Saturday, October 14, 2017

'পর্নোগ্রাফিতে পুরুষতান্ত্রিকতা'

পর্নোগ্রাফি পুরুষতান্ত্রিকতার চরম বহিঃপ্রকাশ । নারী প্রত্যেকটা গহ্বর পুরুষের কাছে যোনি সদৃশ্য। বংশধারা উৎপাদনের সময় সে নারীকে কারো সাথে শেয়ার করবে না কিন্তু ভোগের সময় নারীকে সে ভাবছে মাংসের পিস; ভাগ ভাগ করে ভোগ করছে তারা এভাবেই দেখানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফিতে । আর্থিক সচ্ছলতার অভাবে কিংবা সামাজিক বিধির নিষেধের কারনে অপূর্ণ অবচেতন মনের চাওয়া পর্নোগ্রাফিতে পাচ্ছে বাস্তব রূপ।
আর সদ্য নিন্মাংগে চুল গজানো কিশোর কিংবা
টেকো মাজাভাংগা বুড়ো সবাই প্রভাবিত হচ্ছে সেলুলয়েড ফিতার ক্রিয়া দ্বারা। ফলে নারীর প্রতি সহিংসতা, নির্যাতন বাড়ছে, বাড়ছে ধর্ষণ আর হত্যা।
নারী অধিকারের রিও সম্মেলন কিংবা সিডো সনদ কিংবা জাতিসংঘের ঘোষনাপত্র শুধু কাগুজে লেখার কঝকানিতে পরিনত হচ্ছে। বানিজ্যের এ যুগে প্রেম যেমন পন্য, সংগম তেমনি সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। ফলে কমছে পারিবারিক বন্ধন।
রোকেয়া, ওলস্টোক্রাফট, কেইট মিলেটের নাম নারীরাই উচ্চারণ করে না পুরুষের কি দোষ। পন্য বিক্রির উদেশ্যে বুর্জোয়া সম্প্রদায় নারীকে ব্যবহার করেছে শুধুই ভোগ্যবস্তু হিসেবে আর কিছু না। আর এই পর্নোগ্রাফি ভোগবাদেই ফলাফল।
পুরুষতন্ত্র এমনি জিনিস যা চিত্রাঙ্গদাকে পর্যন্ত অর্জুনের বিছানায় নিয়ে ফেলেছে, আইডাকে (টেনিসনের প্রিন্সেস গ্রন্থের নায়িকা) পর্যন্ত বিয়ে দিয়ে ছেড়েছে।

No comments:

Post a Comment