণক্য।

"জ্ঞানী আপন দারিদ্র, মনের দুঃখ, গৃহের কলঙ্ক, নিজের বঞ্চনা এবং অপমানের ঘটনা অন্যের কাছে প্রকাশ করেন না।"
"কলম, পুস্তক এবং স্ত্রী অপরের হাতে গেলে তা চিরকালের জন্য চলে যায়। যদি বা পুনরায় ফিরে আসে তাহলে ভ্রষ্ট, নষ্ঠ এবং ধর্ষিত অবস্থায়।"
"দুর্জন ব্যাক্তির সাথে শত্রুতা কিংবা বন্ধুত্ব কিছুই করা উচিত নয়। কারন কয়লা গরম হলে হাত পুড়িয়ে দেয় আর শীতল হলে হাতে কালি লাগায়।" 
রোমান্টিকরা (গূঢ়ার্থে কিপটারা) মার্কেটে গেলে গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরে রাখে আর প্রকৃত ভদ্রলোকেরা গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফকে আগে দিয়ে নিজেরা পিছনে চলে
সতীনে সতীনে সম্পর্ক ভালো হতে পারে কিন্তু ভাড়াটিয়া বাড়িওয়ালা সম্পর্ক কোনদিনও ভালো হবে না। বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াকে ভাবে রিফিউজি আর ভাড়াটিয়া ভাবে তোর মত ছাগলরে আমার গ্রামের বাড়ির চাকরও রাখি না।
হাটতে হাটতে ১২নাম্বার পর্যন্ত চলে গিয়েছিলাম, উঠলাম ফিরতি বাসে, উঠেই অপ্রস্তুত। ছয় নাম্বার সিটে কপোত কপোতী দুটো মনের কথা বলছে, চোখ অন্যদিকে ফিরিয়ে বাস থেকে নেমে গেলাম। মন গর্বিত হয়ে হয়ে উঠল, কত love friendly আমি! তারপরেও নেশা রাজি হয় না। রাজি হলে বাংলাদেশ-নেপাল ভলিবল খেলা না দেখে এই সুন্দর সন্ধ্যায় হারিকেনের আলো জ্বালিয়ে দুজনে আঁচিয়াখুটি খেলা যেত।
পিছনের সিটে ঝগড়া লেগেছে, মেয়েটি বারবার ধমক দিচ্ছে, "তুমি আমাকে টাচ করবা না", "কোনদিনও আর ছুঁবা না"। 
বুঝি না প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে টাচফাস আবার কি জনিস? 
টাস করে শব্দ হল! বুঝলাম না কিসের। উঁহু!
আমার এই যাদুর শহরে
নিশিফুলের গন্ধে আসে নিশিকুটুম ঘরে। 
নেশা কেটে যায় যে চলে 
আবার আসে জোয়ারে।
বৃষ্টির দিনে নেশার বাড়ির সামনে গেলাম ফুচকা নিয়ে। নেশা বারান্দায় এলো, ডাক দিলো "ঐ ফুচকাওয়ালা মামা।"
"ঐ শালী কারে মামা কস? ভাতার ক ভাতার, ফুচকাওয়ালা ভাতার।"
আপনি জানেন কি? কুকুরের কান ধরে টানলে সে সামনে এগুবেই না বরং ওখানেই শক্ত হয়ে বসে থাকবে।
শুনেছি সবিতা ভাবীর বর তেমন পুরুষই নয় তারপরেও নাকি তিঁনি পোয়াতি!
কালোজিরার তেল বিক্রেতার মেয়ের সাথে জোঁকের তেল বিক্রেতার ছেলের বিয়ে; সুস্থ সবল নীরোগ দম্পতী ।
নেশা সালোয়ার উঁচু করে রান্না করছে, বললাম "তোমার পা দুটো তো দারুন সেক্সি।"
নেশা :- হাতের গরম খুন্তি আরো সেক্সি। 
(শালা! লেজ গুটিয়ে পালায় আসলাম।)
প্রেমিকের ঘাম প্রেমিকার কাছে মধু মধু লাগে; অন্যসবাই বলে কাছ দিয়ে যাওয়া যায় না।
জুটিগুলো বসে থাকে দেখি মেয়েগুলো চুমু খাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে আর ছেলেগুলো মাঝে মাঝে দয়া করে আর মেয়েগুলো প্রানভরে তা উপভোগ করে । আহা!
