Sunday, January 28, 2018

দেহ আগে না মন আগে? 

 শরীর একটা চায়, মন আরেকটা চায়।  দেহ একটা বর্বর; শালা প্রয়োজনের তাগিদে যে কোন মানের কিছু একটা নিয়ে খুশি হতে পারে।  কিন্তু মন সে তো সৌন্দর্যের  পূজারী। রূপের চাকচিক্য, শ্বেতশুভ্র স্বচ্ছতা, গুনগত মান না হলে  সে তো সন্তুষ্ট  হতে পারে না। পর্যায়ক্রমিক ক্ষুৎপিপাসার কাছে মন  হয়তো  দেহের কাছে আত্মসমার্পণ করে কিন্তু পরক্ষনেই আবার জেগে ওঠে তার রূপতৃষ্ণা, বিশুদ্ধতার প্রতি ভালোবাসা।

দেহ হল একটা কুত্তার বাচ্চা, যা পায় শালা তাই খায়, চায়।  কিন্তু মন চায় যাচাই করতে।  নাইট্রিক এসিডে স্বর্ণকে যাচাই করে শুদ্ধটুকু তার কাম্য।  সে খুঁজে ফুলের সৌন্দর্য, পাহাড়ি ঝর্ণার স্বচ্ছতা, জঙ্গলের নিস্তব্ধতা,  রাজহংসের শুভ্রতা।  দেহের চাহিদা নিন্মমানের, মনের চাহিদা শৈল্পিক।

দেহের কারনে হয়তো অনেক কিছুর প্রেমে আমি পড়ি কিন্তু তা ক্ষনিকের,  সে ভোরের শিশিরের মতো একটু আলো পেলেই শুকিয়ে যায়।  মনে যা দাগ কাটে তা ভুলে না। বুকের ভেতর কেমন যেন ব্যাথা লাগে, ঘুমের মধ্যে রক্তঞ্চালনে বুকের কোথায় যেন একটা চিনচিন করে ওঠে মনের জন্য মনের।

" পাগল মন মন রে
মন কেন এত কথা বলে........"
মনই এত কথা বলে,  আর দেহ পেট পুরলেই কিংবা প্রয়োজন মিটলেই চুপ, ফুরুৎ তার আবদার।

বেঁচে থাক তুই আমার মন। দেহের ক্ষনিকের তৃষ্ণার কাছে তুই আত্মসমার্পণ করিস নে।  তোর যেখানে যতটুকু জায়গা আছে সব খুলে দে, ভেসে যা তুই সৌন্দর্যের বানে, পুড়ে যা তুই আলোর ঝলকানিতে, শুদ্ধতায় খুঁজে পা নিজেকে।
 হারিয়ে যা তুই !  হারিয়ে যা!  হারিয়ে যা!
দেহের এই কনডেম সেলে তুই থাকিস নে।

No comments:

Post a Comment