Friday, December 2, 2016

বাঁশ

রাজীব ঢালী
-----
বাঁশ
ইহা আমার খুবই প্রিয় খাদ্য । বাঁশ ছাড়া আমার চলেই না । বাঁশের সুপ , বাঁশ ভাজি , বাঁশের তরকারি , বাঁশের পরটা , বাঁশের মামলেট , বাঁশের ভর্তা , বাঁশের খুচুরি কত খাইয়াছি , ভবিষ্যতে আরও খাইব । মাঝে মাঝে এমন ও বাঁশ খাইয়াছি, যাহা নিচের দিকের কোন এক দরজা দিয়া ঢুকিয়া উপরের দরজা দিয়া বাহির হইয়া গিয়াছে । তবুও তাহা হজম করিয়াছি । বাঁশ হজমে বিশেষ ক্ষমতা আমার আছে । না হইলে এতো বাঁশ হজম করি কি করিয়া ! বাঁশের নাম শুনিলেই এখন জিভে জল আসিয়া পড়ে , খাইতে ইচ্ছা করে । আমার হাতে ক্ষমতা থাকিলে বাঁশকে জাতীয় খাদ্য ও বৃক্ষ হিসেবে ঘোষণা করিয়া তবেই ক্ষান্ত হইতাম ।
আশা করিতেছি এই নির্বাচনে জিতিয়া , দেশের প্রধান হইব এবং জাতীয় বাঁশ নীতি , জাতীয় বাঁশ গবেষণা Institute , জাতীয় বাঁশ রক্ষা কমিটি , সংসদীয় বাঁশ কমিটি গঠন করিব ।
ঘরের আঙ্গিনায় বাঁশ রোপণ বাধ্যতামূলক করিব এবং খাবার সময় বাঁশের একটা আইটেম বাধ্যতামূলক করিব । বাঁশই আমাদের ঐতিয্য । সুতরাং বাঁশ কে রক্ষা করিতে যাহা করা লাগে তাহাই করিব । বাঁশ সম্পর্কিত যত সাহিত্য আছে , তাহাকে জাতীয় সাহিত্য বলিয়া ঘোষণা করিব । এবং বাঁশ দ্বারা পিটানো ও অন্যান্য বাঁশ দ্বারা পরিচালিত খেলাকে জাতীয় খেলা বলিয়া ঘোষণা করিব । বাঁশ দ্বারা পিটানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করিব এবং ‘’বিশ্ব বাঁশ কাপ’’ আয়োজন করিব । যাহাতে বাঁশের মহিমা ও গৌরব সম্পর্কে বিশ্ববাসী জানিতে পারে ।
পাঠ্যপুস্তকে বাঁশ সম্পর্কে জ্ঞানীগুণীরা এখনো কিছু অন্তর্ভুক্ত করেন নাই । কিন্তু আমি করিব । পাঠ্যপুস্তক হইবে বাঁশময় । বাঁশের গুণগান থাকিবে সর্বত্র ।গ্রামে গ্রামে বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া ওঠা প্রতিযোগিতার আয়োজন হইবে !ভাবিতেই আমার ভালো লাগিছে ।
বাঁশ কাটিয়া যে খাতা তৈরি করা হয় । তাহা নিষিদ্ধ করিব । সুতরাং পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা হইতে ছাত্ররা মুক্ত হইবে । আর হ্যাঁ , দেশে যৌতুক নিষিদ্ধ করিয়া , বাঁশ দেওয়া চালু করিয়া দিব ।
থাক হইয়াছে আজ আর আপনাদের বাঁশ দিবো না । সামনের ভাষণে দিবো । সাথে করিয়া সরিষার তৈল ফ্রি দিব , যাতে বাঁশ খাইতে যেন বেশি কষ্ট না হয় ।

No comments:

Post a Comment