আমার সেন্সি Shamsher Alam বলেছিলেন (আমার জবানীতে বলছি, বেশ কিছুদিন আগের কথা তাই স্মৃতিলোপের ফলে কোটেশন করতে পারছি না) "এমন কোন স্টাইল বা কোনকিছু করা উচিত নয় যা প্রতিপক্ষ চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়।" এটা শুধু মার্শাল আর্টের ক্ষেত্রেই নয় অভিজ্ঞতায় দেখেছি জীবনের সব ক্ষেত্রেই কথাটা সত্য। যখন একপক্ষ অন্যপক্ষকে গর্ব করে ভাব দেখায় 'উম আমি এটা পারি ওটা পারি, তুমি আমার সাথে পারবা না, কাউকে অদক্ষ বলে অবজ্ঞা করে, হেয় প্রতিপন্ন করে', তখন তা অপমানিতপক্ষের ইগোতে চরমভাবে আঘাত করে। তার বা তাদেরও তো বডি রিসোর্স, হিউম্যান রিসোর্স, ইকোনমিক স্টেন্থ, ইন্টেলেকচুয়াল জাজমেন্ট, প্রশিক্ষণ নিয়ে উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে, তারা ছেড়ে কথা বলবে কেন? বা ছেড়ে দেবে কেন? ঠিকই জবাব দিয়ে দেয়। (কারো গর্ব চূর্ন করতে মানুষের একটু অতিরিক্ত মজা লাগে।) মানুষ চায় সম্মান, তার প্রতিভার স্বীকৃতি, শ্রমের মর্যাদা; আর তার অবমূল্যায়ন তাকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ইউনিভার্সিটিতে মানবাধিকার ও ন্যায় বিচার নামে একটি কোর্সে সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার থেকে শুধু করে জাতিসংঘের সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষনাসহ অনান্য দলিল পাঠ্য ছিল কিন্তু সেন্সির ঐ কথাটি কেন জানি মনে দাগ কেটে গেলো। কথাটি মনে হলেই নিউরোনে খেলা করে "Always RESPECT your opponents. Allow personal FREEDOM. Hate criticism & LOVE humanity." মানবপ্রেম বড় প্রেম; সমালোচনা, চ্যালেঞ্জ শত্রু আর কলহ বৃদ্ধি করে, পতন ঘটায়।
আজ রানা প্লাজা ট্রাজেডির পঞ্চম বার্ষিকী। রানা প্লাজা নিয়ে তৈরি একটা ডকুমেন্টারির সাবটাইটেলের কাজ করেছিলাম তারপর থেকে আর আলতুফালতু প্রডাকশনের কোন ডকুমেন্ট দেখি না। 
(সেটা নাকি ILO তে পাঠানো হয়েছিল। এই খবর শোনার পর মনে হয়েছিল ল্যাপটপটাই অপবিত্র হয়ে গেল। মানুষের জীবন নিয়ে ওরা তামাশা করে! ছিঃ)
আপনার প্রেমিকা/স্ত্রীকে এন্টিপরকীয়া ভ্যাকসিন দিন অথবা যেকোন সময় আপনিও গুম/খুন হয়ে যেতে পারেন।
বানরখেলা এবং পুতুলনাচ দুটোই সমাজকে বিদ্রুপ করে একশ্রেণীর মানুষের চরিত্র দেখিয়ে দেয়। এই বানর বা পুতুলদের আমি বলি AIA (Artificial Intelligent Agents). এরা যেন ক্লোন করা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর প্রতিনিধি। যাইহোক বানর নাচ আমার ভালো লাগে।
এ অঞ্চলের রাস্তা এবং নদীগুলো যেমন আঁকাবাঁকা মানুষের মনও তেমনি আঁকাবাঁকা। মনে হয় এ নদী আর রাস্তাগুলো যেন এর চারপাশের বাসিন্দাদের সমন্বিত মন মানসিকতার প্রতিচ্ছবি।
সুন্দরীদের যদি গোটাদশেক গুণগ্রাহী নাই থাকে তাহলে সে আবার কিসের সুন্দরী?
কলঙ্ক কিছু না থাকলে কপালে শোভা পাবে কি? কলঙ্ক টিপ, কাজল কিংবা লিপিস্টিকের মত সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সাজ ছাড়া রমনীবদন যেমন ম্লান তেমনি বিতর্ক আর কলঙ্ক ছাড়া ব্যাক্তিত্ব লবন ছাড়া ভাতের মত কিংবা জ্বালানি ছাড়া রকেটের মত।
অসুস্থ হলে মায়ের কথা, বাড়ির কথা মনে পড়ে। হেলেঞ্চা শাক দিয়ে পুটি মাছ খেতে ইচ্ছা করলে মায়ের কথা মনে পড়ে। শালার শহর আর ভালো লাগে না। অসুস্থ হয়ে মনে হচ্ছে একটা থ্রি নট থ্রি রাইফেল পাইলে নিজের মাথায় নিজেই গুলি করে ঘুলি উড়িয়ে দিতাম।
গরীবের বউ যদিও সবার ভাবী হয়, গরীবকে কিন্তু অপজিট জেন্ডাররা ভাসুর/শ্বশুর মনে করে।
বিশেষ অঞ্চলের মানুষ পানিকে হানি বলে, দুই ঘন্টা জ্যামে আটকে থেকে শাহবাগ নেমে যখন এক গ্লাস পানি খেলাম তখন মনে হল ইহাকে শুধু Honey নয় সঞ্জীবনী সুধা বলা দরকার।

