Tuesday, March 13, 2018

ঘাড়ত্যাড়া বয়ফ্রেন্ড

একজন ঘাড়ত্যাড়া গুন্ডা মার্কা বয়ফ্রেন্ড শুধু বয়ফ্রন্ডই নয় এক একজন পারফেক্ট বডিগার্ডও বটে। ঢাকা শহরে চলতে গেলে সাথে একজন ছেলে একজন সুন্দরী অসুন্দরী যুবতী বৃদ্ধা সকলেই দরকার। সাথে একজন ছেলে, তবে বোকাচোদা আতেল মার্কা নয়, একটু শন্ডা মার্কা হলে চারপাশের মানুষ উত্যক্ত করার আগে দুবার ভাবে। কেউ উত্যক্ত করলে সাথে সাথে reaction করলে উত্যক্তকারী ঘাবড়ে যায়। সোসাল সাইন্স ফ্যাকাল্টির ছাত্র হয়েও কার্জন হলের ছেলেদের ঝাড়ি মেরে সরি বলিয়েছি, শহীদুল্লা হলের পুকুড়পাড়ে ঐ হলের ছেলেদেরই ভয় ধরিয়ে দিয়েছি আওয়াজ তুলে। উত্যক্ত করলেই আওয়াজ তুললে কাউকে না কাউকে সাহায্য করার জন্য পাওয়া যায়ই। এ ক্ষেত্রে আত্মরক্ষামূলক মার্শাল আর্ট বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এটা শত্রুর মুখোমুখি হওয়ার বা প্রতিবাদ করার সাহস বাড়িয়ে দেয়। আমার সেন্সি Shamsher Alam বলেন ( হুবহু মনে নেই তবে যেটুকু মনে আছে নিজের ভাষায় বলছি) "তুমি তো আর সব জায়গায় বন্দুক বা অস্ত্র নিয়ে যেতে পারবে না কিন্তু একজন মার্শাল আর্টিস্টের হাত পা ই এক একটা weapon."
চারপাশে যে সব ইভটিজিং, রেপ এর খবর শুনি তাতে আমার বোন থাকলে তার সিকিউরিটি নিয়েই দুশ্চিন্তায় পড়ে যেতাম, আর প্রেমিকার সুরক্ষা তো বটেই। মেয়েদের জন্য আমাদের সোসাইটি বড়ই বিপদজনক আজকাল। হাতের মুঠোয় পর্ন, যেখানে নির্যাতনে আর্গাজমের আওয়াজ, তা নারীকে উত্যক্ত করতে উঠতি কিশোর বা যুবকদের অনুপ্রাণিত করে, কোন সন্দেহ নাই। আজকাল ছেলেরা ethics শিখছে ফিল্ম বা সোসাল মিডিয়া থেকে। যার ফলাফল এই বিকৃত আচারন ।
আজ ৭ই মার্চ, ফেসবুকের নিউজফিডে যেসব ঘটনা দেখলাম, সত্যি দুঃখজনক। শংকিত মানবতা! পুরুষ হিসেবে সত্যি আমি দুঃখিত।

No comments:

Post a Comment