Sunday, February 4, 2018

নেশাখোরের নিশিকাব্য


নিশিগন্ধা, নিশিপদ্ম,  নিশিগদ্য, নিশিপদ্য, নিশিছন্দ, নিশিকন্যা, নিশিকান্ত, নিশি রাত বাকা চাঁদ, নিশি সুখ প্রেয়সীর বুক।  নিশি ব্যাপারটাতে কেমন যেন রোমাঞ্চকর  রোমাঞ্চকর সমাজকে ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপার আছে। তাইতো চতুর সুযোগসন্ধানী বলেছেন, "নিশিরে যাইও ফুল বনে..."

পাহারাদার যখন নাই value, law, ethics এর গুষ্ঠি মারি তখন; তাইতো চোরা রাত দুপুরে চুরি করে, দিনে জপমালা জপে আর বলে "ও রাঁধা তোর পারে পড়ি।" আর রাত হলে বলে রাঁধা তুই ঘুমো আমি মাল বোঝাই ট্রাকখানা কারখানা থেকে জাহাজে পৌছে দিয়ে আসি।

কাব্যতত্ত্ব দেহতত্ত্বের রূপ পায়, দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে যায়, ভালো ছাত্র (ইন্টেলেকচুয়াল আঁতেল) ঘুম থেকে উঠে কুপিয়ে একখান পড়া দেয়, নির্জীব জনহীন সড়কে LED বাতিতে কুয়াশার খেলা দেখে হয়তো কোন ভাবুক, পুলিশের ভ্যান গাড়িতে ঘুমিয়ে নেয় কনস্টেবল, জেগে ওঠে পাইকারি সবজীর বাজার, হয়তো টাকার বিনিময়ে সুখ খুঁজতে বের হয় দিনমজুর যুবক।

ক্লান্তা সবাই, সুপ্ত সবাই, তবু নির্ঘুম কিছু চোখ।  কি খোঁজে তারা?  সুখ!  হতে পারে।  কারো সুখ দুপায়ের মাঝখানে,  কারো কোডিং এর গানিতিক সূত্রে, কারো নির্জীব খসখসে বইয়ের  পাতা উল্টিয়ে, কারো বা ডকইয়র্ডের ঝালাইয়ের শব্দে, কারো বা সারেং এর মতো ভেসে চলে।  আর আমি?
"জীবনপুরের পথিক রে ভাই
কোনো দেশে সাকিন নাই।
কোথাও আমার মনের খবর পেলাম না...."

No comments:

Post a Comment