তাই হাল ছেড় নাকো বন্ধু, কখনো না।

সাড়ে তিনটার দিকে জিমনেশিয়ামে যেতাম মাঝে মাঝে এক আপুকে দেখতাম একই মলিন ইস্ত্রি ছাড়া জামা একই স্যান্ডেল পরে দিনের পর দিন সাইন্স লাইব্রেরী থেকে আজিমপুরের দিকে যেতে। (ঐ একটি জামা ছাড়া দ্বিতীয় কোন জামা পরা অবস্থায় রাস্তা দিয়ে হেটে যেতে আমি দেখিনি।) এখন ওঁনার পাহারায় থাকে দ্বিতীয় শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তা। 
ক্ষুধায় তাড়নায় প্রিয় উপন্যাস বিক্রি করে দেওয়া বড়ভাই প্যারিস থেকে বব ডিলানের ক্রনিকল বইটি এনে দিয়েছিল গত অক্টোবরে। 
শ্রমের প্রত্যেকটা ঘামের বিন্দু প্রতিদান দেয় আর দারিদ্র্য একদিন জয়মালা হলে গলায় ঝুলে পড়ে। তাই হাল ছেড় নাকো বন্ধু, কখনো না।

Wednesday, March 28, 2018

আমিও অটল তুমিও অটল
তাইতো মাঝে ধরলো ফাটল
মেয়ে মানুষ কোন ভাবে যদি একটু ভালো পজিশনে যায় তাহলে সে তার নিন্মমর্যাদার মানুষকে বাল বলেও গন্য করে না, তা সে ছেলে হোক আর মেয়ে হোক।
Time, tide and girls wait for none.
সাবলেট থেকে মেয়েটি বাসার বউ হয়ে গেল। 
হাউ রোমান্টিক!
মেধা এবং ব্যাধি দুটোই সংক্রামক তাই সঙ্গী এবং বন্ধু বাছাই অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
নেশার মন অনেকটা এয়ারফোনের মতো অল্প কারনেই প্যাঁচ লেগে যায়।
একপাক্ষিক সম্পর্কগুলো মধুর ও পবিত্র হয়। অনেকটা সমুদ্রমন্থনে উদ্ভুত বিষ মহাদেবকে দিয়ে অমৃত পান করার মতো। এতে কোন চাওয়া পাওনা নেই, নেই মন কশাকশি, শুধু অদ্ভুত এক ধরনের ভালোলাগা গুনোত্তর ধারায় জ্যামিতিক ভাবে কেবল বাড়তেই থাকে, বাড়তেই থাকে। অন্যদিকে উভয়পাক্ষিক ভালোবাসাগুলো যেন চন্দ্র তিথি, কখনো শুক্লপক্ষ কখনো কৃষ্ণপক্ষ। তারপরও বেঁচে থাকুক ভালো লাগাগুলো, হাসিতে থাকুক প্রিয়মুখ।
নেশা! তোমার সাথে আমার একদম অন্তরের মিল। 
যেমন? 
তুমি যে কালারের ড্রেস পর আমি আশ্চার্যজনকভাবে সেই কালারের আন্ডারওয়ার পরে ফেলি!
হুড় তোলা রিক্সা আর বাইক দুটোই সেক্সি বাহন।
পিংক অশ্লীল কালার, রেড হচ্ছে উত্তেজক কালার আর ব্লাক হচ্ছে এরিস্টক্রেকিট কালার।
মেয়েদের ইনবক্স অনেকটা কারওয়ান বাজার কাচাঁবাজারের মতো, ঢুকলে বোঝা যায় রাত দুপুর কিংবা দিন দুপুরে কত ট্রাকওয়ালা পাইকারি সেলার, বাইকওয়ালা বুয়েটিয়ান, সানগ্লাসওয়ালা ফাফর দালাল, টিশার্টওয়ালা ভার্সিটিয়ান সহ ভুড়িওয়ালা, সিক্সপ্যাকধারী কত লোকের আনাগোনা।
বুঝবে! যে দিন তোমার শহরে আমি থাকবো না।